Sunday, November 9, 2014

সকাল

তখন সকাল পৌনে সাতটা হবে । উনি এসে বললেন:- একজন ডাকছেন তোমাকে ।

কে ?

চিনি না

লুঙ্গি সামলে গিয়ে দেখি একজন চেনা অথচ অচেনা মানুষ ।

এক গাল হেসে বলল ;- আজ যান নি হরির দোকানে?

না- ঘুম থেকে উঠতে দেরি হল আজ । এই যাবো ! ভেতরে এসে বসুন

আমার নাম নীলিম গঙ্গোপাধ্যায় । আমি তো হরির দোকানে খানিক বসে আপনার বাড়ী এলাম, হরির দোকানে আড্ডা মারতে ।

কোনো রকমে হাত মুখ ধুয়ে, একটা হাফ হাতা পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে রওনা দিলাম, দোকানে ।

মাত্র বছর খানেক হলো অবসর নিয়েছে ব্যাংকের চাকরি থেকে । বাগুইআটি, কেষ্টপুরে থাকে ।
গান বাজনা, লেখালেখিও করে ।

ছুটির দিন বলে রিক্সা ষ্টাণ্ড ফাঁকা তখনও ।
 প্রথমেই এলো রতন ।
কি রে ! আজ দেরি কেন ?

আর কি করবো? আজ ছুটির দিনে প্রাণে লাইফ নাই ।
বেঁটে নীলু- পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান । গামছার ওপর একটা গেঞ্জি পরে এসেছে চা খেতে । অনেক দিন ধরে বলছি, আমার বেড সুইচটা পাল্টাতে ।
দেখেই রেগে বললাম – তোর বড় বাড় বেড়েছে, এত ডাকছি, তাও আসছিস না  ।

আমার বার আর কোথায় ?
মানে ?
সব বারই তো আপনার । রবি থেকে শুরু করে  শনি পর্যন্ত ।  সবার মাঝে গালি দিচ্ছেন- আমার পিষ্টিজ নেই ?

ইয়ার মাছওয়ালা এসে বসল, গামছায় মুখ মুছে । খড়িবাড়ী থেকে সাইকেল চালিয়ে আসে । এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট লাগে আসতে ।

আমরা বলি নিউ টাউন- ওরা বলে ঘুনের ভেড়ী ।  ওখানকার ভেড়ী থেকেই মাছ আনে।
কেষ্টপুর খালের মাছ নোংরা জলের মাছ, খেতে “টেস” নেই । জোয়ারের মাছ নয় ।
নীলিমের ওঠার সময় হয়ে গেল ।
মঞ্চে এক আখওয়ালার প্রবেশ তখন ।
 দাঁত পরি গেসে, এখন আর পয়সা দিয়ে  ঠোঁট ছিড়ি, আখ খাবো কেনে ? রস করি দেলে খাবো নে ।

------
এই ভাবেই শুরু হলো আজকের দিনটা ।


No comments: