ইদানীং লালমোহন
বাবু গড়পারের বাড়ীতে ইনটারনেট কানেক্সান নিয়েছেন । তাঁর গল্পে যাতে ভুল ভাল তথ্য
ধরা না পড়ে, তাই এই সাবধানতা ।
ভরদ্বাজের দেওয়া
প্রথম কাপ চা খেয়ে লালমোহন বাবু খবরের কাগজ পড়া শেষ করে, দু
নম্বর কাপটা খেতে খেতে ইন্টারনেট সার্ফ করেন ।
তপসের কথাতে একটা
ফেসবুক অ্যাকাউণ্টও খুলেছেন তিনি ।
জটায়ু নামটা ফেক
হতে পারে ভেবে, লাল মোহন গাঙ্গুলী নাম দিয়েছেন প্রোফাইলে ।
আসল ছবিও দিয়েছেন
।
তাতেও কি নিস্তার
আছে ?
রসে বশে গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করতেই প্রশান্ত ভট্টাচার্য
বলে একজন ইনবক্সে জিজ্ঞেস করল – আপনি কে মশাই ? যত্ত সব “ফেক” লু পার্টি !
উত্তরে লিখে
ছিলেন লালমোহন বাবু------ “ফেক” লু থেকে “ক” টা বাদ দিন । আমি “ফেলু”
পার্টি । মানে ফেলুদার লোক ।
আপনার আসল পরিচয়
দিন,
না হলে আবেদন অগ্রাহ্য হবে ।
আর মশাই, ঘনাদা
সেই কবে থেকে কাশীবাসী, তার প্রোফাইল যদি রসেবশে অ্যাপ্রুভ
করতে পারে, তা হলে আমার নয় কেন ?
ও সব ছাড়ুন মশায়
। পরিচয়টা দিন
দাঁড়ান- ফেলুদার
নম্বর দিচ্ছি, ওকে জিজ্ঞেস করুন । উনিই বলবেন আমি সত্যিই লালমোহন
কিনা !
এসব ভাবতে ভাবতে
হরিপদবাবু এসে তার মোবাইল দিয়ে বলল- তোপসে ফোন করেছে ।
লালমোহন বাবু
ফোনটা ধরলেন ।
ওপারে তোপসে :-
এই জন্যই বলি, ল্যাল্ডলাইন ছেড়ে দিয়ে ভালো করেন নি । এদিকে আপনার
সেল ফোনটাও অফ্ । তাই হরিপদ বাবুকে ফোনে ধরলাম
আপনি শিগ্গির চলে
আসুন আমাদের বাড়ী
লালমোহন বাবু
ঘাবড়ে গিয়ে উত্তর দিলেন – হ্যাঁয়েস !
+++++++++++++++
অ্যাম্বাসেডর বন্ধ হয়ে গেছে বলে, লালমোহন বাবু একটা মাটি মাটি রঙের শেভ্রলে সেল ইউভা কিনেছেন ।
এর ব্যাক গিয়ার দেওয়াটা অন্য ধরণের । টেনে তুলে দিতে হয় ।
হরিপদ বাবুর প্রথম প্রথম একটু অস্বস্তি হচ্ছিল, তবে এখন ধাতস্থ হয়ে গেছেন ।
রজনীকান্ত সেন লেনের বাড়ীটায় কলিং বেল দিতেই শ্রীনাথ দরজা
খুলে লালমোহন বাবুর হাতে ঝোলানো একটা কেজি দুয়েকের মত ইলিশ দেখে অবাক !
“হে হে হে, আমার এক পাঠকের মাছের ব্যবসা আছে ।
আজই সকালে দিয়ে গেছিল । ভরদ্বাজ রান্না করার আগেই ফেলু বাবুর ডাক । তাই নিয়ে এলাম
সাথে করে ।
শ্রীনাথ- তুমি জমিয়ে রান্না করো দেখি ।”
ইলিশ মাছটা লাল মোহন বাবুর হাত থেকে নিয়ে শ্রীনাথ কিচেনে
চলে গেল ।
বসার ঘরে ঢুকতেই লাল মোহন বাবু দেখলেন---- ফেলু মিত্তির
একটা ইংরেজী বই পড়ছে ।
এটা নতুন বই বুঝি ?
আর না না, ২০১৩ র ৫ই মার্চ
বেরিয়েছে ।
কার লেখা?
কার নয়, কাদের বলুন !
বেশ বেশ , কাদের লেখা ?
সাইমন ডানষ্টান আর জেরার্ড উইলিয়ামস্ ।
এরা কারা ? প্রখর রুদ্রের ওদেশী
এডিশান ?
ধ্যাৎ
আচ্ছা, আচ্ছা বইটার নাম কি ?
