Friday, May 24, 2013

স্কুল



গল্পগুচ্ছ ওয়েবজিনে প্রকাশিত

সেল ফোনটার রিংটোন বেজে উঠল । কেয়ার এই ফোনটা নতুন । আগের ফোনটা চুরি হওয়াতে এই ফোনটা কিনেছে । বেশীর ভাগ ফোন নাম্বার আর নেই । আগে সেরকম ভাবে জানা ছিল না বলে, ডিভাইস মেমোরিতে নামের সঙ্গে নাম্বার গুলো সেভ করে রাখা ছিল। তাই এই বিপত্তি । তবে নাম্বারটা একই রয়েছে , সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই পাওয়া  ।
কলিং নাম্বারটা  অচেনা । ওদিকে স্কুলের সময় হয়ে যাচ্ছে ! এখন, ফোন তুলে কথা বলতে গেলে, খানিকটা সময় নষ্ট । দোনোমনা হয়ে ফোনের আনসার বাটনে চাপ দিল কেয়া ।
-       হ্যালো !
-       নমস্কার ম্যাডাম । আমায় আপনি চিনবেন না । সামান্য কথা ছিল দু- একটা ।
-       নমস্কার, যা বলার সংক্ষেপে বলুন । একটু তাড়া আছে । ও হ্যাঁ ! আমার নাম্বারটা কোত্থেকে পেলেন?
-       নাম্বার আমরা পেয়ে যাই । এসব নিয়ে চাপ নেবেন না । বলছিলাম কি, দুদিন পরে যে বন্ধ্ ডাকা হয়েছে, সেই দুদিন স্কুলে যাবেন নাকি ?
-       না ! প্রথম দিন বন্ধ্ ! তাই যাবো না । দ্বিতীয় দিন স্কুলে যাবো ।
-       আপনি লাল  ?
-       মানে ?
-       কিছুই না ! ওই লাল পার্টি বন্ধ্ ডেকেছে । আমি নীল পার্টির লোক ।  প্রথম দিনও আপনি স্কুলে যাবেন , কেমন ? রাখি ।
কেয়া একটু ঘাবড়ালো  ! এসব ওর ভালো লাগে না । গতকাল টিচারদের একটা মিটিংয়ে বেশীর ভাগ টীচাররা ঠিক করেছে, ওরা কেউ আসবে না স্কুলে প্রথম দিন । সুমন্ত বেরিয়ে গেছে । বুবাই ওর সাথেই বেরুবে । এই সময়  উটকো ঝামেলা ভালো লাগে না ।
শহরতলীর এই আধা সরকারী স্কুলে গণ্ডগোল লেগেই আছে । কেয়ার দুই বন্ধু  বড় বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ায় । সেখানে, এই সব বন্ধের দিনগুলোতে, একটা অলিখিত নিয়মই আছে, বন্ধ্ , তা যে পার্টিই ডাকুক, আসতে হবে না স্কুলে । সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ডোনেশান আর মাসে সাড়ে বাইশ হাজার টাকা ফি দিয়ে যে  সব অভিভাবকরা ভর্তি করান নামী স্কুলে, সেই সব স্কুলে কে আর ঝামেলা বাধাতে চায় । অবশ্য কিছুই বলা যায় না, অতি বাঁদর ছাত্র- ছাত্রীকে । আস্তে করে, কি সুইট  বাচ্চাটা ! ঠিক যেন বাচ্চা শুয়োর- বলে ঝাল মেটায় বন্ধু টিচাররা । অভিভাবকরাও খুশী আর ছাত্র- ছাত্রীরাও ওসব নিয়ে মাথা ঘামায় না । এসব কথা রেক্টরের কানে গেলে বিপদ । দুধেল গাইকে কে আর খোঁচাতে চায় !!!!
