সালটা ১৮৯৫। রচিত হতে যাচ্ছে এক মহান দলিল,যাতে তৈরী হবে মনুষ্য সভ্যতার এক নতুন দিগন্ত। স্বীকৃত হবে মানুষের আবিস্কারের ফসল। সেই সব আবিস্কারের গুণগ্রাহী,আর এক আবিস্কারকের প্রবর্তিত পুরস্কার নিয়ে এই তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন।
ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেলঃ-(১৮৩৩-১৮৯৬)-নেপথ্য নায়ক ও কারিগরসুইডিশ এই মনিষী, ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেল একাধারে ছিলেন দুঃসাহসীক বিজ্ঞানী,লেখক ও শান্তিপ্রয়াসী।ডিনামাইট আবিস্কারক, ডঃ নোবেল এই আবিস্কারের জন্য প্রচুর অর্থ ও খ্যাতিলাভ করেন।মৃত্যুর প্রায় আগে আগে ১৮৯৫ সালে তিনি তাঁর বিপুল ধনসম্পত্তির সিংহভাগ অংশ দলিল করে এই পুরস্কারের ভিত্তি স্থাপন করে যান।নোবেল ফাউণ্ডেশন বা নোবেল তহবিলতৈরী হল একটি প্রাতিজনিক প্রতিষ্ঠান।১৯০০ সালে ডঃ নোবেলের দলিলের শর্ত্ত অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। ডঃ নোবেলের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজন করা, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর যে সব প্রতিষ্ঠান বা পরিষদ, পুরস্কার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরী করেন; তাদের প্রতিনিধিত্ত্ব করা এবং সর্বোপরি নোবেল পুরস্কারের প্রদানের আয়োজন করা এই প্রাতিজনিক প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ।১৯০১ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এই পুরষ্কার(সুয়েডীয়: Nobelpriset নোবেল্প্রীসেৎ) দেওয়া হয়। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হল: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কার এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়।নোবেল মৃত্যুর পূর্বে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।আলফ্রেদ নোবেল তার উইলে অর্থনীতির ওপর পুরস্কার উল্লেখ করেননি। ১৯৬৯ সাল থেকে নোবেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অর্থনীতির ওপর “সভেরিজ্ রিকসব্যাংক” (Sveriges Riksbank)পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের একটি করে পদক, ব্যক্তিগত উপাধি এবং বর্তমানে নগদ ৯লক্ষ ৯০ হাজার ডলার(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা) দেওয়া হয়।প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে যে, ২০০১ সালে এর শত বর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদ অর্থমূল্য ৯লক্ষ ৪০ হাজার ডলার ছিল। শত বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষে ৫০ হাজার ডলার বাড়ান হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেয়া হয়না। লরিয়েটকে অবশ্যই পুরস্কার প্রদানের সময় জীবিত থাকতে হবে।
১৯০৪ সালে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি গঠিত হয়। এর আগে নরওয়ের রাষ্ট্রপতি নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব পালন করতেন। গঠনের পর কমিটির ৫ জন সদস্য শান্তি পুরস্কার দেবার জন্য গবেষণামূলক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করে। তাঁদেরকে নরওয়েজীয় আইনসভা মনোনয়ন দেয়, তথাপি তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। নরওয়ের আইনসভার সদস্যরা এই কমিটিতে অংশ নিতে পারেন না।
নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নির্বাচন বা মনোনয়নস্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কারা নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন? ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেল তাঁর দলিলে, নির্দ্দিষ্ট ভাবে কতকগুলি প্রতিষ্ঠানকে বিষয় ভিত্তিক ভাবে এই গুরু দায়িত্ত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এরা হলঃ-১. The Royal Swedish Academy of Sciences- (রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান পরিষদ) । পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন শাস্ত্র।২.Karolinska Institute- শারীরতত্ত্ব ও ওষুধ।৩.Swedish Academy – সাহিত্য।৪.The Norwegian Parliament (Storting) - শান্তি। Storting – Stor= বড় ।Ting= পরিষদ।এই নরওয়ের ব্যবস্থা পরিষদ ৫জন স্বনামধন্য ব্যক্তির একটি সমিতি গঠনকরে এই শান্তির পুরস্কার প্রাপকদের নাম মনোনয়ন বা নির্বাচিত করেন।৫. ১৯৬৮ সাল থেকে অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের নাম মনোনয়ন বা নির্বাচিত করেন The Royal Swedish Academy of Sciences- (রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান পরিষদ)।নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণাএবার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ, বিজ্ঞানী, পূর্বতন নোবেল বিজয়ী, আইন সভার সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্যদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রন জানান হয় এবং নাম পাঠানর জন্যও সুপারিশ করতে বলা হয়।যতদূর সম্ভব, পৃথিবী ব্যাপী সবাইকে আমন্ত্রন জানান হয়।নাম আসার পর, একটা আহূত সভায় নির্বাচন করে,তার পরের দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন সমিতি বৈঠক ও সভা ডেকে নির্বাচন পর্ব শেষ করেন।যার ফলে একই দিনে সব নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় না।নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিন এবং ..................১০ ই ডিসেম্বর এক স্মরণীয় দিনাঙ্ক। এসে যায় সেই অমৃতযোগ। স্থান-ষ্টকহোম, মধ্যমঞ্চে সুইডেনের রাজা ১৬শ কার্ল গুস্তাফ। তাঁর চারিদিকে মণিমুক্তার মত নোবেল বিজয়ীরা । ওদিকে ওসলোতে নরওয়ের রাজা ৫ম রাজা হেরাল্ড।ষ্টকহোমে- দেওয়া হয়
১)পদার্থবিদ্যা
২)রসায়ন শাস্ত্র
৩)শারীরতত্ত্ব ও ওষুধ
৪)সাহিত্য
৫) অর্থনীতিতে পুরস্কার
ওসলোতে- শান্তির পুরস্কার।
ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেলঃ-(১৮৩৩-১৮৯৬)-নেপথ্য নায়ক ও কারিগরসুইডিশ এই মনিষী, ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেল একাধারে ছিলেন দুঃসাহসীক বিজ্ঞানী,লেখক ও শান্তিপ্রয়াসী।ডিনামাইট আবিস্কারক, ডঃ নোবেল এই আবিস্কারের জন্য প্রচুর অর্থ ও খ্যাতিলাভ করেন।মৃত্যুর প্রায় আগে আগে ১৮৯৫ সালে তিনি তাঁর বিপুল ধনসম্পত্তির সিংহভাগ অংশ দলিল করে এই পুরস্কারের ভিত্তি স্থাপন করে যান।নোবেল ফাউণ্ডেশন বা নোবেল তহবিলতৈরী হল একটি প্রাতিজনিক প্রতিষ্ঠান।১৯০০ সালে ডঃ নোবেলের দলিলের শর্ত্ত অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম। ডঃ নোবেলের সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ, নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের বিভিন্ন সম্মেলন আয়োজন করা, বিভিন্ন বিষয়ের ওপর যে সব প্রতিষ্ঠান বা পরিষদ, পুরস্কার প্রাপকদের যে তালিকা তৈরী করেন; তাদের প্রতিনিধিত্ত্ব করা এবং সর্বোপরি নোবেল পুরস্কারের প্রদানের আয়োজন করা এই প্রাতিজনিক প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ।১৯০১ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্যসাধারণ গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য এই পুরষ্কার(সুয়েডীয়: Nobelpriset নোবেল্প্রীসেৎ) দেওয়া হয়। মোট ছয়টি বিষয়ে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিষয়গুলো হল: পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি। নোবেল পুরস্কার এ সকল ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে ইংরেজিতে নোবেল লরিয়েট বলা হয়।নোবেল মৃত্যুর পূর্বে উইলের মাধ্যমে এই পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা করে যান। অর্থনীতি ছাড়া অন্য বিষয়গুলোতে ১৯০১ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে।আলফ্রেদ নোবেল তার উইলে অর্থনীতির ওপর পুরস্কার উল্লেখ করেননি। ১৯৬৯ সাল থেকে নোবেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে অর্থনীতির ওপর “সভেরিজ্ রিকসব্যাংক” (Sveriges Riksbank)পুরস্কার প্রদান শুরু হয়।নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের একটি করে পদক, ব্যক্তিগত উপাধি এবং বর্তমানে নগদ ৯লক্ষ ৯০ হাজার ডলার(ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকা) দেওয়া হয়।প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে যে, ২০০১ সালে এর শত বর্ষ পূর্ণ হওয়ার আগে নগদ অর্থমূল্য ৯লক্ষ ৪০ হাজার ডলার ছিল। শত বর্ষ পূর্ত্তি উপলক্ষে ৫০ হাজার ডলার বাড়ান হয়।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। নোবেল পুরস্কার মৃত কাউকে দেয়া হয়না। লরিয়েটকে অবশ্যই পুরস্কার প্রদানের সময় জীবিত থাকতে হবে।
১৯০৪ সালে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি গঠিত হয়। এর আগে নরওয়ের রাষ্ট্রপতি নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতার দায়িত্ব পালন করতেন। গঠনের পর কমিটির ৫ জন সদস্য শান্তি পুরস্কার দেবার জন্য গবেষণামূলক কার্যক্রমের দায়িত্ব পালন করে। তাঁদেরকে নরওয়েজীয় আইনসভা মনোনয়ন দেয়, তথাপি তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং কারো কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়। নরওয়ের আইনসভার সদস্যরা এই কমিটিতে অংশ নিতে পারেন না।
নোবেল পুরস্কার প্রাপকদের নির্বাচন বা মনোনয়নস্বভাবতই মনে প্রশ্ন জাগে, কারা নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নির্বাচিত করেন? ডঃ অ্যালফ্রেড নোবেল তাঁর দলিলে, নির্দ্দিষ্ট ভাবে কতকগুলি প্রতিষ্ঠানকে বিষয় ভিত্তিক ভাবে এই গুরু দায়িত্ত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন। এরা হলঃ-১. The Royal Swedish Academy of Sciences- (রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান পরিষদ) । পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন শাস্ত্র।২.Karolinska Institute- শারীরতত্ত্ব ও ওষুধ।৩.Swedish Academy – সাহিত্য।৪.The Norwegian Parliament (Storting) - শান্তি। Storting – Stor= বড় ।Ting= পরিষদ।এই নরওয়ের ব্যবস্থা পরিষদ ৫জন স্বনামধন্য ব্যক্তির একটি সমিতি গঠনকরে এই শান্তির পুরস্কার প্রাপকদের নাম মনোনয়ন বা নির্বাচিত করেন।৫. ১৯৬৮ সাল থেকে অর্থনীতির নোবেল বিজয়ীদের নাম মনোনয়ন বা নির্বাচিত করেন The Royal Swedish Academy of Sciences- (রাজকীয় সুইডিশ বিজ্ঞান পরিষদ)।নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণাএবার প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ, বিজ্ঞানী, পূর্বতন নোবেল বিজয়ী, আইন সভার সদস্যবৃন্দ এবং অন্যান্যদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রন জানান হয় এবং নাম পাঠানর জন্যও সুপারিশ করতে বলা হয়।যতদূর সম্ভব, পৃথিবী ব্যাপী সবাইকে আমন্ত্রন জানান হয়।নাম আসার পর, একটা আহূত সভায় নির্বাচন করে,তার পরের দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন সমিতি বৈঠক ও সভা ডেকে নির্বাচন পর্ব শেষ করেন।যার ফলে একই দিনে সব নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় না।নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার দিন এবং ..................১০ ই ডিসেম্বর এক স্মরণীয় দিনাঙ্ক। এসে যায় সেই অমৃতযোগ। স্থান-ষ্টকহোম, মধ্যমঞ্চে সুইডেনের রাজা ১৬শ কার্ল গুস্তাফ। তাঁর চারিদিকে মণিমুক্তার মত নোবেল বিজয়ীরা । ওদিকে ওসলোতে নরওয়ের রাজা ৫ম রাজা হেরাল্ড।ষ্টকহোমে- দেওয়া হয়
১)পদার্থবিদ্যা
২)রসায়ন শাস্ত্র
৩)শারীরতত্ত্ব ও ওষুধ
৪)সাহিত্য
৫) অর্থনীতিতে পুরস্কার
ওসলোতে- শান্তির পুরস্কার।
নোবেল বিজয়ীরা তাঁদের সারগর্ভ ভাষণ উপস্থাপিত করেন।
১৯০২ সাল থেকে সুইডেনের রাজা স্টকহোমে পুরস্কার বিতরণ করে আসছেন। প্রথম বছর সুইডেনের রাজা ছিলেন রাজা ২য়অস্কার; তিনি এতো মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়ার বিরোধী ছিলেন। এজন্য তিনি পু্রষ্কার প্রদানে সম্মত হননি। পরবর্তীতে অবশ্য জনপ্রিয়তা রক্ষার জন্য এবং সুইডেনের সম্মান রক্ষার খাতিরেই তাঁকে মত পরিবর্তন করতে হয়েছে।
No comments:
Post a Comment