দ্য গ্রে উলফ্ – হিটলারের নিস্ক্রমণ ।
শ্রী নাথ , কফি আর কাজু দিয়ে গেল
।
এই সময়ে ডোর বেল ।
ফেলুদা বলল :- নির্ঘাত কর্ণেল সায়েব এসেছেন জয়ন্তকে নিয়ে !
কি করে বুঝলে ডার্লিং ফেলু ? কর্ণেল সাহেবের প্রবেশ ।
আপনার ডোর বেল বাজানো দেখে ।
টাকে হাত বুলিয়ে মুচকী হাসলেন কর্ণেল সায়েব ।
জোব্বার পকেট থেকে চার প্যাকেট চারমিনার সিগারেট বের করলেন
কর্ণেল নীলাদ্রি সরকার ।
লাল মোহন বাবু জুলজুল করে চেয়ে আছেন- কর্ণেল সাহেবের টাক আর
সাদা দাড়ির দিকে ।
তোপসেকে ফিস ফিস করে জিজ্ঞেস করলেন :- ইনি কে ? হাইলি সাসপিসিয়াস
!
তোপসের হেসে উত্তর :- ইনি প্রখর রুদ্রর ওল্ড এজ মডেল । খুব
ফুল গাছ ভালোবাসেন ।
ফেলুদা অবাক হয়ে বলল – চারমিনার সিগারেট কোথায় পেলেন কর্ণেল
সাহেব ?
কর্ণেল সাহেব মুচকি
হেসে :- আরে পার্ক ষ্ট্রিটের সেলিমের দোকান থেকে । আজকাল আর বেশী আসে না । জয়ন্ত
দেখে কিনে এনেছে, তোমার জন্য । সো নাইস অফ হিম । দু প্যাকেটের বেশী দিচ্ছিল না,
তবু জোর করে এনেছে জয়ন্ত ।
আপনার ফ্লাইং ডাচমান পাচ্ছেন, পাইপের জন্য ?
আর বলো না ফেলু--- কি যে কষ্ট হয়, ঠিকমত পাওয়াই যায় না
আজকাল । আমার আবার তামাক না খেলে কেমন যেন সুগার কমে যায় ।
জানেন তো ! ডেভিড
স্টার জর্ডান নামে এক বায়োলজিস্ট, বলেছিলেন ‘যে ছেলে
ধূমপান করে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই; কারণ, তার কোনও ভবিষ্যৎই নেই।’- ফেলুদা
বলল ।
সে তো বুঝতেই পারছি , তোমাকে দেখে----- মিটিমিটি হাসছেন
কর্ণেল সাহেব ।
লাল মোহন বাবুর উসখুস শুরু হয়েছে । এবারে সজোরে বললেন :-
এই বৃষ্টির দিনে কোথায় ইলিশের কথা হবে, তা নয়, যত্ত সব
তামাক নিয়ে আলোচনা।
কর্ণেল পাইপে তামাক
ভরতে ভরতে জিজ্ঞাসা করলের :- ডার্লিং, ফেলু, এই ভদ্রলোকের পরিচয় ?
ফেলুদা গম্ভীর হয়ে বলল :- লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু
তোপসে বলল :- অনেকের ধারণা, কর্ণেল
স্যার! আপনার চেহারা কিন্তু ফাদার দ্যতিয়েনের সঙ্গে মিলে যায় ! তা আজ কে যে আপনি খালি মাথায় ? টুপিটা কোথায়
গেল ?
মুখে সান্তা ক্লজের মতো সাদা গোঁফ-দাড়ির মধ্যে একটা মুচকী
হাসি কর্ণেল সাহবের। পিঠের খোলা ব্যাকপ্যাক থেকে উঁকি দিচ্ছে প্রজাপতি ধরার
নেট-স্টিক, গলায় ঝুলছে বাইনোকুলার আর ক্যামেরা।
পিঠের দিকে দেখিয়ে বললেন :- ডার্লিং তোপসে, যা গরম ! টুপিটা
খুলে এই ব্যাকপ্যাকে রেখেছি ।
লালমোহন বাবুর মুখটা হাঁ হয়েই আছে ।
ফেলুদা বলল :- কি, লাল মোহন বাবু, এবারে কি প্রখর রুদ্রও
ব্যাকপ্যাকে এসব রাখবে না কি ?
জয়ন্ত বলল :- প্রখর রুদ্র নামটা চেনা চেনা মনে হচ্ছে !
লাল মোহন বাবু উঠে বাও করে ভুরু কুঁচকে বললেন :- স্যার, ওটা
আমার তৈরি একজন গোয়েন্দা । প্রথমে রবার্ট ব্লেকের আদলে লিখতাম, তারপর ফেলুবাবুর
সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, প্রখরকে ওনার আদলেই গড়েছি ।
কিন্তু ওই চরিত্র তো সাহারায় শিহরণ, দুর্ধষ্ দুশমন, বোম্বাইয়ের
বোম্বেটেতে আছে আর লেখক তো জটায়ু ।
লালমোহন বাবুর মুখে গর্বের হাসি । মিটি মিটি চোখে বললেন –
আমিই সেই জটায়ু !
