যথারীতি , বুকী ঘোষের রেশন দোকানে আমি হাজির । আড্ডা চলছে পুরোদমে । আমিও আমার হাফ গেলাস ভর্তি স্কুলের সিলেবাসে পাশ করা জ্ঞান নিয়ে বেশ ঘ্যাম নিয়ে চেয়ারে “বসায়মান” ।
সুখেন ( বুকীর ছোট ভাই ), ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করে । এক কেজি পিওর ভেটকি মাছে, বাটার ফ্রাই হলে পঁচিশটা নামে আর খালি ফিস ফ্রাই হলে ষোলটা । ম্যানুফ্যাকচারিং
কষ্ট্ গড়ে পঁয়ষট্টি টাকা পিস । তার ওপর লাভ রেখে বিক্রি । ফুটপাথে বা অন্য জায়গায়
যে সব ফিস ফ্রাই আমরা খাই, ৯৯ % পাঙাস মাছের ।
দিব্যি জ্ঞান চক্ষু খুলছিল আমার । একদিন হাওড়ার মাছের
বাজারে ওর সাথে যেতে বলল । ওখানে শুশুকের মাংসও পাওয়া যায় । ওটা দিয়েও ফিস ফ্রাই
নাকি হয় ।
বলল :- আমার লগে হাওড়া গ্যালে পর- আর জিন্দেগীতে ফিস ফ্রাই
খাইবেন না- বোজ্জেন রামকিসনো দা !
এ রকম অনেক কথার পর আমার কাছে পাঁচশ টাকা ধার চাইল । ব্যাপারটা
বেশ সন্দেহজনক ! সুখেন ধার চাইবার লোক নয় । ক্যাটারিংয়ে ভালই টু পাইস কামায় । মনে
হলো, কোনো প্ল্যান আছে ওর ।
কি করবি টাকা দিয়ে?
শুঁটকি মাছের ব্যাবসা করুম !
হঠাৎ ?
ক্যাপাটিল কম পড়সে ! ( ঠিকই পড়েছেন- ক্যাপাটিল)
দোকান গুলা দ্যাখসেন ?
কোনগুলো ?
ওই সেলস্ এম্পোরিয়াম আর সুজাতা ইলেকট্রনিকস্ ?
দেখেছি তো !
ভীড় দ্যাখসেন ?
পুজো এগিয়ে আসছে- ভীড় তো হবেই ।
হের লাইগ্যাই তো কই
।
কি ?
আমি ওই দুগো দোকানের মাঝে শুঁটকি লইয়া বসুম, চট বিছাইয়া !
তার পর ?
ওরাই আইবো আমার কাছে টাকা লইয়া ! ক্যাপাটিল হইবো আমার !
কেন ?
আর কইতে লাগে ? বুইজ্যা লন ! সামনে একটা বড় ক্যাটারিং
ধরসি,আড়াই হাজার লোকেরে খাওয়াইতে লাগবো ।
No comments:
Post a Comment