নাঃ ! আর বাজার টাজার যাবো না বা বিকেলে কোনো আড্ডাতেও অনুপস্থিত থাকবো।
আমার এমনই পোড়া কপাল- গেলেই অদ্ভুত লোকেদের পাল্লায় পড়ি ! আর পড়লেই লিখতে ইচ্ছে হয় ।
লিখলেই, আপনারা বলবেন – বানিয়ে বলা ।
এই যেমন ধরুন না, ঠিক যশোর রোড আর সাতগাছি মোড়ের মুখে দুলালের দোকানে টিপ টিপ বৃষ্টির ভেতর, মাথার ওপর একটা তেরপল দিয়ে ঢাকা, তার নীচে একটা চৌকীর ওপর আমি বসে ।
একজন ভদ্রলোক ট্যাক্সির জন্য ছটফট করছেন । কোথায় ট্যাক্সি !!!! বললাম- আজ তো পাবেন না । ধর্মঘট তো ওদের !
কি যে বলেন ! কত্তো ট্যাস্কি ট্যাস্কি বলে ডাকছি, একটাও থামছে না । সব কটা আমাকে ওভার কাম করে চলে যাচ্ছে ।
এদিকে একটা বাস এসে দাঁড়ালো সাতগাছির মুখে । একজন বাসে উঠতে উঠতে বললেন – দাদা, এটা কত নম্বর ?
জানলা থেকে- এক যাত্রীর গম্ভীর মুখে উত্তর – উনআশীর খ ।
মুখ বাড়িয়ে দেখি- বাসের গায়ে বড় বড় করে লেখা ৭৯বি ।
দুলালের কোনো খদ্দের নেই বৃষ্টির জন্য । খেজুর জুড়লো আমার সাথে । ও আবার মাছ ছাড়া ভাত খেতে পারে না । ওর বৌয়ের আজ শুক্কুরবার । সন্তোষী মায়ের ব্রতর জন্য উপোস থাকে । রাতে নাকি দুধ সাবু খায় ।
যে মাছটা কিনেছিলো- তার দশ টুকরো হয়েছে ।
বৌ জিজ্ঞেস করেছিল- ওবেলার জন্য কয় টুকরো রাখবো?
দুলালের জবাব ছিল – নাঃ ! ওই দশ টুকরো মাছই দাও, তুমি তো জানোই ওবেলা ডাক্তার আমাকে “লাইট ফুড” খেতে বলেছে !
ওদিকে আরেক মক্কেল সেল ফোনে কথা বলছে – তোর অডারসিটি তো কম নয়, আমাকে এই ধরণের কথা বলছিস !
-----------
না, মশাই মরে গেলেও আর বাইরে যাবো না ।
No comments:
Post a Comment