কথাটা, মামলেট না ওমলেট? এই নিয়ে খুব মুশকিল!মামলেট বললে, লোকেরা বাঙ্গাল বলে খ্যাপায়! মামলেট কথাটা চিরকাল বলে এসেছি বা শুনে এসেছি। কি বলি তা’লে? মুশকিল আসান বুকী ঘোষ বলল- সিম্পল! এই কথাটা আমাকে বলেন নি, ঘনাদা! আরে,আদতে পোলট্রির ডিম তো বিদেশী , তাই বিদেশী ডিম হলে ওমলেট আর দিশি হলে মামলেট! খেল খতম! খেলার কথাতে মনে পড়ল,আই. পি. এলের খেলা চলছে এখন! ডট বল! নো বল! ক্যারম বল! ( ক্যারম খেলাও ঢুকে গেছে, সাধে কি আর টেনিদার চ্যালা, প্যালা বলেছিল- ক্রিকেট মানে ঝিঁ ঝিঁ খেলা!!!!!!)কত কিছু নতুন শব্দ!!!! জানলাম, ডট বল ডট পেন নয়। যে বলে রান হয় না, সেটাকেই নাকি ডট বল বলে! আর নো বল মানে বল নেই নয়। ( আমি এতদিন এটাই জানতাম) নো বল মানে, বল করার সময় ওই একটা বোলারস লাইন থাকে, সেটা যদি বোলারের পা পেরিয়ে যায়, তা হলে নো বল।( যাঁরা ক্রিকেট খেলা বোঝেন, এই অর্বাচীনকে ক্ষমা করবেন)
জানেন তো! পাড়ায় পাড়ায় আজকাল মন্দির গজায়! তা, আমাদের প্রিয় ক্রিকেটারেরও একটা চাটাই ঘেরা টেম্পোরারী মন্দির গজিয়ে উঠল। দেবতারা নানা পোজে মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ খাঁড়া হাতে, কেউ গদা হাতে....ইত্যাদি। এখানেও আমাদের প্রিয় ক্রিকেটার ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে। যে কেউ বল হাতে পুজো দিতে পারে। পুরোহিতের পারমিশন নিয়ে প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে বল করতে হবে। দর্শনার্থী, বল করার পর, প্রিয় ক্রিকেটার যদি-বাপী, বাড়ী যা বলেন মানে ছক্কা মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, খুব খুব ভালো যাবে। যদি চার মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, ভালো যাবে। সিঙ্গল বা ডাবল নিলে দিন মোটামুটি যাবে। ডট বলে হলে ৫০-৫০।
এক ক্রিকেট প্রিয় ভদ্রলোক “সুতানুটি ডে রাইডারস” এর জন্য গেলেন পূজো দিতে। “সুতানুটি ডে রাইডারস”পরপর কয়েকটা খেলাতে হেরে প্রায় যায় যায়। পুরোহিত, মন্ত্র পড়ে বল তুলে দিলেন ভদ্রলোকের হাতে । ভদ্রলোক দৌড়ে এসে বল করলেন প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে।
বোল্ড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!, মানে কাঠি গুলো সব ছিটকে গেল, বেল সহ ( এ বেল, সে বেল নয়)। তিনটে কাঠি মিলে উইকেট! কি উইকেড ব্যাপার!!!!!!!
পুরোহিত বললেন- সর্বনাশ! এরকম তো হয় না।
ভদ্রলোক- কি হবে?
পুরোহিত- দাঁড়ান, বল শুদ্ধ করতে হবে। দিন হাজার টাকা দিন!
অগত্যা মধুসূদন! কড়কড়ে দশটা একশ টাকার নোট বের করে দিলেন ভদ্রলোক!
পুরোহিত মন্ত্র পড়ে বল শুদ্ধ করে বললেন- “ ওঁ নো বলায় নমঃ”। বল শুদ্ধ হয়ে গেল, আর “আউটের” দোষ কেটে গেল। ফ্রি হিট! ভদ্রলোক মনের আনন্দে বল করলেন আবার! এবার কিন্তু -বাপী, বাড়ী যা । ভদ্রলোক মনের আনন্দে “ছপ্পর উপর কৌয়া নাচে, নাচে বগুলা, আরে রামাহো” গাইতে গাইতে মাঠে খেলা দেখতে গেলেন। তখন কি তিনি আর জানতেন, পুরোহিতের বাড়ীতে আয়কর হানা হবে????????
