আজ যখন সকাল সাড়ে ছটায়, বিছানায়
শুয়েই চা পেলাম, তখনই বুঝেছি- কেস গণ্ডগোলিস !
গতকাল হাফ কিলো
ঢাঁই মাছ এনেছিলাম । সেটা দু বেলাতেই শেষ । তার আগের দিন আলু দু কিলো, পেঁয়াজ এক কিলো ছাড়া, সব তরকারিই আড়াইশো করে আনা ছিল ।
আলু- পেঁয়াজ ছাড়া, দু দিনে অন্যগুলো বাড়ন্ত । আজ মাছ তো আনতেই হবে, সাথে
সব্জী ।
বেরিয়ে যাবার মুখে শুনলাম – ভালো
চিঁড়ে আর ব্ল্যাক রোজ এনো ।
তন্ন তন্ন করে খুঁজলাম- ঢাঁই মাছ, ছবি তুলে
ফেসবুকে পোষ্টাবো বলে !
কোথায় কি ? শুধু আড়, রাঘব-
বোয়াল, কাজরী ( মতান্তরে- বাঁশ পাবদা) , পাবদা, ইলিশ, পমফ্রেট, রুই আর কাতলাতে ভর্তি মাছের বাজার ।
ইলিশের কেজি শুরু- পাঁচশো থেকে, শেষ-
বারোশো থেকে তেরোশোর মধ্যে অবশ্য সাইজ আর
ওজন অনুসারে ।
কাঁকরোল – ২০ টাকা / কেজি
জ্যোতি আলু -২০/ কেজি
টম্যাটো-৭০ / কেজি
পটল-২৫ / কেজি
কাতলাই কিনলাম ।
গোটা ১৬০ টাকা কেজি । মাথা বাদ দিয়ে , দরাদরি করে সেটা ১৫ টাকায় মাছ ওয়ালাকেই দিয়ে নিশ্চিন্ত । দাম, কিছুটা হলেও কমলো তো !
এবারে আর মনে পড়ে না, বাকী কি
আনতে হবে ! ফোনও করতে পারছি না, বাড়ীতে।
যতটা সম্ভব, হনহন করে পা চালিয়ে মুদির দোকানে পৌঁছলাম ।
চেনা একজন এর মধ্যেই ফুট কাটলো-রামকিসনোদা, আজ দেখি---- সব্যপাচী ।
মানে ?
যার দু হাত সমানে চলে, তাকে বলে-
সব্যসাচী । আজ আপনার পা দুটো সমানে চলছে তো, তাই – সব্যপাচী ।
খেয়ালই ছিল না, রবি আছে সঙ্গে তার রিক্সা নিয়ে ।
মাথা ভোঁ ভোঁ করছে ।
রবিই শেষে মনে করালো- বৌদি কি একটা ফুল আর ভালো চিঁড়ে আনতে
কয়েচিল ।
গোপালের কাছে চিঁড়ে নিয়ে- ফুলের দোকানে এলাম ।
ব্ল্যাক রোজ শুনেই দোকান দার হাঁ ।
কি ভেবে, থুতনী চুলকে বলল – আমার কাছে নেই । ওই সব, সায়েবদের বাজারে পাবেন ।
ক্লান্ত শরীরটা টেনে হিঁচড়ে রবির রিক্সায় তুলে কোনো রকমে
বাড়ী ।
বাজারের থলি খুলেই-
কাংস বিনিন্দিত কণ্ঠে প্রশ্ন – চিঁড়ে কি হবে ? আছে তো ।
তুমি যে বললে!
উফ্ – কালো জিরে বলেছিলাম । আর মাথার তেল
কই ? আনো নি ?
কখন বললে ?
ওই যে – ব্ল্যাক রোজ মাথার তেল !
==============
ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়------- প্রবাদটা মিথ্যে ।
No comments:
Post a Comment