Saturday, May 22, 2010

একটি কথপোকথন (হয়তো বাস্তব, হয়তো কাল্পনিক)

-
Good Morning, Sir.
- সুপ্রভাত।
- In fact, কাল আপনার acting দেখলাম।
- ও!!!! তাই নাকি?
- Yes, Sir. It was wonderful.
- ধন্যবাদ।
- ওটা, Tagore drama ছিল তো?
- হ্যাঁ, রক্তকরবী!
- That’s great!
- আপনি দেখেছেন, এটা আমার সৌভাগ্য।
- No no. It’s my pleasure!
- বাঃ! আপনি তো বেশ রবীন্দ্র অনুরাগী!
- In fact, আমি যখন লান্ডনে ছিলাম, তখন আমি ওখানকার বাংলা আ্যসোসিয়েশনের Secretary ছিলাম। বাংলা সাহিত্য গুলে খেয়েছি। পরে মুম্বাই এসেও বাংলা সাহিত্যের গুরু হিসেবে সবাই মানত। In fact, আমি Conversation এ, বাঙ্গালী পেলে, English word use ই করি না। বাড়ীতেও strict instruction ই দেওয়া আছে। আমরা pure Bengali তে কথা বলি। By the way, আপনার সাথে আমার formal introduction ই হয় নি। (হাত বাড়িয়ে) আমি জ্যাজি বোস! আসলে জয়ন্ত বোস। ওই short এ জ্যাজি বোস!
- ও! আমি ঘনা ভশ্চাজ!
- Pleased to meet you!
- আমিও।
- Thanks. আচ্ছা কাল কি occasion এ আপনারদের drama staged হলো?
- শ্রীরবীন্দ্রনাথের সার্দ্ধ জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে আমাদের নাট্যসংস্থা “ রবীচ্ছটা” র সশ্রদ্ধ নিবেদন।
- What? Tagore এর শ্রাদ্ধ!!!!!!
- না না, শ্রাদ্ধ নয়! সার্দ্ধ
- What’s that?
- সার্দ্ধ মানে হাফ অর্থাৎ অর্দ্ধেক। শত মানে একশ। তাহলে সার্দ্ধ জন্ম শতবর্ষ মানে ১৫০ তম জন্মদিন। আপনাকে কি আর বোঝাব,মি. বোস! আপনি তো বাংলা সাহিত্য গুলে খেয়েছেন!!! আচ্ছা, স্যাটা বোস আপনার কেউ হন কি?
- Who is he?
- উনি একটি বড় হোটেলে কাজ করতেন!
- Oh! Sheet! আমার ও সব lower level এর লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।
- ঠিক! ঠিক! তা, ঘনাদা, টেনিদা, ফেলুদা;এদের চেনেন তো?
- দেখুন, মুম্বাইতে দাদা, ভাই এসব Criminal দের বলে। তা, are they criminals of Calcutta?????
- Criminal বলে Criminal!!!!!! এরা সব বাঙ্গালীদের সব কিছু ডাকাতি করে নিয়ে গেছে!!!!!
My God! Police inactive???????? আমার লালবাজারে চেনাশোনা আছে। বলুন তো ওদের area of operation!
- উম!! ঘনাদা, বেহালার বনমালি নস্কর লেন, টেনিদা আমর্হাষ্ট ষ্ট্রীটের পোষ্ট আপিসের কাছে পটলডাঙ্গা আর ফেলুদার সাউথে রজনীকান্ত সেন লেন।
- এদের Good name গুলো বলুন তো!
- ঘনাদা= ঘনশ্যাম দাস, টেনিদা= ভজহরি মুখুজ্জ্যে আর ফেলুদা= প্রদোষ . সি. মিটার! তবে, সাবধান!
