ভাগ্যিস, তারক চাটুজ্জে ছিলেন। না হলে তো তিলুর কথা জানতেই পারতাম না! উল্কার গর্তের মধ্যে লাল খাতাটা তো তারক চাটুজ্জেই খুঁজে পেয়েছিলেন। টানাটানি যাচ্ছিল বলে মাত্র কুড়িটা টাকার বিনিময়ে খাতাটা হাত ফেরতা করেছিলেন। খাতাটা অদ্ভুত! পাতা ছেঁড়ে না, লেখার কালি ঘন্টায় ঘন্টায় রং বদলায়। আগুনে পোড়ে না! যে খাতাটা অবিনশ্বর মনে হয়েছিল, শেষে কিনা বুভুক্ষু ডেঁয়ো পিঁপড়েরা খেয়ে ফ্যালে!!!!!! তা খোঁজ খবর করে,পরে আরও একুশটা খাতা/ডায়েরী হাতে আসে, তিলুরই লেখা। না হলে কি যে হতো!!!!
গিরিডির ধন্বন্তরী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, ত্রিপুরেশ্বর বাবুর একমাত্র এই ছেলেটা; গিরিডির ইস্কুল থেকে মাত্র বারো বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করে। তারপর চোদ্দোতে, আই.এস-সি আর ষোলোয় ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে ভালো অনার্স নিয়ে বি.এস-সি। এক কথায় ব্রিলিয়ান্ট!!!!!!!জীবনে সেকেন্ড হয় নি কোনো পরীক্ষায়। আবার বিশ বছর বয়সে কোলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে অধ্যাপক! ভাবা যায়???????
১৯১৬ সালের ১০ ই জুন না অক্টোবরে জন্ম, তা নিয়ে একটু ধন্ধ ছেলেটির ডায়েরিতে আছে, আর ১৯৯১ সালের ডায়েরিতে অসমাপ্ত একটা লেখাতে লিখেছিল, “আজ আমার পঁচাত্তর বছর পূর্ণ হলো”। ও নিজে না বললেও ১৯১৬ সালটা বিয়োগ করলেই বেরিয়ে আসে। আর ১০ ই জুন না ১০ ই অক্টোবর; এটা নিয়ে দুরকম লেখা আছে ওই ডায়েরিতে। তা যাক, ওতবড় পণ্ডিতের একটু আধটু ভুল হতেই পারে।
আর হবে নাই বা কেন!!!! যে ছেলে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বৈজ্ঞানিক আবিস্কার করে, তেরো বছর বয়স থেকে চুল পাকে, সতেরো বছরে টাক পরতে শুরু করে, একুশ বছরে পুরো টাক, সে ছেলে যে মাথায় প্রচুর জিনিস ভরে রাখে, তার ভুল হতেই পারে। এগারো মাস বয়সের স্মৃতি মনে আছে ভদ্রলোকের। ওই জন্য, জন্মের তারিখের গোলমালটা.......। থাক!
লম্বায় পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি ( পরে আরও দুই ইঞ্চি বেড়েছিল), চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা। চোখের পাওয়ার মাইনাস সিক্স আর মাইনাস সেভেন পয়েন্ট টু ফাইভ। সুইডিস আ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে নোবেল সমতুল্য ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত এই ভদ্রলোক (আর ছেলে বলব না) আমাদের গর্ব।
বাইরের বিজ্ঞানীরা কিন্তু ভদ্রলোককে বিজ্ঞানী বলে মানতেই চায় না। আবিস্কারের কথা বললে বলে--- ভারতবর্ষ মন্তর তন্তরের দেশ। ওই ভাবেই নাকি আবিস্কার গুলো হয়ে গেছে। এই ভুল ধারণার একটা ভিত্তি আছে। ভালো সংস্কৃত জানেন ভদ্রলোক। তার ওপর, অতি বৃদ্ধ প্রপিতামহ বটুকেশ্বর তান্ত্রিক ছিলেন। বাবা গোলকের শিষ্য ছিলেন বটুকেশ্বর। আবার একটা গণ্ডগোল!!!! ডায়েরিতে পিতামহ বটুকেশ্বরের উল্লেখ দেখি। ইনি সাধনরত অবস্থায় শিলাবৃষ্টিতে ব্রহ্মতালুতে ফুটো হয়ে মারা যান। এদিকে পিতামহ, আর এক বটুকেশ্বর খাঁটি গৃহস্থ হলেও অসম্ভব ভালো শ্রুতিধর ছিলেন। তবে বটুকেশ্বরের নামটা তো আবার কেউ দিতেও পারে। হাজার হোক, তান্ত্রিক বলে কথা!! ভদ্রলোক নিজেও আবার ভুত-প্রেতের ব্যাপারটা বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে মৌলিক এক বইও লিখেছিলেন।
নাঃ! এই ভদ্রলোককে কালটিভেট করতে হবে!
পুনশ্চ:- ভালো নামটা ভুলে গেছি বলতে! প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু! ওনার ডায়েরী টা পড়ে নেবেন আপনারা।
গিরিডির ধন্বন্তরী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, ত্রিপুরেশ্বর বাবুর একমাত্র এই ছেলেটা; গিরিডির ইস্কুল থেকে মাত্র বারো বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করে। তারপর চোদ্দোতে, আই.এস-সি আর ষোলোয় ফিজিক্স কেমিস্ট্রিতে ভালো অনার্স নিয়ে বি.এস-সি। এক কথায় ব্রিলিয়ান্ট!!!!!!!জীবনে সেকেন্ড হয় নি কোনো পরীক্ষায়। আবার বিশ বছর বয়সে কোলকাতার স্কটিশচার্চ কলেজে অধ্যাপক! ভাবা যায়???????
১৯১৬ সালের ১০ ই জুন না অক্টোবরে জন্ম, তা নিয়ে একটু ধন্ধ ছেলেটির ডায়েরিতে আছে, আর ১৯৯১ সালের ডায়েরিতে অসমাপ্ত একটা লেখাতে লিখেছিল, “আজ আমার পঁচাত্তর বছর পূর্ণ হলো”। ও নিজে না বললেও ১৯১৬ সালটা বিয়োগ করলেই বেরিয়ে আসে। আর ১০ ই জুন না ১০ ই অক্টোবর; এটা নিয়ে দুরকম লেখা আছে ওই ডায়েরিতে। তা যাক, ওতবড় পণ্ডিতের একটু আধটু ভুল হতেই পারে।
আর হবে নাই বা কেন!!!! যে ছেলে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বৈজ্ঞানিক আবিস্কার করে, তেরো বছর বয়স থেকে চুল পাকে, সতেরো বছরে টাক পরতে শুরু করে, একুশ বছরে পুরো টাক, সে ছেলে যে মাথায় প্রচুর জিনিস ভরে রাখে, তার ভুল হতেই পারে। এগারো মাস বয়সের স্মৃতি মনে আছে ভদ্রলোকের। ওই জন্য, জন্মের তারিখের গোলমালটা.......। থাক!
লম্বায় পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি ( পরে আরও দুই ইঞ্চি বেড়েছিল), চোখে সোনালী ফ্রেমের চশমা। চোখের পাওয়ার মাইনাস সিক্স আর মাইনাস সেভেন পয়েন্ট টু ফাইভ। সুইডিস আ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস থেকে নোবেল সমতুল্য ডক্টরেট উপাধিতে ভূষিত এই ভদ্রলোক (আর ছেলে বলব না) আমাদের গর্ব।
বাইরের বিজ্ঞানীরা কিন্তু ভদ্রলোককে বিজ্ঞানী বলে মানতেই চায় না। আবিস্কারের কথা বললে বলে--- ভারতবর্ষ মন্তর তন্তরের দেশ। ওই ভাবেই নাকি আবিস্কার গুলো হয়ে গেছে। এই ভুল ধারণার একটা ভিত্তি আছে। ভালো সংস্কৃত জানেন ভদ্রলোক। তার ওপর, অতি বৃদ্ধ প্রপিতামহ বটুকেশ্বর তান্ত্রিক ছিলেন। বাবা গোলকের শিষ্য ছিলেন বটুকেশ্বর। আবার একটা গণ্ডগোল!!!! ডায়েরিতে পিতামহ বটুকেশ্বরের উল্লেখ দেখি। ইনি সাধনরত অবস্থায় শিলাবৃষ্টিতে ব্রহ্মতালুতে ফুটো হয়ে মারা যান। এদিকে পিতামহ, আর এক বটুকেশ্বর খাঁটি গৃহস্থ হলেও অসম্ভব ভালো শ্রুতিধর ছিলেন। তবে বটুকেশ্বরের নামটা তো আবার কেউ দিতেও পারে। হাজার হোক, তান্ত্রিক বলে কথা!! ভদ্রলোক নিজেও আবার ভুত-প্রেতের ব্যাপারটা বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে মৌলিক এক বইও লিখেছিলেন।
নাঃ! এই ভদ্রলোককে কালটিভেট করতে হবে!
পুনশ্চ:- ভালো নামটা ভুলে গেছি বলতে! প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু! ওনার ডায়েরী টা পড়ে নেবেন আপনারা।
No comments:
Post a Comment