যন্ত্রণার কোনো ভাষা হয় না ।
===================
বলা যাবে না, গেষ্টাপোর মত পাহারাদারেরা
সফির যতীন দাস পার্কে কি ভাবে মিটিং বানচাল করার চেষ্টা করেছিল ।
বলা যাবে না, বইমেলায় হীরেন সান্যালকে কারা
হেনস্থা করেছিল ।
বলা যাবে না, আশু বাবুর বাজারে হাউসিংর কাছে
আমার বক্তব্য রাখার সময়, পুলিস কি ভাবে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিল-
যখন কিছু উঠতি কিছু ছেলে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় খিস্তি করেছিল ।
বলতে পারবো না- দমদমের টাউন হলে, মঞ্চে যখন
সফির সঙ্গে বসে আমি- সেই ছবি তুলে আমার কোম্পানীতে পাঠানো হয়েছিল, চাকরী খাবার সুপারিশ সহ ।
ই- টিভির ক্যামেরা ম্যানকে হুমকি দিয়েছিল কারা ? বলা যাবে না ।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ স্বরাষ্ট্র সচিব (পরে মুখ্য
সচিব) কটকে র্যাভেনশ কলেজের আমার চার বছরের জুনিয়র – খালি
পিডিএস করার অপরাধে আমার সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করল না । অথচ, ফোনে আমায়
সময় দিয়েছিল- একটা আঞ্চলিক সমস্যার
সমাধানের জন্য ।
দিনের পর দিন- আমার শোওয়ার ঘরের জানলার পাশে আমাকে দিনের পর
দিন খিস্তি করার কথা বলা যাবে না ।
আমার অপরাধ ছিল- কোম্পানীকে বলে, বরানগর
রামকৃষ্ণ মিশনকে কিছু ফ্রি ওষুধের নমুনা দিয়েছিলাম, আমার বড়
কর্তার সাইন করা অনুমতি ক্রমে ।
জানতোই না---- ম্যানেজাররা ফ্রি স্যাম্পেল পায় না- তাও
বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছিল আমার বিরুদ্ধে ।
বলা যাবে না- রোগশয্যায় আরেক বর্ষীয়ান নেতা প্রয়াত
ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত- সফিকে বলেছিলেন আমার সামনেই- বিদ্রোহ করলি, কিন্তু দুঃখ হচ্ছে আমি এই রোগ শয্যায় থেকে তোকে সাহায্য করতে পারছি না ।
সফির মালদায় মিটিং করার সময়- প্রয়াত একজন ভূতপূর্ব মন্ত্রী
কি ভাবে আটকে রেখেছিল স্থানীয় পার্টির সদস্যদের-
বলা যাবে না ।
অনেক কিছুই বলা যাবে না !
শুধু আজ যখন দেখছি- কমরেড সফি অমর রহে , দুঃখের মধ্যেও হাসি পাচ্ছে ।
নাঃ ! এই কথা টাও বলবো না !
কলমের তলোয়ার নিয়ে ফতোহা জারি হবে । পারলে, আমার মাথাটাও আইএস আইএসের জঙ্গীদের মত কেটে নেবে - এটাও বলা যাবে না ।
এখন, এই বয়সে তো আর কিছু পারবো না ।
তবে যতদিন বেঁচে থাকবো- ততদিন মনে রাখবো- গণতান্ত্রিক
কেন্দ্রিকতায় কেন ২০ % লোক কি বলেছিল জানতে পারবো না - তোমার এই কথাটা কেন মেনে
নিতে পারে নি “বাঘা বাঘা” লোকজন ।
বলা যাবে না, কারণ প্রমাণ নেই ।
সফি----- ঘুমোও বন্ধু ।