গত একমাস ধরে স্কুলে খুব গণ্ডগোল । টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে অভিভাবকরা বেশ ঝামেলা করছে । এইসব মার্কস নিয়ে যে আসল পরীক্ষায় পাশ করা যাবে না, সেটা কিছুতেই ওদের বোঝানো যাচ্ছে না ।  বাইরের লোকজন নিয়ে হামলা করেছে বড় দিদিমণির ওপর । উনি অনড় । কিছুতেই আ্যলাউ করবেন না ফেল করা ছাত্রীদের ।
এর কিছুদিন আগে  একজন ফোর্থ গ্রেড স্টাফের নিয়োগ  নিয়ে ম্যানেজিং কমিটিতে একটা গণ্ডগোল হয়েছিল । তিনজন টিচার রিপ্রেজেনটেটিভের মধ্যে একজন ছিল কেয়া ।
বড় দিদিমণির কিছুই করার ছিল না । এই  ফোর্থ গ্রেড স্টাফের পোষ্টটা ডিআই থেকে এসএসসির মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল । এস সি/ এস টি কোটা থেকে জেনারেল কোটা করেই পাঠানো  । তাও নীল পার্টি এন্তার ঝামেলা করেই যাচ্ছে । একদিন তো সাজিয়ে গুছিয়ে একটা দলকেও আনা হয়েছিল, স্কুলের গেটের সামনে, বিক্ষোভ দেখানোর জন্য ।
ব্যক্তি কুৎসা শুরু করেছিল, অন্যতম টিচার রিপ্রেজেনটেটিভ তুলিকার বিরুদ্ধে । ওর ব্যক্তিগত জীবনে ডিভোর্সের কারণ নিয়ে নানা আজে বাজে মন্তব্য মিটিংয়ে তো বটেই, অভিভাবকদের প্রতিনিধিদের সামনে বীভৎস খারাপ ভাবে তুলে ধরে, তুলিকা যে কতখানি  বদ চরিত্রের সেটাও বোঝানো হয়েছিল । এটা করেছিল পুরুষরাই বেশী ভাবে  । চিৎকার করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল কেয়া । তুলিকার স্বামী যে রোজ মদ খেয়ে এসে  পেটাত, সেটা আর প্রকাশ্যে বলতে পারলো না, তবে অন্যভাবে যতটা পারা যায়, সেটা করায় বাকীদের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটা বুঝতে পারে ।
কেয়ার চোয়াল শক্ত হয়ে আসে । মোকাবিলা করার শক্ত শপথ নিয়ে বুবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে স্কুলের জন্য । বুবাইকে ওর স্কুলের সামনে নামিয়ে দিয়ে, রিক্সাটা ঘুরিয়ে নেয় নিজের স্কুলের সামনে ।
ভাড়াটা চুকিয়ে দিয়ে, নামতেই  একটা ছেলে বলল-  দিদিমণির বুকের সাইজটা বেশ ডবকা তো  ! একবারে ক্যাটরিনা কাইফ !!!!   দিদিমণির ব্রার সাইজ কত ? আশেপাশের কয়েকজন হো হো করে হেসে ওঠে ।
অপমানে মুখ লাল হয়ে হয়ে আসে কেয়ার । থাপ্পড় কষাতে ইচ্ছে করলেও, জবাব না দিয়ে,  স্টাফ রুমে ঢুকে ঢকঢক করে এক গ্লাস জল খায় । ছেলেটাকে মনে হয়, সেদিনের সাজানো জমায়েতে দেখেছিল ।
প্রতিমা আর অহনা ট্যারা চোখে তাকায় কেয়ার দিকে ।
-       কি রে, কেয়া ! সালওয়ার কামিজ পরে আসিস কেন ?
-       বেশ করি !
