সৃষ্টিতে প্রকাশিত
সন্ধে সাড়ে ছটা বেজে গেজে, তবুও আজ
চেম্বারে রুগীর বেশ ভিড়! সন্ধে সাতটার পর চন্দন ভাদুড়ী আর রুগী দেখে না, সাধারণত।
প্রাণটা
হাঁসফাঁস করে, একটু বিশুদ্ধ আড্ডার জন্য। অক্সিজেন পেয়ে তৈরি হয়, পরের দিনের তরে
। আজকের দিনে রাজা- গজা নেই ! তবুও, মাথার ওপরে একজন থাকা দরকার ! সেই
মাথাটা হলেন- আড্ডার মধ্যমণি রাজা- ক্ষেতু বাগচী । সঙ্গে, গজারা হলেন- তারক
মোত্তির, নাটু লাহিড়ী ! ওনারা এখনও কেউ এসে পৌঁছন নি !
আজ তাই, অন্যমনস্ক হয়েছিল চন্দন।
সত্য
কম্পু একটা প্রেসক্রিপশন নিয়ে ঢুকলেন।
- একি! চন্দন বাবু! আফনে , আজকের ডেট
লিখতে রঙ করসেন, হোয়াই!
- কেন? ঠিক লিখি নি?
- নো! টুডে কি, একোত্তিশ- নাইন -দুহাজার টুয়েলভ?
আজ তো ফাষ্ট অক্টোবর- দশ- টু থাউজাণ্ড বারো!!!!!!!!!
চন্দন জিভ কেটে তারিখটা ঠিক করল।
সত্য
কম্পুর খুব ইংরেজি বলার অভ্যেস। তাঁর ইংরেজি শুনে অনেকেই থরথর
করে কাঁপে। তাই নাম সত্য কম্পু! অবশ্য তিনি, চেম্বারের
কম্পাউন্ডারও বটে। নোয়াখালীর আদি বাসিন্দা! এখনও কথায় কথায় মাতৃভাষা, সত্য কম্পুর
মুখ নিঃসৃত হয়।
গতকালই সত্য কম্পু বলেছিলেন:- দি ফিফল অফ
নুয়াখালি ক্যান্ট স্ফিক ইংলিশ ফফারলি! হাউ হ্যাথেটিক!
চন্দন কোনোরকমে হাসি চেপেছিল।
ভাগ্যিস, ওই সময় ক্ষেতু
বাগচী এসে পৌঁছন নি।
শেষ, বাচ্চা রুগীটির মা একটু খুঁতখুঁতে। চন্দন লিখেছিল ফোটান
জল দিয়ে ওষুধটা, শিশির মধ্যেই সিরাপ তৈরি করে নিতে। বাচ্চাটির মা ওষুধ কিনে নিয়ে
এসে বললেন- আচ্ছা ডাক্তার বাবু, আমি ডিসটিলড্ ওয়াটার দিয়ে সিরাপটা তৈরি করতে পারি
না?
চন্দন হেসে বলল- ডিসটিলড্ ওয়াটার তো ব্যাটারিতে ঢালে! আপনি ওষুধে ঢালবেন?
বাচ্চাটির মা – ও তাই তো! বলে, মাথা নেড়ে চলে গেলেন।
সত্য কম্পু বললেন- গুড কাজ ডান !
কি করবো বলুন? পেসেন্টরা এত আজগুবি কথা বলে!- চন্দন উত্তর দিল।
“বল হরির” চায়ে
চন্দন এক চুমুক দিতে না দিতেই, কবি বদরী সান্যালের হাসি হাসি মুখে প্রবেশ।
টুডে কেন, ইস্মাইলিং মুখ? - সত্য কম্পু জিজ্ঞেস করলেন!
নাগেরবাজার- হাওড়া রুটের, একটা নতুন মিনিবাসের
বডির পেছনে, দু লাইনের কবিতা লেখার অনুরোধ পেয়েছি! বদরী বাবুর উত্তর!
ওয়ান্ডারফুল! বলে ক্ষেতু বাগচীর প্রবেশ।
-
তা লিখেছেন? চন্দন বলল।
-
হেঁ! হেঁ! লিখে এনেছি শোনাতে! শুনবেন?