- কেন?
- ঘনাদা আর টেনিদা কিন্তু সব রকম মার্শাল আর্ট জানে। ফেলুদার তো কথাই নেই। একটা সাংঘাতিক অস্ত্র আছে ওনার!
- What’s that?
- মগজাস্ত্র।
- Is it a deadly weapon? More than atomic ones?
- হ্যাঁ, মি. বোস!!!!
- হুম!!! Then, I have to contact Mr. A.K. Anthony.
- কে কে?????
- আরে, our defense minister. I mean, India র।
- কেন?
- কি হবে?
- আরে,These deadly weapons should not be with them. Any way, don’t worry. I will take care. কাল আমাদের Complex এ একবার আসবেন?
- কেকেকেননননননন?
- আরে , আমরাও আমাদের Complex এ Tagore centenary করছি। আমার মেয়ে ওখানে Tagore এর সেই বিখ্যত কবিতাটা recite করবে।
- কোনটা?
- ওই যে, হারুদের ডালকুকুরে etc etc.
- আমার শরীর খারাপ করছে।
- My God! Should I give a tinkle to my family doc?
- আরে না না ! বাড়িতে শুয়ে এট্টু রেষ্ট নিলেই ঠিক হয়ে যাবে।
- OK, take care!
সকালটা অন্যদিনের মত শুরু হলো না! অনিলের দোকানে চা খেতে গিয়ে ২ টাকা দিলাম। অনিল ১.৭৫ পয়সা ফেরত দিল। চা এর দাম ৪ আনা?????
অনিল, পয়সা ফেরত দিলি..... মাথা খারাপ হলো নাকি?
“আরে না দাদা, দাম তো ঠিকই নিয়েছি।”
আমার কি মতিভ্রম হলো!!!!!!! বাড়ী ফিরতেই গ্যাসের- বিকাশ! সিলিণ্ডার দিয়ে ১০০ টাকা নিল! কি হচ্ছে টা কি? বুঝতেই পারছি না! বাজারে গেলাম,
আলু- ১ টাকা, চাল-২ টাকা, রুই- ২০ টাকা করে কিলো!
ধূস্ বলে হাতটা আকাশে ছুঁড়লাম। আড়াই বছরের নাতনি – দাদা, ওঠ, চা খাবি না?
বাঙাল গেছে শিয়ালদার বাজারে। তরকারি পট্টীতে প্রায় সব ঘটি।
“বাইগনের কিলো কত?”
ঘটি হেসে কুটিপাটি, বলে- কি বললে মাইরী!
বাঙাল তো!!! চেইত্যা গেল।
“ক্যান? বাইগন কইসি তো কইসি, তয় হইসে টা কি?”
ঘটি—ছোঃ! বেগুন বলতে পারো না?
বাঙাল:- ক্যান, বাইগনরে বেগুন কমু ক্যান?
ঘটি:- আহা, বেগুন বললে মিষ্টি শোনাবে!
বাঙাল:- তাইলে, বাইগনরে বেগুন না কইয়া, প্রাণনাথ কইলেই হয়, আরও মিষ্টি শোনাইবো! তা. তোমার প্রাণনাথের কিলো কত কইর্যাি ?
বস্তাপচা গপ্পো, কিন্তু বললাম বিশেষ কারণে। দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ নাতনী ঠেলা দিয়ে বলছে- এই দাদা, হালুম নানা হয়েছিস নাকি? শুনেছি আমার নাক ডাকে। কিন্তু নাক তো আর মিষ্টি করে ডাকে না!!! বিয়ের পর তিনি তো কানে কালা হয়েছেন বলে; বলে বেড়ান। কিন্তু এবার আমি কি করি? তিনি তো কোনোদিনই প্রাণনাথ বলে ডাকবেন না! নাতনিটাও! “দাও টু ব্রুটাস!”