রাগে ফেটে পড়লেও বেশী কথা বাড়াল না কেয়া । প্রতিমা আর অহনা হল জলের চরিত্র । যে পাত্রে যখন, তখন সেই রূপ ধারণ করে । পরিবর্তনের জমানায় এরা এখন লোকাল কাউন্সিলরের খোঁচর । স্কুলের দৈনন্দিন খবর পাচার করে ম্যানেজিং কমিটির ওই স্থানীয় কাউন্সিলরকে । তুলিকা, একদিন তার ডিভোর্সের ব্যাপারটা খুব আবেগের বশে বলে ফেলেছিল প্রতিমাকে । ঠিক তারপরেই চারদিকে রাষ্ট্র হয়ে যায় ব্যাপারটা। কুলের আচারের মত, অনেকেই তারিয়ে উপভোগ করে এখন।
অহনা একটা বিছুটি মার্কা হাসি হেসে বলল- তোর ভালো ভালো শাড়ী গুলো বিক্রি করার জন্য ওএলএক্স ডট. ইনে বিজ্ঞাপন দে । আমি কিনে নেবো । আমার তো বাবা, আবার শাড়ী ছাড়া ভালোই লাগে না ! আমি তো তোর মত হিন্দি সিনেমার অনন্ত যৌবনা নায়িকা নই ।
 খোঁচাটা হজম করে উত্তর না দিয়ে, ক্লাসে যাবার জন্য তৈরি হল কেয়া ।  কোনো রকমে পঁয়তাল্লিশ মিনিট কাটিয়ে ফিরে এলো স্টাফ রুমে ।
সেল ফোনটা অন করতেই দেখল,  সুমন্তর একটা মিসড কল আ্যলার্ট  । রিং ব্যাক করতেই সুমন্ত উত্তেজিত হয়ে বলল:-
-       শোনো, অজিতকে মনে আছে ? অজিত সরকার- আমার কলেজের ক্লাসমেট ?
-       মনে থাকবে না কেন ? পুলিশে চাকরী করে তো ?
-       হ্যাঁ ! সেই অজিত আমাদের থানায় ওসি হয়ে এসেছে ।  আজ দেখা হল । সন্ধেবেলায় বৌকে নিয়ে ফ্ল্যাটে আসতে পারে, সময় পেলে । খাবার-দাবার কিছু একটা বানিয়ে রেখ ।
-       ঠিক আছে ।
সেল ফোনটা বন্ধ করল কেয়া । মনমেজাজ ভাল নেই । সুযোগ পেলে সুমন্তর সামনেই অজিতকেও বলবে আজকের অনামা কলের কথা । এখন আর সুমন্তকে বলবে না । টেনশনে থাকবে ।
চারটের সময়ে বেরিয়ে পড়ল কেয়া । বুবাইকে নিয়েই বাড়ী ফিরে যাবে । সুবিধে একটাই- বুবাইয়ের স্কুলের সময়টা ম্যাচ করে নিজের স্কুলের সাথে । ছেলেটার ক্লাস নাইন হয়ে গেছে, তাও একটু সাবধানেই থাকে কেয়া । স্কুলে একা ছাড়তে চায় না । বুবাই একটু গাঁইগুঁই করে, তবে ওর বেশী কিছু বলে না । গীটার শেখার জন্য বায়না করেছিল ।  সুমন্তর চেনা, সিনে মিউজিসিয়ান অ্যাসোসিয়েশানের একজন গীটার বাজিয়েকে টিচার ঠিক করে দিয়েছে, শেখানর জন্য । বাড়ীতেই এসে শিখিয়ে যান উনি । ভালই শেখান । বুবাইও মনের আনন্দে আছে বলে আর বেশী কথা বলে না ।
সন্ধে সাতটা নাগাদ এল, অজিত  মৌমিতাকে নিয়ে  । ওদের চার বছরের মেয়েটাও দারুণ ফুটফুটে । বুবাইয়ের সাথে জমে গেল টুনটুনি ।
আধঘণ্টা মত পুরোনো দিনের চর্বিত চর্বণ হলো । গল্প- গুজবে কেয়া ভুলেই গেছিল সকালের টেনশনের কথা।
বেস-ফোনে  বাজনা বাজতেই, সুমন্ত ধরল ফোনটা ।
-       বাঃ ! বাঃ ! থানার নতুন ওসির সঙ্গে দেখি ভালই পীরিত আপনাদের । তাতে তো লাভ হবে না দাদা! আপনার মিসেসকে বলবেন, উনি যেন স্কুলে যান বন্ধের প্রথম দিন । আর আপনি তো আপিস যাবেনই – জানা কথা। সরকারি চাকুরে তো ! তাই আর বেশী কিছু বললাম  না ।
-       কে আপনি ?
