Thursday, August 7, 2014

এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু



বাড়ী থেকে আরম্ভ করে- পথে ঘাটে,  চলন্ত রিক্সায়, ট্রামে বাসে; কতরকমের বেশুমার কথা যে শুনতে হয় তার ইয়ত্তা নেই ।

সকালে বাজারে যাচ্ছি । আমার উনি,  বাজারের থলি ধরিয়ে বললেন:- আমি এখনও বিধবা হই নি- এটা মনে রেখো ।

গত দুদিন বাজার যাওয়া হয় নি, তাই খাদ্য তালিকায় মাছও নেই । একেবারে, বাপী বাড়ী যা ------ ইষ্টাইলের ডায়ালগ ।

রাস্তায় দেখা হলো—এই রাজ্যের  পূর্বতন শাসক দলের এক নেতার সাথে । অনেকদিন পরে দেখা । আমার চেয়ে বয়সে বড় ।

জিজ্ঞেস করলাম- ভালো আছেন, দাদা ?
জবাব এলো:- আবার দাদা কেন ?
না, আপনি বয়সে বড়, তাই দাদা সম্ভ্রম সূচক সম্বোধন ।
বাবু বলুন
সে কি ? আপনি ঊনবিংশ শতাব্দীর কোলকাতায় – বাবু কালচারের লোক নাকি ?

পাশ দিয়ে যেতে যেতে একজন ফুট কাটলেন :- কথাটা তা নয় ! আসলে উনি এতদিন “হজুর” শুনে অভ্যস্ত তো ! চট্ করে- দাদাতে নামতে পারছেন না !
যঃ পলায়তি, স জীবতি---- সূত্র ধরে অকুস্থল থেকে আমার প্রস্থান !
এবারে আরেক জনের খপ্পরে । তার প্রবলেম – ৬ বছরের ছেলে কিছুতেই নিরানব্বই বলবে না । খালি- ঊনএকশো বলেই যাচ্ছে ।

সমাধান চাই  ! আমি আর কি বলি ?

উনুনে মাছ চড়বে, তাই হাফ কিলো ঢাঁই মাছ কিনে বাড়ী ফিরে এলাম ।
========

রেডি হচ্ছি------- নতুন বাক্যবাণ শোনার জন্য ।




Wednesday, August 6, 2014

পিন


=======
বাবার কাছে শোনা গল্প !
রাজশাহী, নাটোরের আগদীঘা গ্রামে এসেছেন বাবা, কাশী থেকে । এক প্রবীণ পণ্ডিত মশাই বললেন :- কবে এলে এখানে?
এই তো আজই এলাম
কবে রওনা দিয়েছিলে?
আজ্ঞে, গত পরশু !
সে কি হে ? এত তাড়াতাড়ি চলে এলে, কাশী থেকে?
আজ্ঞে, এখন তো রেলগাড়ী হয়েছে, তাই তাড়াতাড়িই আসা যায় ?
রেলগাড়ীর নাম শুনেছি বটে ! তবে বস্তুটি কি ? ( পণ্ডিত মশাই জীবনে আগদীঘার বাইরে যান নি )
আজ্ঞে, একরকম বাস্পীয় শকট, যেটা লোহার তৈরী রাস্তায় চলে !
কাশী থেকে রাজশাহী শুধুই লোহার রাস্তা ?
আজ্ঞে !
থাম হে ! খাঁটি বামুন ঘরের ছেলে, অনৃত ভাষণ ( মিথ্যে কথা বলা) করছো ?
কেন পণ্ডিত মশাই ?
দরকারের সময়, হাতের কাছে একটা পেরেক পাই না, আর সেই কাশী থেকে রাজশাহী পর্যন্ত লোহার রাস্তা ? এত লোহা কোথায় পাবে সাহেবরা ! দিনের বেলায় গঞ্জিকা সেবন করেছো নাকি ?
=========
আমারও মাঝে মাঝে ধন্ধ জাগে । জানেন ?
যেমন ধরুন- পিন ! পুরো কথাটা হলো গিয়ে আলপিন !
আমরা হলাম গিয়ে গাঁ- গেরামের মানুষ ! আল বললেই- চাষের খেতে মাটির সরু ভাগ করার, অল্প উঁচু বাঁধকে বুঝি ।
খালি পায়ে হাঁটলে, পায়ে খোঁচা টোচা লাগে বটে, তবে বিশ্বাস করুন- পিন খুঁজে পাই নি কোনো দিন।
সে সব নাকি, কাগজের আয়তাকার বাস্কেবিক্রি হয় ।
কাগজ লিখতে মনে পড়ল- টুকরো কাগজও পিন মেরে একজায়গায় রাখে ।
আবার ধরুন মশা----- সারাদিন পিনপিন করে উড়ে বেড়ায়, আর পিন ফোটায় । জীবনে সেই পিন দেখি নি !
অনেক দিন হয়ে গেল পোষ্ট আপিস পিনচালু করেছে । আরম্ভ হওয়ার সময়
শুনেছিলাম- এতে নাকি চিঠি পত্তর শিগ্গিরি আসবে !
ও ম্মা ! কোথায় কি ? আগে যে চিঠি একদিন বা দুদিনে আসত, সেগুলো এখন হয় একমাসে আসে, নয় তো আসেই না !
কে যে-পিনমারে, কে জানে?
পিনমারা আর এক সব্বোনেশে কাণ্ড!
সবারই অল্প- বিস্তর পিন মারার অভ্যেস আছে । আমার ফেসবুকের দেওয়ালে এখন অজস্র পিন মারা ।
নতুন যখন এটিএম চালু হয়েছিল, তখন আমার এক বন্ধু ব্যাংকের ঝামেলা এড়াতে সেই যন্তরের সামনে টাকা তুলতে গেছিল ।
যন্তরে কার্ড ঢোকাতেই নাকি স্ক্রীনে ভেসে উঠেছিল ইনসার্ট ইওর পিন ।
বেচারা এক বাক্স পিন কিনে এনে মেসিনে ঢুকিয়েই চলেছে- টাকা আর বেরোয় না !
সেই দিন থেকেই, তার শপথ আজও চালু রেখেছে----- জীবনে আর এটা সেটা এটসেটরার দরকার হলেও----- এটি এমের ধার আর মাড়ায় নি ।
বাবার কাছে গল্প শোনা সেই পণ্ডিত মশাইয়ের কথা খালি মনে পড়ে !
====