শেষে ঠিক করলাম ও যখন বড় হবে; রবীন্দ্রনাথের বড়দা দ্বিজেন্দ্রনাথ থেকে পড়ে শোনাব----

“শুধু বেঘোরে ঘুমঘোরে,
গরজে নাক বড় জোরে।
বাঘের ডাক মানে পরাভব,
আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।"

ওঁ শান্তিঃ!!! ওঁ শান্তিঃ!!! ওঁ শান্তিঃ!!!
‘আমাদের পাড়ার রাজু খুবই ভোলা ভালা ছেলে। যা করতে যায়, তাতেই গণ্ডগোল। “চন্দ্রগুপ্ত” নাটক হবে, রাজু বলল ওর একটা পার্ট চাই। ডাইরেক্টর সাহেব যতই বলে, “রাজু- তুই বাবা এবার খ্যামা দে, পরের বার পার্ট দেবো”, ততই রাজু নাছোড়বান্দা! শেষে ঠিক হলো- রাজু, সেলুকাসের রক্ষীর পার্ট করবে। একটাই ডায়ালগ থাকবে-“ রক্ষী, বন্দী করো”। তারপর রাজু আর রিহার্সালে আসে না। জিজ্ঞেস করলেই বলে- ও স্টেজে ম্যানেজ করে দোবো! এদিকে তখন নতুন ক্যাটারিং চালু হয়েছে। রাজু ক্যাটারিং এর ব্যাবসা চালু করেছে। তাই ও রিহার্সালে আসতে পারছে না। প্রথম যে ক্যাটারিং টা রাজু করল, তাতে ওর ভূয়সী প্রশংসা হলো। সেটা ছিল, শ্রাদ্ধের ক্যাটারিং। শুধু রাজু একটাই গণ্ডগোলিস করেছিল। শ্রাদ্ধবাড়ীতে একজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিল- “আচ্ছা! যাঁর শ্রাদ্ধ, তাঁকে দেখতে পাচ্ছি না কেন?”
এই ক্যাটারিং এর ১৫ দিন পর একটা বিয়েবাড়ীর ক্যাটারিং। রাজুর তদারকিতে ফিস ফ্রাই ভাজা হচ্ছে। মেয়ের বাবা বললেন- “রাজু, একটা ফিস ফ্রাই দাও তো! টেষ্ট করে দেখি!” রাজু দুটো ফিস ফ্রাই একটা প্লেটে দিয়ে বলল- “ নিন কাকু, খান”। মেয়ের বাবা-“ না হে রাজু, টেষ্টটা ঠিক খুলছে না”। রাজু অম্লান বদনে বলল- “কেন কাকু? তেলটা তো ওই ১৫ দিন আগেকারই!!!!!!”
‘রাজুর ইংরাজী শেক্সপীয়ারের মত! উচ্চারণটাও সুস্পষ্ট। যেমন- বিরিয়ানীকে বলে- ব্রানী। গ্রেভিকে বলে – গ্রাভী। এরকম আর কি!!! ,,,,তো রাজু কে বলা হলো- কিরে? তুই কি আজও রিহার্সালে আসবি না? রাজু বলল-“ ওই যে নতুন ফ্ল্যাট বাড়ী টা হয়েছে না!!! ওই যে গঙ্গা আ্যাপয়েন্টমেন্ট, ওখানে একটা কাজ ধরেছি।” আ্যাপয়েন্টমেন্ট? পটল বলল –“ আরে ওটা আ্যাপার্টমেন্ট”। রাজু- “ঠিক বলেছিস! ওই যে নতুন ষ্টেডি( এস.টি,ডি) বুথটার নীচে!!!”
রাজু, হঠাৎ একদিন মোটোরবাইক নিয়ে হাজির! আমরা হইহই করতেই, রাজু লাজুক হেসে বলল- এটা “ষ্টলমেন্টে” কিনলাম! রাজু আর একদিন এলো। আমরা বললাম, আজ রিহার্সালটা দিয়ে যা!!! রাজু দেখলাম, খুব ক্ষেপে আছে। বলল- মুড খারাপ! আমরা বললাম – কেন? রাজু- “ওই যে দেখিস নি? রাজুর গেঞ্জি........... পরুন! চারিদিকে লেখা আছে? তা সবাই আমার গেঞ্জি........... পরলে, আমি পরব কি?”