নীলাদ্রি সরকার লাফিয়ে :- হাউ সুইট ডার্লিং জটায়ু । আপনাকে
আমার ওয়ার এক্সপিরেন্স বলবো !
ভালো করে বুঝিয়ে
বলবেন , কর্ণেল, না হলে প্রখর রুদ্র আবার পিস্তল দিয়ে ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দেবে । - ফেলুদার চিমটি
শ্রীনাথ এসে, মোটামোটা পাঁচ পিস ইলিশ মাছ ভাজা আর কফি রেখে
গেল । লালমোহন বাবু উঠে দাঁড়িয়ে বললেন ----- এটা আমার !!!
কর্ণেল সাহেব ভুরু কুঁচকে :-মানে ? ঐ সব গুলো ইলিশ মাছ ভাজা
একা খাবেন নাকি- ডার্লিং জটায়ু ?
না না, কর্ণেল সাহেব ! লালমোহনবাবু ঐ বড় ইলিশ মাছটা এনেছিলেন
। উত্তেজিত হয়ে মাঝে মাঝে এরকম বলেন । - ফেলুদার যোগ, হাসতে হাসতে ।
আপনার চিন্তা নেই লালমোহন বাবু, এনারা ভালো করেই কাঁটা বেছে
খাবেন- তোপসের হো হো করে হাসি ।
হাত কচলে লাল মোহনবাবু মিইয়ে গিয়ে বললেন :-
আমি না ইলিমোশনটা চেক করতে পারি না
কি মোশন ? কর্ণেল সাহেব বিস্মিত !
ওটা- ইলিশ আর ইমোশনের সন্ধি – ফেলুদার হাসি ।
মানে ইলিশফুলি ইওরস্---- কর্ণেল সাহেব অট্টহাসিতে ফেটে
পড়লেন ।
============
তোপসের সেল ফোনটা বেজে উঠলো ! অর্জুনের কল !
হ্যাঁ বল রে অর্জুন !
শোন, তোপসে, আমি রজনীকান্ত সেন লেনে ঢুকে পড়েছি, এবারে কোন
বাড়ীটা ফেলুদার ?
কোথায় দাঁড়িয়ে তুই ?
সামনে একটা ষ্টেট
ব্যাংকের এটিয়েম, সেখানে !
ও ! ওটার নাক বরাবর চলে আয়, যে খানে শেষ রাস্তাটা, ঠিক ডান
দিকেই আমাদের বাড়ী ।
ঠিক আছে, আসছি ।
====
শ্রীনাথ ওপরে নিয়ে এলো অর্জুনকে ।
শ্রীনাথ ওপরে নিয়ে এলো অর্জুনকে ।
আজ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস লেট - অর্জুন ব্যাকপ্যাকটা সোফার
সাইডে রেখে বসল ।
কর্ণেল সাহেব হাত
বাড়িয়ে হ্যাণ্ডশেক করলেন অর্জুনের সাথে ।
ডার্লিং, তোমার অনেক নাম শুনেছি- অমল সোমের কাছে । কেমন
আছো?
আপাতত ভালোই আছি । এই গত মাসে জলপাইগুড়ির এসি কলেজে
অধ্যাপকের চাকরী জুটেছে ।
সে কি ? গোয়েন্দাগিরি ছেড়ে দিলে?
কি করবো বলুন ? এই মফঃস্বল শহরে আর কাজ জোটে না তেমন । দু
বছর আগে পরীক্ষা দিয়েছিলাম , জুটে গেল তাই চাকরি করছি ।
বলেন কি মোয়াই ? লালমোহন বাবু অবাক !
ষষ্ঠীচরণ একটা
বিরাট টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ঢুকলো ! ক্যাটারিংয়ে যেমনটি থাকে ।
সাথে যিনি ঢুকলেন, তাকে দেখে সবাই অবাক ! শুধু ফেলুদা মিচকি
হেসে চুপ !
আরে, হালুয়ামোহন বাবু ! আপনি তো আঙ্কেল লাগেন হামার ! আপনি ভি লাল, হামি ভি লাল, মগনলাল ! আপ সবকো নমস্কার ! কাজিন ভাই কেমোন আছো ?
আরে, হালুয়ামোহন বাবু ! আপনি তো আঙ্কেল লাগেন হামার ! আপনি ভি লাল, হামি ভি লাল, মগনলাল ! আপ সবকো নমস্কার ! কাজিন ভাই কেমোন আছো ?
তোপসে হেসে বলল – ভালো, তা আপনি কবে এলেন বেনারস থেকে ?