এখন তো- করার কিছু নেই ! আমি নিজেই------- পিনখাড়ু !

Tuesday, August 5, 2014

টেলিফোন


=======

একটা সময়
, এই টেলিফোন অনেক বাড়ীতেই ষ্টেটাস সিম্বল ছিল । পাড়াতে বড় জোর একটা, খুব বেশী হলে দুটো টেলিফোন বাড়ীথাকতো ।
আপ্লাই করে দশ বছর পরে লাইন এসেছে বাড়ীতে- এটাও দেখেছি । অবশ্য, যদি কারও এমপি জানাশোনা থাকতো বা কেউ যদি এশেনসিয়াল গভরমেন্ট চাকরী করতেন- তাঁদের বেলা এই দেরিটা হতো না ।

এঁদের টেলিফোন নম্বর আমরা দিয়ে রাখতাম, বিভিন্ন বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজনের কাছে ।
যাঁদের টেলিফোন, তাঁরা কিন্তু একটুও বিরক্ত হতেন না, আমাদের টেলিফোন এলে । রাত- বিরেতে কারও অসুস্থ হবার খবর পেলে, তাঁরা যুদ্ধ তৎপরতায় সেটা পৌঁছে দিতেন যাদের দরকার, তাদের কাছে ।
তখন কিন্তু এই তিন মিনিটের সময় সীমা ছিল না । তাই যতক্ষণ খুশী কথা বলা যেত।
আবার মুশকিলও ছিল ।
ধরুন আপনি অমিতকে ফোন করবেন, চলে গেল অমিতার কাছে । সে এক বিরাট লাফড়া ।
বা, ধরুন কথা বলছেন কারও সাথে, অন্য কেউ ঢুকে পড়লেন লাইনে । তখন শুরু হত ক্যাওড়ামী ।
কখনও সেই ক্যাওরামী থেকে জন্ম নিত প্রেম, এক অদেখা যুবক যুবতীর মধ্যে । দেখা করার জায়গা ঠিক হত ।
ঘনিষ্ঠ হতে হতে বিয়ে- ছেলে- পিলে- ক্যাঁথা, ফিডিং বোতল, গ্ল্যাক্সো বেবী ফুড সব মিলিয়ে এক উপাদেয় রান্না ।
বঙ্কিমী ভাষায় :- ওহো কি হেরিলাম, জন্ম- জন্মান্তরেও ভুলিব না !!!
দূরের জন্য ট্রাঙ্ক কল বুক করে বসে থাকতো লোকজন । লাইটনিং কল ছিল । আটগুণ বেশী পয়সা দিয়ে সেই কল সাথে সাথেই পাওয়া যেত ।
আবার ছিল- পিপি । মানে পার্টিকুলার পারসন । নাম বলে দিতে হতো যাকে চাইবেন, তার কথা । সে না থাকলে, আর কল ম্যাচিওর করতো না ।

কত যে নাটক, সিনেমা, গল্প, উপন্যাস লেখা হয়েছে সেই সময়ে, সেটা সমঝদার মানুষ মাত্রেই জানেন ।


আর ছিল
 ম্যানুয়াল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ । আগে শিল্পক্ষেত্রে মহিলাদের নাইট ডিউটি করানো নিষিদ্ধ ছিল । ব্যতিক্রম ছিলো হাসপাতাল(ডাক্তার ও নার্স) এবং এই ম্যানুয়াল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মহিলা অপারেটর । ক্রস কানেকশন হয়ে প্রেমের ঘটনা খুবই অল্প , কিন্তু এই ম্যানুয়াল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মহিলা অপারেটরদের সঙ্গে প্রেমে পড়ার ঘটনা ভুরি ভুরি ঘটতো সারা পৃথিবীতেই । এই নিয়ে প্রচুর গল্প-উপন্যাস-সিনেমা হয়ে গেছে অনেক । আমাদের কলকাতায় আগে মহিলা টেলিফোন অপারেটর মানেই ছিল এ্যাঙ্গলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের । ওদের সেই মৌরসি পাট্টায় প্রথম ধাক্কা আসে দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গ থেকে অসংখ্য ছিন্নমূল উদ্বাস্তু পরিবারের মেয়েরা পেটের দায়ে এই (নাইট ডিউটি ওয়ালা) চাকরি নিতে বাধ্য হওয়ার কারনে । তার আগে এদেশি মেয়েরা চাকরিই প্রায় করতো না , সামাজিক বাধার কারনে । বাঙাল মেয়েরা নার্স ও টেলিফোন অপারেটরের চাকরি করতে শুরু করায় ও এদেশি ছেলেদের সঙ্গে চাকরিসূত্রে প্রচুর মেলামেশার কারনে ব্যাপক প্রেম-পরিনয় সুরু হয়ে যাওয়ায় এদেশি গোঁড়া লোকেদের মধ্যে গেল গেল রব উঠে গেছিলো । বাংলা গল্প-উপন্যাসে-সিনেমায় অল্প হলে তার প্রতিফলনও হয়েছিলো ।
কারিগরী বদলালো । এলো  এসটিডি । সাবস্ক্রাইবার ট্রাংক ডায়ালিং । আর কারও দ্বারস্থ হতে হতো না । যে শহরে ফোন করবেন, তার একটা কোড আছে । যে নম্বর চাইবেন তার আগে ওই কোড বসালেই কেল্লা ফতে !
মিনিটের আর হিসেব থাকতো না ! দিল্লিতে ছুটির দিনে খিচুড়ী বসিয়ে মেয়ে , কোলকাতায় মাকে জানাতো, আর মাও সব কাজ ফেলে মেয়েকে নির্দেশ দিতেন কিভাবে করতে হবে ।
এদিকে বিল চড়চড় করে উঠেই চলেছে, আর জামাই বাবাজীবন কপাল ঠুকছে দেওয়ালে ।
সেই সময়ে রব উঠলোএসটিডি , যৌন রোগের নাম । বিশুদ্ধ বাদীরা রে রে করে তেড়ে গেলে নাম পাল্টে হলো এন.এস.ডি । ন্যাশনাল সাবস্ক্রাইবার ডায়ালিং ।
আন্তর্জাতিক কল হলো :- ইনটারন্যাশন্যাল সাবস্ক্রাইবার ডায়ালিং, সংক্ষেপে এন.এস. ডি ।
ব্রাত্য হলো স্বপ্নের সেই ভারী টেলিফোন । পোষাকী ভাষায় ল্যান্ড লাইন । আরও সফি নাম হলো- ডেস্কটপ ফোন ।
হা- হতোস্মি--------  ওরা সবাই বৃদ্ধ হলেন । চলো এলো সেল ফোনের যুগ । কল রেট পাল্লা দিয়ে কমে এখন সমস্ত দুনিয়া হাতে মুঠোয় ।
যাক্ গে ধান ভানতে শিবের গীত হয়ে গেল এটা ।
যে কথা বলতে- এত কথা লিখলাম ।
সক্কালবেলা আমার এক বন্ধুর ফোন ।
আরম্ভ হলো---- এক মহাভারত । মেয়ে কবে গিয়েছিল আম্রিগায় পড়তে ( সবই জানা ), ওখানে কি খায় ( এটাও জানা কারণ আগেও ফোন করেছে আর মেয়েটার মুখে ছোটবেলায় টুইঙ্কল টুইঙ্কল লিটল ষ্টার শুনে কতবার যে মুগ্ধতার ভান করতে হয়েছে , বন্ধুর সামনে ), এই সব দিয়ে শুরু হলো---- রাম, দুই, তিন করে ।
গম্ভীর হয়ে বললাম:- ভ্যানতারা ছেড়ে বল, কি করতে হবে ?
বন্ধু কাঁচু মাচু গলায় বলল অনি আজ আসছে কোলকাতায় । একা যেতে ভয় করছে এয়ারপোর্টে, তুই আমার সাথে যাবি ?
========