-       জেনে কি লাভ ?  আর হ্যাঁ ! ওই ওসি আমাদের নজরে আছে । বলে দেবেন । আগের থানায় থাকতে, হারামজাদা বেশ নিরপেক্ষ হবার চেষ্টা করেছিল । ফজলুকে এরেস্ট করেও ধরে রাখতে পারে নি ! তাই তো এই থানায় বদলী ।  এখানে বেশী তেড়িবেড়ি করলে দুঃখ আছে ওর কপালে । বলে দেবেন ! রাখি !
কুঁউউউউউউউউউ শব্দটা হতেই লাগল ফোনে । সুমন্তর মাথাতেও ওই শব্দটা ঘুরপাক খাচ্ছে সংক্রমণের মত।
অজিতই প্রথম নৈশব্দ ভাঙল ।
-       কে করেছিল ফোনটা ? আর তুই ওরকম ধিনিকেষ্টর মত দাঁড়িয়ে কেন সুমন্ত ?
-       না, মানে !
-       আরে, কি হয়েছে বলবি তো !
-       একজন ফোন করে বন্ধের প্রথম দিন কেয়াকে স্কুলে যেতে বলল । আর তুই যে আমার বাড়ী এসেছিস সেটাও জানে । ফজলু বলে কে একটাকে এরেস্ট করার জন্য তোকে এই থানায় বদলি করেছে সেটাও বলল । কেয়া আর তোর প্রতি হামদর্দী দেখিয়ে তোদের বলল, সাবধানে থাকতে ।
হা হা করে প্রত্যুত্তরে হাসল অজিত । মৌমিতা বলল:-
-       আপনার বন্ধুকে নিয়ে আর পারি না ! জ্বলে পুড়ে গেলাম । সব সময় টেনশনে থাকতে হয় । ওই জমানাতেও একই কেস করত আর এই জমানাতেও সেই জেদ । এটা ক্যালকাটা পুলিসের আ্যডেড এরিয়া হওয়াতে এখানে নিয়ে এসেছে । জানি না, কপালে কি আছে । আর কেয়া বৌদি, তোমাকেও বলি- এইসব গণ্ডগোলের মধ্যে যাও কেন বাপু ! বুঝতে পেরেছি, তুমি ওই দিন স্কুলে যাবে না ! তাই এই থ্রেট ! পুলিশের ঘর করছি তো, একটু একটু বুঝি ।
অজিত জিজ্ঞেস করল- তোর  বেস ফোনে কলার আই ডি আছে সুমন্ত ?
না নেই ! এটা তো জাষ্ট সেল ফোন অফ করে রাখলে রাতে ব্যবহার করি আমরা । তাছাড়া, ফিনান্স কোম্পানির লোনের জন্য, ফোনের বিলগুলো একটা প্রুফ অফ অ্যাড্রেসও বটে । তাই রাখা ।
হুম !
কেয়া হতভম্ব হয়েছিল এতক্ষণ । আস্তে আস্তে সম্বিত ফিরে পেয়ে সকালের ঘটনাটা বলল সবাইকে ।
অজিত মুচকি হেসে বলল- সেদিন স্কুলে যাবে কি যাবে না , সেটা তোমার ব্যাপার কেয়া । আমার কিছু বক্তব্য নেই । তবে, তোমার সেল ফোনে যে  নাম্বারটা উঠেছে, ঐটে দাও, সঙ্গে তোমার নাম্বার । দেখি, আননোন কলারকে ট্রেস করতে পারি কিনা !