-
আরে শোনাও, শোনাও! তারক মোত্তিরও বলতে বলতে ঢুকলেন!
-
তালে, শোনাই? বদরী লজ্জিত মুখে বললেন!
-
হুম ! শোনাও না! ভ্যানতাড়া করছ কেন হে! –ক্ষেতু বাগচী
ক্ষেপচুরিয়াস!
বদরী শুরু করলেন:-
এক ফুল, দো মালী
শ্যামবাজার লোড, হাওড়া
খালি!
-বেড়ে! বেড়ে! হাততালি দিয়ে উঠল
সবাই!
শুধু ক্ষেতু বাগচী বললেন- এক
ফুল, দো মালী, এই লাইনটা কেন?
ওই মিনিটা, জামাইবাবু আর তারা
শালা মিলে কিনেছে! তাই ফুল হলো মিনি আর মালী হল- দুজন! সিম্পল! বদরী বাবুর উত্তর।
না:! বদরী আজকাল বেশ লিখছে, এটা
মানতেই হবে। ক্ষেতু বাগচী আজ বেশ উদার!
-আচ্ছা! এখানে ব্লু ড টেস হয়?
বলে এক ভদ্রলোক ঢুকলেন। বেশ
ধোপদুরস্ত পাজামা- পাঞ্জাবী শোভিত।
-ব্লু ড? চন্দন একটু ভুরু
কুঁচকে ভদ্রলোকের দিকে তাকাল।
- হুম! ব্লু ড!
- ম্যাটারটা কি! কি করাতে চান আফনি? সেটা টেল ! সত্য
কম্পু বললেন।
- আরে মশাই ডাক্তারের চেম্বারের
আপনারা !!!! ব্লু ড টেস জানেন না?
- এটা কি ইংরেজি শব্দ? তারক
মোত্তির জিজ্ঞেস করলেন।
- হাজার বার ইংরেজি শব্দ। মেডাইসিন
টের্মও বটে।
- একি রে বাবা! ব্লু ড ইংরেজি
শব্দ আবার মেডাইসিন টের্ম? চন্দন অবাক।
- মনে হয়, একটু একটু বুঝতে
পারছি। আচ্ছা! আপনি ইংরেজি বানানটা বলুন তো!তারক মোত্তির বললেন।
- বি, এল, ও, ও, ডি! এইবার
বুইলেন?
- ও ও ও !!!!!! ব্লাআআড! এত বছর
মাস্টারি করেছি, মাইরি! বাপের জন্মে এরকম উরুশ্চারণ শুনি নি! তারক মোত্তির
চেঁচালেন।
- অ অ ! তা কত বছর মাস্টারি
কইরেচেন? ভদ্রলোকের ভুরু কুঁচকে গেল !!!
- পঁয়ত্রিশ বছর!
- কত মাইনে পাইতেন, একটু
বইলবেন? কিছু মনে কইরবেন না!
- শেষের দিকে মাসে কুড়ি হাজার
টাকা পেতাম। বুঝলেন! কুড়ি হাজার টাকাআআ! নট এ ম্যাটার অফ জোক! তারক মোত্তির ক্রোধান্বিত।
- ছোঃ! আপনার মাস্টারি রাখুন
মহায়! এই উরুশ্চারণ নিয়ে আমি এখনও মাস গেলে চল্লিশ হাজার টাকা রুজগার করি! বুইলেন!
উরুশ্চারণ শেখাচ্ছেন আমায়! হুঃ!
- কি করেন আপনি? ক্ষেতু বাগচী
এতক্ষণে মুখ খুললেন।
- আমি উকিল!
- নাম?
- আমাকে ভালো নামে কেউ চেনে না।
- ভালো নামে আবার উকিলদের কে
চেনে ? খারাপ নামটাই বলুন না।
- আরে ধ্যুস! আপনি কিন্তু রেজিয়াল কমেন্ট করছেন !!! খারাপ নাম
হবে কেন?
- রেজিয়াল !!!! ও !
রেসিয়াল !! না রেসিয়াল কমেন্ট করবো কেন ? মানে,
উকিলদের তো খুব একটা সুনাম থাকে না! তাই বলছিলাম আর কি!
- হেঁ হেঁ! খুব নামডাক আমার! বুইলেন? আম্মো ভোলা
সরকার। খাঁটি বারিন্দির!
- বুয়েচি! বারিন্দির ছাড়া এরকম
বর্ডারলাইন কেস হয় নাকি? ক্ষেতু বাগচী উবাচ!
- মানে?
- মানেটা কিছুই নয়! বারিন্দিররা
জাত পাগল! তা আপনি একটু বর্ডারলাইন কেস! ওই আপনার উরুশ্চারণের জন্য। বলছিলাম, টেস
মানে তাহলে টেস্ট আর মেডাইসিন টার্ম মানে মেডিক্যাল র্টাম! তাই তো?
ভোলা সরকার মনে হলো, এবার একটু সতর্ক! সেটা
বোধহয়, ক্ষেতু বাগচীর ছ ফুটি চেহারা আর বাজখাঁই গলা শুনে!
তা হলে, ইউ আসুন টু মোরও সকাল! সত্য- কম্পু
বললেন।
এবার আসরে নামল, চন্দন!
-
আপনার ব্লাড টেস্ট না হয় করা যাবে! সেটা কিসের জন্য,
বলবেন?
-
আর বলবেন না মহায়! আমার চোখ আর জিভ নাকি খারাপ!
-
ডাক্তার দেখিয়েছেন?
-
হ্যাঁ!
-
চোখের ডাক্তার?
-
না! আমার বৌ বলেছে!
-
সে কি! আপনার বৌ কি ডাক্তার নাকি!
-
না! তবে উনি মনে করেন, ডাক্তারি উনি জানেন! উনি
সবজান্তা!
-
তা কিজন্য ওনার মনে হলো,যে আপনার চোখ খারাপ?
-
মহায়! আজকাল,
আমি ভাতকে ভাত দেখি, ময়দাকে ময়দা দেখি, লুচিকে লুচি, মাছের ঝোলকে মাছের ঝোল!
-
তালে? গণ্ডগোলটা কোথায়?
-
ওটা বুঝলেই তো এই বর্ডারলাইন কেসটা সারে!
-
মানে?
-
কোনো খাবারের টেস পাচ্ছি না
আজকাল! তাই বৌকে বলেছিলাম, তুমি কি রানচো দেখি আজকাল! কোনো কিছুই বুইতে পারছি না!
তা বৌ বলল- কেন? এই তো
যা রোজকার খাবার! তাই তো দিচ্চি তোমায়!
আমি বইল্লাম! এডা তো ভাত
দেকচি! কিন্তু ভাতের টেস পাচ্চি না!
বৌ বল্লে:- কিসের টেস
পাছো?
আমি উত্তর দিলাম:- কেমন
গোবোর গোবোর টেস! অতচ, ভাতই তো দেখচি!
বৌ রেগে গিয়ে বল্লে:- সব
ঠিক দেকচো কি ? তোমার চোখ আর জিভ খারাপ হয়েসে। চোখ আর জিভ পরীক্ষার আগে ব্লু ড টেস
করে নেবে, তারপর ডাক্তার দেকাবে।
ব্যাস! হয়ে গেল! তাই তো
আমি একাজে এয়ে-চি!!!!!!!
আপনি বৌয়ের কথা খুব
মান্য করেন দেখছি ! চন্দন বলল !
শুধু মাত্র বিবাহিত পুরুষদের জন্য স্বর্ণাক্ষরে
লিখিত নিয়ম । মেনে চললে, কোনো দুক্কু থাকবে না ! ভোলা সরকার
বললেন ।
কি রকম ?
নিয়ম- ১ । স্ত্রীরা সবসময়ই ঠিক বলে ।
নিয়ম- ২ । এর অন্যথা হলে, নিজের দুইগালে
নিজেই থাপ্পর মারবেন ।
নিয়ম- ৩ । তার পর, নিয়ম-১ পালন
করুন । ভোলা সরকারের জবাব ।
ক্ষেতুদা বললেন:- হুম!
বুঝলাম। কিন্তু আপনি তো দেখছি, বাগবাজারী ভাষায় কথা বলছেন! এটা তো বারিন্দিরদের
ভাষা নয়!
ঠিক! ঠিক! ভোলা বাবুর
উত্তর! আমার বৌ, বুইলেন কিনা, ওই বাগবাজারের লোক! ওরাও বারিন্দির, তবে কেষনগর থেকে
বাগবাজারে এয়েচেল। সেই থেকে তার অব্যেস! তাই আমারও হয়ে গেচে।
এ তো দেখছি, বদরীর এক
ফুল দো মালীর কেস! একজন লোক, তার মুখে আবার দুরকমের ভাষা! হরি হে! তুমিই
সত্য!!!!!! ক্ষেতু বাগচী দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললেন। নাম শুনে, বল হরি একবার উঁকি
দিয়ে গেল।
-
বদরী সান্যাল বেশ খুশী হয়ে
বললেন:- ক্ষেতুদা! চিকেন রোল খাবেন?
-
তুমি খাওয়াবে?
-
হ্যাঁ!
-
আনাও, আর হ্যাঁ- এই ভোলাবাবুর জন্যও কিন্তু আনাবে! আমরা
তো আছিই!
তা ভোলাবাবু, আপনি কেষনগরে বিয়ে করলেন কেন?
-
আর বলবেন না! বাবা বলতেন:-
বাজার করবি ঘুরে ঘুরে
শ্বশুর করবি দূরে দূরে
মানেটা বুঝিয়ে বলবেন? ক্ষেতুদা বললেন।
-
মানে হল গিয়ে, বাজার করতে হবে ঘুরে ঘুরে। তা হলে ওজন আর
দাম ঠিক পাবেন! বুইলেন কিনা ! আর শ্বশুরবাড়ী দূরে করলে, মান – ইজ্জত পাওয়া যায় !
বুইলেন কিনা !
-
শ্বশুরবাড়ীর কেস
আর দামটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু ওজন কেন?
পরিচিত দোকানদাররা ওজনে ঠকায় না!
-
আর বলবেন না মহায়! আরও একটা কথা বলতেন বাবা!
-
কি?
যার হাতে দাঁড়িপাল্লা
তার নেই খোদাতাল্লা!
-
এর মানে?
-
মানেটা সহজ! যার হাতে দাঁড়িপাল্লা আছে সে ঠকানোর জন্য ভগবানকেও
ভয় পায় না। বুইলেন কিনা!
-
এবার বুঝেছি! এই ক্যাচ লাইনটা একটু ঘুরিয়ে, আবার একটা
খবরের কাগজের ইউএসপি কিনা ! যাক্ !!! আপনি উকিল তায় বারিন্দির! বলুন বলুন!
-
কি আর বলবো মহায় ! আমি বাড়ীতে বাঘ , তবে!
-
তবে?
-
আমার বৌ রিং মাষ্টার !
হো হো করে হেসে উঠলো সবাই !
-
তা ভোলা বাবু, আপনি কি গুল টুল মারেন ? ক্ষেতু বাগচী
ছুঁড়ে দিলেন প্রশ্নটা ।
-
উকিল মানুষ, বুইলেন ! সে তো মারতেই হয় ! উপার্জনের
ব্যাপার ! বুইলেন কিনা !
-
কি রকম ? দু- এক পিস স্যাম্পল ছাড়ুন !
-
এ ব্যাপারে, আমার মায়ের বাবা, মানে দাদু ওস্তাদ ছিলেন !
বুইলেন কিনা !
-
আচ্ছা?
-
হ্যাঁ ! তবে আর বলছি কি ? বুইলেন কিনা ! একবার স্নানের
সময় দিদিমার কাছে সরষের তেল চেয়েছিলুম । দাদু বললে- সে ছিল আমাদের সময় ! নদীতে
যাওয়ার আগে, সরষের খেত থেকে সরষে তুলে, হাতে পিষে খাঁটি সরষের তেল গায়ে মেখে স্নান
করতাম !
-
আপনার দাদুর দুই হাত তো একেবারে ঘানির মত ছিল, বলুন !
-
হ্যাঃ ! তা যা
বইলেচেন ! এক্কেরে বামপন্থী থাবা !
তারক
মোত্তির আর থাকতে পারলেন না ! ছড়া কাটলেন :-
রসকস নেই গন্ধ ছাড়ে
কুকুর চিবোয়
শুকনো হাড়ে
দুকষ বেয়ে রক্ত ধার
বড়ই বাহার লেগেছে তার
-
কি বইলেন ! আমি কুত্তা? ভোলা সরকারের গর্জ্জন
।
-
আহা ! ব্যাপারটা ওই ভাবে নিচ্ছেন কেন ? ক্ষেতু বাগচী পরিত্রাতার
ভূমিকায় ! পুরোন গপ্পো এভাবে বললে-
বারিন্দিররা এই প্রবচন বলে ! আপনি
বুদ্ধিমান লোক, মানেটা বুঝবেন, একটু ভাবলেই !
-
অ !
-
তবে, একবার লাউয়ের বিচি ফেলে ছিলাম , আমার কিচেন
গার্ডেনে ! বিরাট লাউ হলো এক- একটা ! রিক্সা- ওয়ালা মধু বলল , আমাকে একখান দ্যান
কত্তা ! দেশে নিয়ে যাব ! বনগাঁ লাইনের ঠাকুরপুকুরে ওর বাড়ী ! ই. এম. ইউ কোচের দরজা
দিয়ে লাউটা তুলতে না পেরে , ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল মধু! তারপর, দিন তিনেক হাঁফিয়ে ছিল
! ক্ষেতু বাগচী, সিগারেটের ধোঁয়া ছেড়ে বললেন ।
-
এ তো কিছুই না ! তারক মোত্তিরের প্রতিক্রিয়া !
-
কিছু যেটা হলো, সেটা কি ? রেগে গেলে ,ক্ষেতু বাগচীর চোখ
পিটপিট করে ।
-
এভরিটাইম, আফনে খচিতং !
এবারে সত্য কম্পু মুখ খুললেন । আরে, তারকদারে কইতে দ্যান !!!!
-
বল হে তারক, ক্ষেতু বাগচী কেন যেন এবারে উদার !
-
আমার বাবা, একবার বেখেয়ালে করলার একটা ছোট গাছ লাগিয়েছিলেন ।
কিছুদিন
বাদে দেখলেন- ছয় বিঘা জমি জুড়ে, খালি করলার গাছ ! ট্রাকেক্কে ট্রাক করলা বেচে
আমাদের বর্তমান তিনতলা বাড়ীটা বাবা বানিয়েছিলেন । হুঁ ! হুঁ ! বাওয়া, এক্কেরে
নিয্যস সত্যি কথা !
-
তোমার স্বাধীনতা সংগ্রামের মত, বাবা তারক ? ক্ষেতু বাগচী
মুচকী হেসে বললেন ।
-
কি রম্, কি রম্ ? ভোলা সরকার উৎসাহিত ।
-
বাবা তারকনাথ স্বয়ং পেজেন ছিলেন গাঁধির সঙ্গে, গোলটেবিল
বৈঠকে !
-
হ্যাঁ ! ক্ষেতুদা ঠিকই বলেছেন । উনি তো হিটলারকে নিয়ে
পালিয়েছিলেন, পরে রটিয়ে দ্যান, হিটলার আত্মহত্যা করেছেন !!!! অবশ্য আমাদের দাদার
জন্ম- উনিস্সো পঁয়তাল্লিস সালে ।
এক
মধ্যবয়স্ক দারা সিংয়ের মত মহিলা এসে
দাঁড়ালেন, চেম্বারের দরজায় !
-
আসতে পারি ?
-
আসুন, তবে পেসেন্ট দেখা বন্ধ এখন ! সত্য কম্পু বললেন ।
-
আমি তো পেসেন্টের খোঁজেই এসেছি এখানে ! নিজেকে উকিল বলে
পরিচয় দ্যায় । ওনার টপ ফ্লোরে একটু গণ্ডগোল আছে । উনি আসলে একটি হনুমান ! তা, লোকে বলল- একানে এয়েছেন ! তাই এলুম ।
ক্ষেতু
বাগচী উঠে দাঁড়িয়ে বললেন – চলি হে চন্দন । তোমার বৌদি ঘন ঘন মিসড্ কল দিচ্ছেন ।
তারক মোত্তিরেরও একটা জরুরী কাজ মনে পড়ল।
লিটার
লিটার ঘাম ঝরানো ভোলা সরকারকে বগলদাবা করে ভদ্রমহিলা হাঁটা দিলেন ।
.........সমাপ্ত...............
No comments:
Post a Comment