বলুন ------এই সব কোথায় পেতাম, যদি সেল ফোন না থাকতো?
গড়ে টু নেতাজী আন্তর্জাতিক- কম কথা ?





Monday, August 4, 2014

আমার চর্যাপদ


ভাষা বলতে,  বিশেষ করে কথ্য ভাষা বা মুখের কথাই বোঝায় । তবে, কথ্যভাষার মধ্যেও অসম্পূর্ণতা আছে । মুখোমুখি কথা বলতে গেলে, বক্তা আর শ্রোতাকে সামনাসামনি আর একই সময়ে থাকতে হয় । ইদানীং- সেল ফোন, ডেস্কটপ ফোন, টিভি, সিডি প্লেয়ার, নেট চ্যাট ; এসব এসে যাওয়াতে একজায়গায় না থাকলেও চলে কিন্তু সমকালে থাকতে হয় ।
টিভি, সিডি প্লেয়ার – এই সবের বেলায় বক্তা / শ্রোতা সমকাল এবং কাছাকাছি থাকে না, আর তাই সেটাকে কথোপকথন চলে না । শুধু, কথা আর দৃশ্য দেখা যায় ।
তাই এটাকে আমি লিখিত ভাষা বলব, কারণ লিখিত ভাষায় কোনো কথোপকথন চলে না । তবে,আজকাল ওয়েবজিন আসাতে, এই সমস্যার সমাধান হয়েছে কিছুটা । পাঠকদের প্রতিক্রিয়া কিছুটা হলেও পাওয়া যায়, কিন্তু মুদ্রিত বা লিখিত কোন ব্যাপারে এই সব সম্ভব নয় । আর এটা ভেবেই আমি আশ্চর্য্য হই ।
সাম্প্রতিক কালের কথা বলছি না । বলছিসেই সব দিনের কথাযখন মুদ্রণ ব্যাপারটাই ছিল অকল্পনীয় । এইসব কেই বোধহয় যুগোত্তীর্ণ লেখা বলে !লেখাগুলো ভরপুর হয়ে থাকে মন । কেন সেটা বলছি তার আগে আরও কিছু ভূমিকা করে নেই ।
১৮৮২ সালে রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালে প্রাপ্ত সংস্কৃত ভাষায় রচিত বিভিন্ন বৌদ্ধপুঁথির একটি তালিকা প্রস্তুত করেন। এই তালিকাটির নাম ছিল- Sanskrit Buddhist Literature in Nepal রাজেন্দ্রলাল মিত্রের (২৬.৭.১৮৯১) মৃত্যুর পর তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বাংলা-বিহার-আসাম-উড়িষ্যা অঞ্চলের পুথি সংগ্রহের দায়িত্ব দেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী-র উপর। এই সূত্রে তিনি ১৯০৭ সালে নেপালে যান (তৃতীয় অনুসন্ধান-ভ্রমণ)। এই ভ্রমণের সময় তিনি নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগারে কিছু নতুন পুঁথির সন্ধান পান। এই পুঁথিগুলোসহ হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা- নামেএকটি সংকলন প্রকাশিত হয় ১৩২৩ বঙ্গাব্দে (১৯১৬) সালে। এই সংকলনের একটি গ্রন্থ ছিল চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চিয়
গ্রন্থনাম : ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে নেপালে প্রাপ্ত তালপাতার পুথি সম্পর্কে একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। এই তালিকার নামছিলো- A Catalogue of Palm Leaf and selected Paper MSS belonging to the Durbar Library, Nepal এর দ্বিতীয় খণ্ডের তালিকায় এই পুথির নাম হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন -চর্য্যাচর্য্যটীকা। এই নামটি পুথির মলাটে লিখা ছিল। কিন্তু ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা- নামক গ্রন্থের ভূমিকায় এই গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেছেন- চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চিয়  কেন তিনি গ্রন্থটির নাম পরিবর্তন করেছিলেন তার ব্যাখ্যা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দেন নি।
এই পুঁথির বন্দনা শ্লোকে আছে-
 'শ্রীলূয়ীচরণাদিতিসিদ্ধরচিতেহপ্যাশ্চর্য্যাচেয়সদ্বার্ত্মাবগমায়নির্মলগিরাং......। এই শ্লোকে উল্লিখিত 'আশ্চার্য্যচর্য্যাচয়শব্দটিকে এই গ্রন্থের নাম হিসাবে প্রস্তাব করেছিলেন বিধুশেখর শাস্ত্রী। প্রবোধকুমার বাগচী এবং সুকুমার সেন এর যথার্থ নাম হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন- চর্য্যাশ্চর্য্যবিনিশ্চিয় এই গ্রন্থের মনুদত্তের তিব্বতী অনুবাদ অনুসরণে এই পুথির নাম চর্যাগীতিকোষবৃত্তি নামকরণের প্রস্তাব করেছেন। নামকরণের এই বিতর্ক থাকলেও সাধারণভাবে এই পুথিকে চর্যাগীতি বা চর্যাগীতিকা নামেই পরিচিত।

রচনাকাল : বিভিন্ন গবেষকগণ এই পুথিঁর পদগুলোর রচনাকাল সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য কিছু মত দেওয়া হলো। যেমন-

সুনীতি চট্টোপাধ্যায় : খ্রীষ্টীয় ৯০০ হইতে ১২০০-র মধ্যে রচিত "চর্য্যাপদ" নামে পরিচিত কতকগুলি বৌদ্ধ সহজিয়া মতের গানে আমরা বাঙ্গালা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন পাই। [ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ
। রূপা।বৈশাখ ১৩৯৬]

সুকুমার সেন : বাঙ্গালা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল আনুমানিক দশম হইতে মধ্য-চতুর্দশ শতাব্দ (৯০০-১৩৫০ খ্রীষ্টাব্দ)। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর আবিষ্কৃত ও প্রকাশিত
'হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহানামক বইটির প্রথম গ্রন্থ "চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়" অংশে সঙ্কলিত চর্যাগীতিগুলি আদি স্তরের অর্থাৎ প্রাচীন বাঙ্গালার নিদর্শনরূপে উল্লিখিত হইলেও এগুলির ভাষা খাঁটি আদি স্তরের বাঙ্গালা নহে। [ভাষার ইতিবৃত্ত। আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড। নভেম্বর ১৯৯৪]
ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ : আমি বাঙ্গালা সাহিত্যের আরম্ভ ৬৫০ খ্রীঃ অঃ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছি। নাথ-গীতিকার উদ্ভব বৌদ্ধযুগে। কিন্তু আমরা তাহা পাই নাই। আমরা বৌদ্ধযুগের একটি মাত্র বাঙ্গালা পুস্তক পাইয়াছি। ইহার নাম আশ্চর্যচর্যাচয়। [বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত। মাওলা ব্রাদার্স। জুলাই ১৯৯৮]

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটা খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যার প্রধান কবিরা হলেন লুইপাদকাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ এবং আরও অনেকে
যে পুঁথিতে তিনি ঐ বৌদ্ধগানগুলো পেয়েছিলেন তার নাম ছিল- চর্য্যাচর্য্য- বিনিশ্চয় । চর্য শব্দের অর্থ হলো- আচরণীয় আর অচর্য্য অর্থে- অনাচরণীয় ।
এটা থেকে পরিস্কার বোঝা যায়, যে এই সব রচিত হয়েছিল- ধর্মসম্বন্ধীয় বিধিনিষেধ নিয়ে ।
চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে ভাষাবিদদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ মনে করেন- ৬৫০ খ্রীঃ বাংলা সাহিত্যের আরম্ভকাল। এছাড়া ফরাসী পণ্ডিত সিলভ্যাঁ লেভির (Sylvain Levi) তাঁর Le Nepal ( Vol. I.P 347) গ্রন্থে বলেছেন-মৎসেন্দ্রনাথ (নাথপন্থার আদি গুরু) ৬৫৭ খ্রীষ্টাব্দে রাজা নরেন্দ্র দেবের রাজত্বকালে নেপালে গমন করেন। ফলে এটা ধারণা করা অস্বাভাবিক নয় যে,৬৫০ খ্রীঃ এর দিকেই বাংলা সাহিত্যের জন্ম। কিন্তু আরেকজন প্রখ্যাত ভাষাবিদ ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টপাধ্যায় তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ The Origin and Development of the Bengali language (Vol I.P 122)-এ উল্লেখ করেন, “মীননাথের শিষ্য গোরাক্ষনাথের সময় খ্রীঃ ১২শ শতকের শেষে।” ফলে মীননাথ দ্বাদশ শতকের লোক। এজন্য তিনি প্রাচীনতম বাংলা রচনার কাল ৯৫০ খ্রীঃ অঃ বলে নির্দেশ করেন। এবং সুকুমার সেন সহ বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব পণ্ডিতই সুনীতিকুমারকে সমর্থন করেন ।
লুইপাদ বৌদ্ধসিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের প্রবীণ কবিএই মত প্রকাশ করেছেন অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি। কিন্তু মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতেলুইপা ছিলেন শবরপার শিষ্য। তাই তিনি প্রথম কবি হতে পারেন না। তাঁর মতে লুইপা ৭৩০ থেকে ৮১০ খ্রীঃ মধ্যে জীবিত ছিলেন। লুইপাদ বাংলাদেশের লোক ছিলেন। তবে এ নিয়ে মতভেদ আছে।ব্‌স্তন্‌-গু্যরে শ্রীভগবদভিসময়’ নামক একটি তিব্বতী পুস্তকে তাকে বাংলাদেশের লোক বলা হয়েছে। আবারতিব্বতী ঐতিহাসিক লামা তারনাথের মতে লুইপা পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গার ধারে বাস করতেন। হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর মতেতিনি রাঢ় অঞ্চলের লোক। এবং শ্রীযুক্ত রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর একটা হিন্দী অভিভাষণে বলেছেন – “লূয়িপা মহারাজ ধর্মাপালকে কায়েস্থ বা লেখক থে।” লুইপা রচিত পদ দুটি- ১ ও ২৯ নং। তার রচিত সংস্কৃতগ্রস্থগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়- অভিসময় বিভঙ্গবজ্রস্তত্ত্ব সাধনবুদ্ধোদয়ভগবদাভসারতত্ত্ব সভাব। লুইপার প্রথম পদটির দুটি উল্লেখযোগ্য চরণ-

কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল ।।

আধুনিক বাংলায়ঃ দেহ গাছের মতএর পাঁচটি ডাল/ চঞ্চল মনে কাল প্রবেশ করে।
কুক্কুরীপাদ > পদ নং- ২/২০/৪৮

চর্যাপদের দ্বিতীয় পদটি কুক্কুরীপাদ রচিত। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ ব্যতীত অন্য অনেকেমনে করেন তিনি তিব্বতের কাছাকাছি কোনো অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। নিশ্চিতভাবে বললে কপিলসক্র। মুহঃ শহীদুল্লাহ্‌ মনে করেনকুক্কুরীপাদ বাঙলা দেশের লোক। তার জন্মকাল নিয়ে দ্বিধামত নেই। খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকে তার জন্ম।কুক্কুরীপাদের নাম নিয়ে অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। ড. সুকুমার সেন সন্দেহপ্রকাশ করেছেন যেকুক্কুরীপাদের ভাষার সাথে নারীদের ভাষাগত মিল আছে। তাইতিনি নারীও হতে পারেন। আবার তার সহচারী যোগিনী পূর্বজন্মে লুম্বিনী বলেকুক্কুরী ছিলেন বলেতার এই নাম হয়েছেএমতও পোষণ করেন অনেক ঐতিহাসিক। চর্যাপদে কুক্কুরীপাদের তিনটি বৌদ্ধগান ছিল। কিন্তু একটি অপ্রাপ্ত। ২ ও ২০ নং তার লিখিত পদ। এবং চর্যাপদে খুঁজে না পাওয়া ৪৮ নং পদটিও তার রচিত বলে ধরা হয়। কুক্কুরীপাদের পদযুগল ছিল গ্রাম্য ও ইতর ভাষার। কুক্কুরীপার দ্বিতীয় পদটির দুটি উল্লেখযোগ্য চরণ-
দিবসহি বহূড়ি কাউহি ডর ভাই।
রাতি ভইলে কামরু জাই ।।আধুনিক বাংলাঃ দিনে বউটি কাকের ভয়ে ভীত হয় / (কিন্তু) রাত হলেই সে কামরূপ যায় ।
(চলবে )

এই লেখাটির জন্য আমি যে সব বই এবং যাদের লেখার সাহায্য নিয়েছি :-

১। চর্যাপদ- ডঃ সুকুমার সেন ।
২। 'চর্যাপদকবিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী -মুহম্মদ মাজ্‌হারুল ইসলাম মাজ্‌হার
  

আঁক

ইস্কুলে আমাদের তিনটে “আঁক” করানো হতোই ।
চৌবাচ্চার নল
বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা নামা
সিঁড়ি ভাঙা

বুঝতেই পারতাম না, একটা চৌবাচ্চাতে জল যখন ঢোকানো হচ্ছে, তখন তাকে আর একটা নল দিয়ে বের করানোর দরকার কি ?
জল কি জমবে না চৌবাচ্চাতে ? প্রশ্ন করলে- বিজন স্যার বলতেন, বড় হলে বুঝবি !
তখন, বন্য প্রাণী আইন সংক্রান্ত জটিলতা ছিল না । তাই বোধহয়, বাঁদরকে জোর করে তৈলাক্ত বাঁশে ওঠা নামা করানো হত ।
বিজন স্যারকে আবার প্রশ্ন । বলেছিলেন- বাঁদরের বাঁদরামি যে কি রকম হয়, সেটাও বড় হলে বুঝবি ।
শেষে সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক !
করতে করতে নেমেই যাচ্ছি তো যাচ্ছিই ।
উত্তর- বেশীর ভাগ সময়েই শূন্য, কয়েকবার বোধহয় “ এক” হত ।
বিজন স্যারের উত্তর কি হবে, সেটা জানা ছিল বলে আর বেমক্কা প্রশ্নটা করি নি ।
========
বড় হয়েছি কিনা জানি না, তবে, শারিরীক কারণেই বৃদ্ধ হয়েছি ।
বুঝতে পারছি-------- চৌবাচ্চার জল, জমার নয় ।
আমি নিজেও ওই তৈলাক্ত বাঁশে চড়ে আছি, মানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । একটু উঠি তো অনেক খানি নেমে যাই ।
আর সিঁড়ি ভাঙা ?
এখনও তো ভেঙেই চলেছি ---------- জানি , শূন্যেই শেষ হবে উত্তর, তবে বাই চান্স  যদি “এক” হয় ?
হলে, কি হবে জানি না ! তবে, এত শূন্যের মাঝে ---- এক, একটা বিরাট পাওনা !


Saturday, August 2, 2014

অপুর টিভি

ব্যস্ত,  তাও একবার ফেসবুকে আমার ওয়ালে মুখ দেখিয়ে যাচ্ছি  একটা কারণে।

জানি- আপনারা গতকাল বুকী ঘোষের ঘটনাটা বিশ্বাস করেন নি । আম্মো লাচার !  সত্যি ঘটনা প্রমাণ করার দায় আমার নেই ।

একটা ঘটনা আজ সকাল এগারোটা নাগাদ ঘটেছে, সেটাই আপনাদের কাছে উপস্থিত করছি । বিশ্বাসের দায় ভার আপনাদের ।

বুকী এবং আমাদের কমন বন্ধু অপু গোঁসাইয়ের ( ভালো নাম, জয়ন্ত ) আদ্যিকালের টিভিটা পরশু রাতে দেহ রেখেছে ।

কোনো রকমে চলছিল এতদিন । তবে ফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরের তাপ সহ্য না করতে পেরে  অক্কা টিভির ।

অপুর স্ত্রীর খুব সখ- এল সি ডি স্ক্রীনের বড়, বিশাল টিভি । অপু হিসেব করে দেখল- যা টাকা কুড়িয়ে বারিয়ে হবে, তাতে হয়ে যাবে নতুন টিভি ।
এবারে সমস্যা- পুরোনো টিভি । দোকানদার বলল – নিয়ে আসুন, একচেঞ্জ করে দেবো ।
হিসেবী অপু ---এবারে সাবধান । কত  ছাড় পাবো, একচেঞ্জ করলে ?
চালু টিভি হলে তিন হাজার টাকা
আর চালু না হলে ?
এক হাজার টাকা ।

অপু  টিভিটা  গতকাল বয়ে নিয়ে এসেছিল আমাদের পাড়ার কালু মিস্তিরির কাছে ।
নগদ চার হাজার টাকা খরচ করে  চালু করেছে টিভি ।

এল সি ডি টিভির দোকানে  টিভি কিনতে যাওয়ার পথে চা খেয়ে গেল আমার বাড়ীতে।

সারানো টিভিটা একচেঞ্জ করবে অপু ।

Friday, August 1, 2014

বুকী ঘোষ

বিকেল বেলা হঠাৎ বুকী ঘোষের বউ কণকের ফোন ।
রামকৃষ্ণদা আপনি এখনই আসুন, আপনার বন্ধু কেমন যেন অস্বস্তি বোধ করছে শরীরে। আর মাথাও ঘুরছে ।
বুকী আমার থেকে ছোট হলেও , বয়স ৬৫ পেরিয়েছে ।
তার ওপর আজই সকালে আমার চেনা এক ভদ্রলোক বয়স ৭০ হবে , কথা নেই বার্তা নেই সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়ে মারা গেছেন ।
একটা কাজ মন দিয়ে করছিলাম  । সব ফেলে, কোনো রকমে একজন ডাক্তার বাবুকে পাকড়াও করে দৌড় বুকীর বাড়ী রিক্সা করে ।
প্রেশার টেশার সব নর্মাল ।
তবু বুকী কপাল চাপড়ে বলেই যাচ্ছে :- হায়, হায়------ একি করলাম !
ডাক্তার বাবু ঘুমের বড়ী প্রেসক্রাইব করে ফিজ নিয়ে বেরিয়ে গেলেন !
কণককে জিজ্ঞেস করলাম – আসল ব্যাপারটা খুলে বলত, কি হয়েছে ?
আর বলবেন না রামকৃষ্ণদা ! আপনি তো জানেন- গত দুমাস আগে একটা নতুন ফ্রিজ কেনা হয়েছে ।
জানি !
আজ সকালে উঠে দেখি------পুরু বরফে ভরা সমস্ত ফ্রিজের ভেতর ।
তারপর ?
তার আর পর নেই !
কেন ?
আপনার বন্ধু একটা পেরেক আর হাতুড়ী নিয়ে টুক টুক করে বরফ গুলো ভাঙ্গতে শুরু করল । যতই বারণ করি----- শোনে না । বলে :- রাখ তোমার কথা ! এসব ছোট খাট ব্যাপার আমার কাছে জলভাত ।
তারপর ?
হঠাৎ একটা ফুস করে শব্দ আর ফ্রিজ বন্ধ
বুকী কি ফ্রিজ অন করে ঠুক ঠুক করছিল নাকি ?
তবে আর কি ?
ও বাবা ! কি হলো এর পরে ?
কোম্পানীর কাষ্টমার কেয়ারে ফোন করার পর ওরা এলো । দেখেই বলল – পাইপে ফুটো করল কে?
আপনার বন্ধু বুক চিতিয়ে বলল – আমি !
কি করতে গেছিলেন ?
বরফ গুলো হাতুড়ী আর পেরেক দিয়ে ভাঙছিলাম !
ডিফ্রষ্ট বোতাম আছে জানতেন না ? ডেমো দেবার সময় তো বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম।
অত কি আর মনে থাকে ?
ঠিক আছে,কাল ২৬০০ টাকা রেডি রাখবেন এসে সারিয়ে দেবো ।
আমার তো ওয়ারেন্টি পিরিয়ডে আছে ।
আছে, তবে আপনি পেরেক মেরে গ্যাস পাইপ ফুটো করবেন, তার জন্য তো কোশ্পানী দায়ী নয় !
==========
আমি ফিরে এলাম, বকেয়া কাজটা শেষ করতে হবে বলে ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘুমের ওষুধে অনভ্যস্ত বুকী------ এখন অঘোরে ঘুমোচ্ছ।