রাজু এসে একদিন বলল- “তেরো কাপ নুন” টা কি রে? আমরা বললাম- কোথায়? রাজু বলল- এই তো গড়িয়াহাটার মোড়ে। আমরা দৌড়লাম, দেখতে। পটলা শেষে উদ্ধার করল! ওটা ছিল—“তাঁতের কাপড় কিনুন। শাড়ীর দোকানের আ্যাড! “তাঁ,ড় কি” টা উঠে গেছে।
যাই হোক, শেষের সে দিন এলো! রাজুও এসেছে। সেজে গুজে রাজু রেডি। মহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত!
রাজু বলল- বন্দী ই ই ই- রক্ষী করো
ড্রপসিন!
বুকী আজ এসেছিল আমার বাড়ী। খানিক্ষণ আড্ডায় জমে থাকলাম।
একটা ঘটনা শোনাল। আপনাদের সাথে ভাগ করে নি।
এক মহিলার দুই জামাই। বড় জামাই বাংলায় বি.এ পাশ, আর ছোটজন বাংলায় এম্. এ পাশ।
যা হয় আর কি!
ছোটজন, বড়কে পাত্তা দেয় না। বড় অবশ্য তাতে কিছু মনে করে না।
বড়জন, শ্বাশুড়িকে চিঠি লেখে- শ্রীচরণেষু, মা বলে।
ছোটজন কোনো চিঠি লেখে না। কারণ “চরণ” থেকে তো ও বড় থাকতে হবে।
শ্বাশুড়ি দুঃখ করে ছোটজনকে লিখলেন- তুমি তো কোনো খবরই নাও না আমার। বড়জন কত খবর নেয়, চিঠি লেখে!!!!
ছোটজন চিঠি লিখল- হাঁটুরেসু মা বলে।
চরণ থেকে তো উঁচু!!!!!!!
শ্বাশুড়ি জবাবে ছোটজনকে লিখলেন- ভাগ্যিস, তুমি ডবল এম্. এ পাশ নও!!!!!!!!!
এই মাত্র সুখেনের হোটেলে বাপ, ব্যাটা মিলে খেয়ে এলাম। “উনি” মে মাসের ১০ তারিখে আসছেন। বৌমার মায়ের শরীর খারাপ। বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিলাম।
খুব ভীড়! রোব্বারের বাজার। সুখেন, যেতেই ওর বৌ উমাকে হাঁক দিয়ে বলল- কাকা আসছে! ভালো মাংস দিবা, বুঝলা?
তারপর বলল- কাকা, মেয়েটার না রোমান্টিক ফিভার হইসে।
আমি- কি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সুখেন- হঃ! কি আর কমু। এইমাত্র ডাক্তার দেখাইয়া আনলাম।
আমি- প্রেসক্রিপশান দেখি!
সুখেন- উমা! পেচছিপশানটা লইয়া আস ত!
প্রেসক্রিপশান আনতেই দেখি- লেখা আছে- রিউমাটিক্ ফিভার।
ও হ্যাঁ!
গত ১৯ তারিখ, ধর্মতলা গিয়েছিলাম এক বন্ধুর (পুং- আপনারা ভারচুয়ালি চেনেন তাকে) সঙ্গে দেখা করতে। টাইম ছিল বিকেল ৬.১৫- ৬.৩০ এর মধ্যে। মেট্রোর ( সিনেমা হল) সামনে অ্যাপো। আমি একটু আগেই পৌঁছে গেলাম। খিদেও পেয়ে ছিল। পাশের “ ম্যাড্র্যাস টিফিনে” গেলাম দোসা খেতে। খেয়ে, বেসিনে হাত ধুতে গিয়ে দেখি, বাঁ পাশের রান্নাঘরের দরজায় লেখা আছে- “নো কাম”। বিশ্বাস না হলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
কত শিল্পী যে ছড়িয়ে আছে!!!!!!
আমরাই “ভুল-ভাল”
বুকী ঘোষের ওখানে অনেকদিন যেতে পারছি না!
তা,খুব দুঃখ করে; ও “ ভদ্রতার ব্যালান্স” নিয়ে আমায় ফোন করে ওর স্বরচিত ,এই শ্যামাসংগীতটা শোনাল
(সুর- রামপ্রসাদী)
দে মা আমায় বোতোল খুলে
যতই ভাবি আর খাব না,
সন্ধে হলেই যাই মা ভুলে
দে মা আমায় বোতোল খুলে........

