সকালে, জামসেদপুরের প্রখ্যাত ও বরিষ্ঠ
কবি বারীন ঘোষালের Barin Ghosal এই আপডেটটা চোখে পড়ল ।
“দুনিয়ার পাগলরা এক হও। চলো আমরা পাগলদের কমিউন তৈরি করি । সেয়ানা পাগলরা বাদ।”
বলি, আলাদা করে পাগল কোথায় তৈরি হয়
মশাই ?
সবাই তো বাই ডিফল্ট পাগল । পাগলামি
যদি না থাকে, তবে সেই মানুষটা সুস্থ নয় ।
কথায় বলে না ?
পাগলা খাবি কি, ঝাঁঝেই মরে যাবি !
পাগলাদের ফেভারিট খাবার হলো ক্ষীর
!
কেন?
ওই যে বলে- পাগলা, ক্ষীর খা !
কতরকমের যে পাগল, এই দুনিয়াতে !
কাজ-পাগল
বৌ- পাগল
সিনেমা- পাগল
গান -পাগল
মেয়ে –পাগল
বই –পাগল
করে করে :- সাহিত্য পাগল ।
আর এক পাগল কবি তারপদ রায় বলে গিয়েছেন
:- পাগল চেনার শ্রেষ্ঠ উপায় হলো মোড়ে দাঁড়ানো ।
যদি দ্যাখেন , ট্র্যাফিক পুলিশ ছাড়া
আর কেউ ট্র্যাফিক কন্ট্রোল করছে, সে নির্ঘাৎ পাগল ।
পাগলরা, অন্তত আমি দেখিনি- একসঙ্গে
থাকে !
থাকলেও বেশীক্ষণ নয় ।
কারণ ?
পাগলেও নিজের ভালো বোঝে ! বুইলেন কিনা
!
পাগলরা কোনোদিন সেয়ানা হয় না, হলে সে
পাগল নয় ।
গান পাগল মান্না দে গেয়েছিলেন :-
যখন কেউ আমাকে পাগল বলে তার প্রতিবাদ
করি আমি
যখন তুমি আমায় পাগল বলো , ধন্য যে
হয় সে পাগলামি
ধন্য আমি ধন্য হে পাগল তোমার জন্য হে
সলিল চৌধুরীর সুরে নিচের গানটার কথা:-
পাগল হাওয়া
কি আমার মতন তুমিও হারিয়ে গেলে
ফুলেরও বনে হাজারও রঙের মেলায়
সুরভি লুটের খেলায়
তারে নাহি পেলে
অত কথা কি ? কবিদের গুরুঠাকুর রবি দাদু
তো বলেইছেন :-
পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে. পাগল আমার
মন জেগে ওঠে॥
তাই বলি, এত পাগল- ধুনবে কে ?
No comments:
Post a Comment