এই তো আজ হি এলাম বিভূতি এক্সপ্রেসে ! রুকিয়ে রুকিয়ে, একঠো
ভুল হয়ে গিয়েসে হামার ! এ রাজু ! উ প্যাড়া কি বক্সা লা ইধর !
জী সরকার !
রাজু একটা বিশাল কার্ডবোর্ডের বাক্স এনে রাখল মাঝখানের
টেবিলে ।
ফেলুদা- একে সকলের
সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিল মগনলাল মেঘরাজের সঙ্গে ।
অর্জুনের নাম শুনেই মগনলাল লাফিয়ে উঠল ।
অর্জুন বাবু, আপনার তেরা নাম্বার বক্সা লিয়ে এসেছেন তো,
নাইফ থ্রোয়িং কে লিয়ে?- মগনলালের হাসির সঙ্গে জিজ্ঞাসা !
এই অর্জুন , আপনার সেই প্রাইভেট সার্কাসের অর্জুন নয় ।
জলপাইগুড়িতে থাকে ।- তোপসের জবাব ।
পানের ডিব্বা খুলে একটা পান মুখে দিল মেঘরাজ ।
হামি জানে !!
তো! আপনার কাজ কর্ম কেমন চলছে? ফেলুদা জিজ্ঞাসা করল ।
আপনি তো জানেন মিঃ মিত্তর ! হামি উ সব কালা ধান্ধা ছোড়িয়ে
দিয়েছে । মঘাই পানকা বিজিনেস । হামি তো
জানে- হাপনি ঘুষ খান না ! তাই পেঢ়া লিয়ে এলাম আপনার ইমেল পেয়ে । ই পেঢ়া হামার
অনেষ্ট ইনকামসে আছে । বহুত খুস মৈনে আজ ।
আমরাও খুসী ! আপনি এবার সৎ পথে চলছেন ।
উসব তো বাবা বিশওনাথজীকি কিরপা ঔর আপকা চেতাবনী ! লেকিন,
হামি আজকাল, বিনা স্লিপিং পিল নিদ যাছি । বহুত শান্তি !
(চলবে)
কর্ণেল নীলাদ্রী সরকার এতক্ষণ একমনে মগনলাল মেঘরাজের মুখের
দিকে তাকিয়েছিলেন ।
মগনলাল সেটা খেয়াল
করে বলল :- মিঃ মিত্তর, এই সাবের সাথে হামারা মুলকাত তো করিয়ে দিলেন লেকিন ইনকে
বারে মে তো আপ কুছ নেহী বোলা ।
ফেলুদা হেসে :- তাড়া কেন মগনলালজী ! আপনাকে যখন মেইল করে
এখানে এনেছি, তখন সবই ধীরে ধীরে জানতে পারবেন । নিন কফি খান । লাঞ্চ করবেন তো!
আপকি বোহোত মেহেরবানী, লেকিন হাপনি তো জানেন আমি বিশুদ্ধ্
শাকাহারী, তাই মাড়োয়ারি বাসা থেকে খেয়ে লিয় হাপনার বাড়ী এসেছি । হাপনারা খেয়ে লিন-
হামি ওয়েট করছি ! কি বোলেন আঙ্কেল ? – মগনলালের জবাব ।
লালমোহনবাবু যেন এই সুযোগটার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন ।
লাফিয়ে বলে উঠলেন :- হ্যাঁ, সেটাই করা যাক !
===========
শ্রীনাথ সার্ভ করছে টেবিলে, তখন কর্ণেল বললেন :-
শ্রীনাথ সার্ভ করছে টেবিলে, তখন কর্ণেল বললেন :-
ডার্লিং ফেলু :-ফিজিওগনমি ব্যাপারটা তোমার জানা আছে নিশ্চয়ই
!
হ্যাঁ কর্ণেল । মুখের চেহারা দেখে একটা লোক সম্বন্ধে বলা
একজাক্টলি । তবে, বিজ্ঞান এটাকে ডিসকার্ড করে দিয়েছে । যাক্, তুমি আর রিডের নাম শুনেছো ?
হ্যাঁ ! উনি প্রায় দেড়শো বছর আগে কোলকাতার ডিডেকটিভ
ডিপার্টমেন্টে কাজ করেছিলেন ।
ঠিক ! উনি একটা বই লিখেছিলেন, নাম-Everyman his own detective !
লেখক পরিমল
গোস্বামী এটার বাংলা অনুবাদও করেছেন । নাম
:- ইংরেজ ডিডেকটিভের চোখে প্রাচীন কোলকাতা । কোলকাতার প্রাক্তন নগরপাল তুষারদা
মানে তুষার তালুকদার বইটার ভূমিকাও লিখেছিলেন,২০০৮ সালে- ফেলুদার উত্তর !
( চলবে)
(চলবে)
No comments:
Post a Comment