টাকাকড়ি নেই মা আমার
টাকা কামাই নানা ছলে
টাকাকড়ি নেই মা আমার ( উঁচু স্বরে)
টাকা কামাই নানা ছলে

(তাই) প্রাণ সঁপেছি, বাংলা মালে
দে মা আমায় বোতোল খুলে........ ( খাদে)

রাস্তা দিয়ে, যাই হেঁটে মা
লোকে আমায় মাতাল বলে
রাস্তা দিয়ে, যাই হেঁটে মা
লোকে আমায় মাতাল বলে ( উঁচু স্বরে)
(তাই) বাংলা ধরেছি তোর চরণতলে
দে মা আমায় বোতোল খুলে........ ( খাদে)


আমি শুনে “ঢিশ্”!!!!!!!!!!

ভুলভাল

কথাটা, মামলেট না ওমলেট? এই নিয়ে খুব মুশকিল!মামলেট বললে, লোকেরা বাঙ্গাল বলে খ্যাপায়! মামলেট কথাটা চিরকাল বলে এসেছি বা শুনে এসেছি। কি বলি তা’লে? মুশকিল আসান বুকী ঘোষ বলল- সিম্পল! এই কথাটা আমাকে বলেন নি, ঘনাদা! আরে,আদতে পোলট্রির ডিম তো বিদেশী , তাই বিদেশী ডিম হলে ওমলেট আর দিশি হলে মামলেট! খেল খতম! খেলার কথাতে মনে পড়ল,আই. পি. এলের খেলা চলছে এখন! ডট বল! নো বল! ক্যারম বল! ( ক্যারম খেলাও ঢুকে গেছে, সাধে কি আর টেনিদার চ্যালা, প্যালা বলেছিল- ক্রিকেট মানে ঝিঁ ঝিঁ খেলা!!!!!!)কত কিছু নতুন শব্দ!!!! জানলাম, ডট বল ডট পেন নয়। যে বলে রান হয় না, সেটাকেই নাকি ডট বল বলে! আর নো বল মানে বল নেই নয়। ( আমি এতদিন এটাই জানতাম) নো বল মানে, বল করার সময় ওই একটা বোলারস লাইন থাকে, সেটা যদি বোলারের পা পেরিয়ে যায়, তা হলে নো বল।( যাঁরা ক্রিকেট খেলা বোঝেন, এই অর্বাচীনকে ক্ষমা করবেন)
জানেন তো! পাড়ায় পাড়ায় আজকাল মন্দির গজায়! তা, আমাদের প্রিয় ক্রিকেটারেরও একটা চাটাই ঘেরা টেম্পোরারী মন্দির গজিয়ে উঠল। দেবতারা নানা পোজে মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ খাঁড়া হাতে, কেউ গদা হাতে....ইত্যাদি। এখানেও আমাদের প্রিয় ক্রিকেটার ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে। যে কেউ বল হাতে পুজো দিতে পারে। পুরোহিতের পারমিশন নিয়ে প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে বল করতে হবে। দর্শনার্থী, বল করার পর, প্রিয় ক্রিকেটার যদি-বাপী, বাড়ী যা বলেন মানে ছক্কা মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, খুব খুব ভালো যাবে। যদি চার মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, ভালো যাবে। সিঙ্গল বা ডাবল নিলে দিন মোটামুটি যাবে। ডট বলে হলে ৫০-৫০।
এক ক্রিকেট প্রিয় ভদ্রলোক “সুতানুটি ডে রাইডারস” এর জন্য গেলেন পূজো দিতে। “সুতানুটি ডে রাইডারস”পরপর কয়েকটা খেলাতে হেরে প্রায় যায় যায়। পুরোহিত, মন্ত্র পড়ে বল তুলে দিলেন ভদ্রলোকের হাতে । ভদ্রলোক দৌড়ে এসে বল করলেন প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে।
বোল্ড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!, মানে কাঠি গুলো সব ছিটকে গেল, বেল সহ ( এ বেল, সে বেল নয়)। তিনটে কাঠি মিলে উইকেট! কি উইকেড ব্যাপার!!!!!!!
পুরোহিত বললেন- সর্বনাশ! এরকম তো হয় না।
ভদ্রলোক- কি হবে?
পুরোহিত- দাঁড়ান, বল শুদ্ধ করতে হবে। দিন হাজার টাকা দিন!
অগত্যা মধুসূদন! কড়কড়ে দশটা একশ টাকার নোট বের করে দিলেন ভদ্রলোক!
পুরোহিত মন্ত্র পড়ে বল শুদ্ধ করে বললেন- “ ওঁ নো বলায় নমঃ”। বল শুদ্ধ হয়ে গেল, আর “আউটের” দোষ কেটে গেল। ফ্রি হিট! ভদ্রলোক মনের আনন্দে বল করলেন আবার! এবার কিন্তু -বাপী, বাড়ী যা । ভদ্রলোক মনের আনন্দে “ছপ্পর উপর কৌয়া নাচে, নাচে বগুলা, আরে রামাহো” গাইতে গাইতে মাঠে খেলা দেখতে গেলেন। তখন কি তিনি আর জানতেন, পুরোহিতের বাড়ীতে আয়কর হানা হবে????????
বলতেই ভুলে গেছি, ভদ্রলোক টেনিদা ভক্ত।
হলে কি হবে!!! ঘোর কলিকাল! পুরোহিতের প্রতিকার কাজেই লাগল না। পুস্করে স্নান করেও কলিকালে চন্দ্র গ্রহণ হচ্ছে। শুধু “ গেলাম আর এলাম” আর “ফেল”। আমাদের গর্ব টেনিদাই যা খেলল। “সুতানুটি ডে রাইডারস” হেরে ভূত! সবার মুখে শ্লোগান- খেলব, ক্যাচ ফেলব, হারবো রে! ললিত বাণী আর পাওয়ারের শক্তি প্রদর্শন।

“আসছে বছর আবার হবে” বলে ভদ্রলোক হাজারীবাগে ফিরে গেলেন। গত তিন বছরে ওই বিদেশি ওমলেট আর দেশী মামলেট মিলেমিশে একাকার হতে পারল না। “আসছে বছর আবার হবে”, হবেই হবে।
দুগ্গা! দুগ্গা! তাই যেন হয়! হয়ে যেন যায়!!!!