সুমন্ত বলল:- আমাকে তো যেতেই হবে । সরকারি চাকরি । না হলে একগাদা হুজ্জতি ! আমি বলি কি কেয়া, তুমি সেদিন স্কুলে যাও । বুবাইকে যেতে হবে না । পাশের ফ্ল্যাটে মাসীমার কাছেই থাকবে । বেকার ঝামেলা বাড়িয়ে কি লাভ ? কি বল্, অজিত?
আমার কিছু বলার নেই, মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর দিল অজিত ।
হ্যাঁ হ্যাঁ ! কেয়া যাবে ! রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে আর উলুখাগড়ার প্রাণ যাক আর কি ! মৌমিতা ঝাঁঝিয়ে উঠল।
কোথায় যেন তালটা কেটে সেদিনের মত আড্ডা শেষ  ।
বন্ধের আগের দিন সুমন্ত একটা ব্যাক প্যাকে পাজামা,ফোলানো বালিশ, পাতলা একটা চাদর, টুথব্রাশ, টুথপেস্ট,  তোয়ালে আর এক প্যাকেট তাস নিয়ে চলে গেল অফিসে । পরের দিনে,বন্ধ্ শেষে ফিরবে বাড়ীতে! টেবিল জোড়া দিয়ে রাত কাটাবে অফিসে ।
বুবাইকে সব বুঝিয়ে পাশের ফ্ল্যাটে মাসীমার জিম্মায় রেখে বেরিয়ে পড়ল কেয়া । একটা অপরাধ বোধ কাজ করছে মনে । জানে, প্রতিমা দেখেই হাড় জ্বালান হাসি হাসবে । অহনা ফুট কাটবে , সব সংগ্রামীদের জানা আছে !
একটু এগিয়েই দেখল- বন্ধ দোকানগুলোতে শাবল দিয়ে পেটান চলছে  শাটার গুলোতে । একপাল ছেলে দৌড়াদৌড়ি করছে লাঠি নিয়ে । স্কুলের গেটে ভীষণ ভিড় ।
ঢুকতে পারবে কিনা এই চিন্তা কেয়ার মনে । অজিতকে দেখল, পুলিশ নিয়ে খেদানোর চেষ্টা করছে ওই সব ছেলেদের । স্থানীয় কাউন্সিলর হঠাৎ তেড়ে গেল অজিতের দিকে। চড় উঁচিয়ে কথা বলছে অজিতের সঙ্গে ।
চোখের পলক পড়তে না পড়তেই একটা নীল সার্ট পরা ছেলে রিভলভার বের করে গুলি ছুঁড়ল অজিতের বুকে।  লুটিয়ে পড়ল অজিত রাস্তায় ।
কেয়া কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধরাধরি করে অজিতকে নিয়ে গেল কনস্টেবলরা । এবার আর কেয়া এগুলো না স্কুলের গেটের দিকে । প্রায় দৌড়ে এসে মাসীমার ফ্ল্যাটে ঢুকলো কেয়া । বুবাই ওকে দেখেই লাফিয়ে উঠে কেঁদে বলল :-
মা, টিভিতে দেখাচ্ছে অজিত কাকুকে গুলি করে মেরে ফেলেছে মাস্তানরা !
মাসীমাকে  আঁচল দিয়ে চোখ মুছছেন । মৌমিতা আর টুনটুনির মুখটা ভেসে উঠতেই বুবাইকে জড়িয়ে ধরে কেয়া কেঁদে ফেলল ঝরঝর করে ।
টিভিতে বারবার,বিরক্তিকর ব্রেকিং নিউজ সমাজ বিরোধীদের গুলিতে পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু !
################সমাপ্ত################



No comments: