আজ সকালে হরির দোকানে সবাই কেমন যেন বিষণ্ণ । ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নীলু বেশী
কথা বলে, কিন্তু আজ তার মুখে অদৃশ্য সেলোটেপ ।
এদিকে ওয়ার্ডে প্রার্থীরা বেরিয়েছেন পরিক্রমায় ।
শাসক দলের নয়, এমন একজন প্রার্থী দাঁড়িয়ে পড়লেন চা খেতে । অল্প কিছু সাঙ্গোপাঙ্গো
সাথে ।
এককালে বাঘে গরুতে, একসাথে জল খেতো তাঁর দাপটে । এখন তিনি নিজেই ভিজে বেড়াল
।
নীলুকে অনুরোধের স্বরে বললেন – দুটো ফ্যান লাগাস তো, আমাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে
। ভাড়া নেবো ।
তারপর কি ভেবে আবার বললেন – ঠিক আছে, আপাতত একটাই ফ্যান লাগা ।
মধুর উত্তর :- নীলু, শুধু মুণ্ডিটা লাগিয়ে দে আগে –তারপর বুঝে শুনে পাখাগুলো
লাগাবি ।
প্রার্থী ভদ্রলোক রেগে গেলেও বহিঃপ্রকাশ করলেন না । আগে হলে, রোওয়াবটা বোঝা
যেত ।
আমাকে বললেন :- কেমন আছেন ?
বিগলিত করুণা, জাহ্নবী যমুনা হয়ে বললাম – ভালো, আপনি ?
এই তো, আছি একরকম । যা সন্ত্রাস চারিদিকে !
হ্যাঁ – আর বলবেন না ! আচ্ছা, ওই দশ বছর আগে আপনি ওমুক ওয়ার্ডে আনকনটেসটেড হয়ে
জিতেছিলেন না ?
হঠাৎ ওনার তাড়া দেখলাম, চলে যাওয়ার । মঞ্চ থেকে নিস্ক্রমণ হয়ে গেল তাঁর ।
হরির মঞ্চে আগমন ।
বোজছস্ নীলু, বিরটিস রা আবার আইলেই ভালো
কেন ?
অগো আমলে দল ছিল না ! কত্ত কাজ করসে , ক দেহি ?
তুমি দেখেছিলে নাকি ?
না তয়, হুনসি তো !
এবারে নীলুর মাষ্টার ষ্ট্রোক :-
তালে মোঘল আমল এলেই ভালো । আর ঝামেলা থাকে না ।
No comments:
Post a Comment