বাঙাল গেছে শিয়ালদার বাজারে। তরকারি পট্টীতে প্রায় সব ঘটি।
“বাইগনের কিলো কত?”
ঘটি হেসে কুটিপাটি, বলে- কি বললে মাইরী!
বাঙাল তো!!! চেইত্যা গেল।
“ক্যান? বাইগন কইসি তো কইসি, তয় হইসে টা কি?”
ঘটি—ছোঃ! বেগুন বলতে পারো না?
বাঙাল:- ক্যান, বাইগনরে বেগুন কমু ক্যান?
ঘটি:- আহা, বেগুন বললে মিষ্টি শোনাবে!
বাঙাল:- তাইলে, বাইগনরে বেগুন না কইয়া, প্রাণনাথ কইলেই হয়, আরও মিষ্টি শোনাইবো! তা. তোমার প্রাণনাথের কিলো কত কইর্যাি ?
বস্তাপচা গপ্পো, কিন্তু বললাম বিশেষ কারণে। দুপুরে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ নাতনী ঠেলা দিয়ে বলছে- এই দাদা, হালুম নানা হয়েছিস নাকি? শুনেছি আমার নাক ডাকে। কিন্তু নাক তো আর মিষ্টি করে ডাকে না!!! বিয়ের পর তিনি তো কানে কালা হয়েছেন বলে; বলে বেড়ান। কিন্তু এবার আমি কি করি? তিনি তো কোনোদিনই প্রাণনাথ বলে ডাকবেন না! নাতনিটাও! “দাও টু ব্রুটাস!”
শেষে ঠিক করলাম ও যখন বড় হবে; রবীন্দ্রনাথের বড়দা দ্বিজেন্দ্রনাথ থেকে পড়ে শোনাব----
“শুধু বেঘোরে ঘুমঘোরে,
গরজে নাক বড় জোরে।
বাঘের ডাক মানে পরাভব,
আঁধারে মিশে গেছে আর সব।।"
ওঁ শান্তিঃ!!! ওঁ শান্তিঃ!!! ওঁ শান্তিঃ!!!
No comments:
Post a Comment