=======
বাবার কাছে শোনা গল্প !
রাজশাহী, নাটোরের আগদীঘা গ্রামে এসেছেন বাবা, কাশী থেকে । এক প্রবীণ পণ্ডিত মশাই বললেন :- কবে এলে এখানে?
এই তো আজই এলাম
কবে রওনা দিয়েছিলে?
আজ্ঞে, গত পরশু !
সে কি হে ? এত তাড়াতাড়ি চলে এলে, কাশী থেকে?
আজ্ঞে, এখন তো রেলগাড়ী হয়েছে, তাই তাড়াতাড়িই আসা যায় ?
রেলগাড়ীর নাম শুনেছি বটে ! তবে বস্তুটি কি ? ( পণ্ডিত মশাই জীবনে আগদীঘার বাইরে যান নি )
আজ্ঞে, একরকম বাস্পীয় শকট, যেটা লোহার তৈরী রাস্তায় চলে !
কাশী থেকে রাজশাহী – শুধুই
লোহার রাস্তা ?
আজ্ঞে !
থাম হে ! খাঁটি বামুন ঘরের ছেলে, অনৃত ভাষণ
( মিথ্যে কথা বলা) করছো ?
কেন পণ্ডিত মশাই ?
দরকারের সময়, হাতের কাছে একটা পেরেক পাই না, আর সেই কাশী থেকে রাজশাহী পর্যন্ত লোহার রাস্তা ? এত লোহা
কোথায় পাবে সাহেবরা ! দিনের বেলায় গঞ্জিকা সেবন করেছো নাকি ?
=========
আমারও মাঝে মাঝে ধন্ধ জাগে । জানেন ?
যেমন ধরুন- পিন ! পুরো কথাটা হলো গিয়ে – আলপিন !
আমরা হলাম গিয়ে গাঁ- গেরামের মানুষ ! আল বললেই- চাষের খেতে
মাটির সরু ভাগ করার, অল্প উঁচু বাঁধকে বুঝি ।
খালি পায়ে হাঁটলে, পায়ে খোঁচা টোচা লাগে বটে, তবে বিশ্বাস করুন- পিন খুঁজে পাই নি কোনো দিন।
সে সব নাকি, কাগজের আয়তাকার “বাস্কে” বিক্রি হয় ।
কাগজ লিখতে মনে পড়ল- টুকরো কাগজও পিন মেরে একজায়গায় রাখে ।
আবার ধরুন মশা----- সারাদিন পিনপিন করে উড়ে বেড়ায়, আর পিন ফোটায় । জীবনে সেই পিন দেখি নি !
অনেক দিন হয়ে গেল – পোষ্ট
আপিস “পিন” চালু করেছে । আরম্ভ হওয়ার সময়
শুনেছিলাম- এতে নাকি চিঠি পত্তর শিগ্গিরি আসবে !
ও ম্মা ! কোথায় কি ? আগে যে
চিঠি একদিন বা দুদিনে আসত, সেগুলো এখন হয় একমাসে আসে, নয় তো আসেই না !
কে যে-“পিন” মারে, কে জানে?
“পিন”মারা আর এক সব্বোনেশে কাণ্ড!
সবারই অল্প- বিস্তর পিন মারার অভ্যেস আছে । আমার ফেসবুকের
দেওয়ালে এখন অজস্র পিন মারা ।
নতুন যখন এটিএম চালু হয়েছিল, তখন আমার
এক বন্ধু ব্যাংকের ঝামেলা এড়াতে সেই যন্তরের সামনে টাকা তুলতে গেছিল ।
যন্তরে কার্ড ঢোকাতেই নাকি স্ক্রীনে ভেসে উঠেছিল – ইনসার্ট ইওর পিন ।
বেচারা এক বাক্স পিন কিনে এনে মেসিনে ঢুকিয়েই চলেছে- টাকা
আর বেরোয় না !
সেই দিন থেকেই, তার শপথ আজও চালু রেখেছে-----
জীবনে আর এটা সেটা এটসেটরার দরকার হলেও----- এটি এমের ধার আর মাড়ায় নি ।
বাবার কাছে গল্প শোনা সেই পণ্ডিত মশাইয়ের কথা খালি মনে পড়ে
!
====
এখন তো- করার কিছু নেই ! আমি নিজেই------- পিনখাড়ু !
No comments:
Post a Comment