বলতেই ভুলে গেছি, ভদ্রলোক টেনিদা ভক্ত।
হলে কি হবে!!! ঘোর কলিকাল! পুরোহিতের প্রতিকার কাজেই লাগল না। পুস্করে স্নান করেও কলিকালে চন্দ্র গ্রহণ হচ্ছে। শুধু “ গেলাম আর এলাম” আর “ফেল”। আমাদের গর্ব টেনিদাই যা খেলল। “সুতানুটি ডে রাইডারস” হেরে ভূত! সবার মুখে শ্লোগান- খেলব, ক্যাচ ফেলব, হারবো রে! ললিত বাণী আর পাওয়ারের শক্তি প্রদর্শন।
“আসছে বছর আবার হবে” বলে ভদ্রলোক হাজারীবাগে ফিরে গেলেন। গত তিন বছরে ওই বিদেশি ওমলেট আর দেশী মামলেট মিলেমিশে একাকার হতে পারল না। “আসছে বছর আবার হবে”, হবেই হবে।
দুগ্গা! দুগ্গা! তাই যেন হয়! হয়ে যেন যায়!!!!
জানেন তো! পাড়ায় পাড়ায় আজকাল মন্দির গজায়! তা, আমাদের প্রিয় ক্রিকেটারেরও একটা চাটাই ঘেরা টেম্পোরারী মন্দির গজিয়ে উঠল। দেবতারা নানা পোজে মন্দিরে দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ খাঁড়া হাতে, কেউ গদা হাতে....ইত্যাদি। এখানেও আমাদের প্রিয় ক্রিকেটার ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে। যে কেউ বল হাতে পুজো দিতে পারে। পুরোহিতের পারমিশন নিয়ে প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে বল করতে হবে। দর্শনার্থী, বল করার পর, প্রিয় ক্রিকেটার যদি-বাপী, বাড়ী যা বলেন মানে ছক্কা মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, খুব খুব ভালো যাবে। যদি চার মারেন, তো দর্শনার্থীর দিন, ভালো যাবে। সিঙ্গল বা ডাবল নিলে দিন মোটামুটি যাবে। ডট বলে হলে ৫০-৫০।
এক ক্রিকেট প্রিয় ভদ্রলোক “সুতানুটি ডে রাইডারস” এর জন্য গেলেন পূজো দিতে। “সুতানুটি ডে রাইডারস”পরপর কয়েকটা খেলাতে হেরে প্রায় যায় যায়। পুরোহিত, মন্ত্র পড়ে বল তুলে দিলেন ভদ্রলোকের হাতে । ভদ্রলোক দৌড়ে এসে বল করলেন প্রিয় ক্রিকেটার দেবতাকে।
বোল্ড!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!, মানে কাঠি গুলো সব ছিটকে গেল, বেল সহ ( এ বেল, সে বেল নয়)। তিনটে কাঠি মিলে উইকেট! কি উইকেড ব্যাপার!!!!!!!
পুরোহিত বললেন- সর্বনাশ! এরকম তো হয় না।
ভদ্রলোক- কি হবে?
পুরোহিত- দাঁড়ান, বল শুদ্ধ করতে হবে। দিন হাজার টাকা দিন!
অগত্যা মধুসূদন! কড়কড়ে দশটা একশ টাকার নোট বের করে দিলেন ভদ্রলোক!
পুরোহিত মন্ত্র পড়ে বল শুদ্ধ করে বললেন- “ ওঁ নো বলায় নমঃ”। বল শুদ্ধ হয়ে গেল, আর “আউটের” দোষ কেটে গেল। ফ্রি হিট! ভদ্রলোক মনের আনন্দে বল করলেন আবার! এবার কিন্তু -বাপী, বাড়ী যা । ভদ্রলোক মনের আনন্দে “ছপ্পর উপর কৌয়া নাচে, নাচে বগুলা, আরে রামাহো” গাইতে গাইতে মাঠে খেলা দেখতে গেলেন। তখন কি তিনি আর জানতেন, পুরোহিতের বাড়ীতে আয়কর হানা হবে????????
বলতেই ভুলে গেছি, ভদ্রলোক টেনিদা ভক্ত।
হলে কি হবে!!! ঘোর কলিকাল! পুরোহিতের প্রতিকার কাজেই লাগল না। পুস্করে স্নান করেও কলিকালে চন্দ্র গ্রহণ হচ্ছে। শুধু “ গেলাম আর এলাম” আর “ফেল”। আমাদের গর্ব টেনিদাই যা খেলল। “সুতানুটি ডে রাইডারস” হেরে ভূত! সবার মুখে শ্লোগান- খেলব, ক্যাচ ফেলব, হারবো রে! ললিত বাণী আর পাওয়ারের শক্তি প্রদর্শন।
“আসছে বছর আবার হবে” বলে ভদ্রলোক হাজারীবাগে ফিরে গেলেন। গত তিন বছরে ওই বিদেশি ওমলেট আর দেশী মামলেট মিলেমিশে একাকার হতে পারল না। “আসছে বছর আবার হবে”, হবেই হবে।
দুগ্গা! দুগ্গা! তাই যেন হয়! হয়ে যেন যায়!!!!
No comments:
Post a Comment