আসামের সাদিয়া গ্রামের এক যুবক পাল্টে দিয়েছিল- হিন্দি,অহমিয়া,বাংলা এবং ভারতীয় ভাষার গানের অভিমুখ। “টেনর” কণ্ঠের এই যুবক গান গাইত একটু নাকি সুরে। পরিবারের
ব্রতই ছিল, শিক্ষকতা। তাই, গানের
রেওয়াজ ছিল না সেরকম। কিন্তু, কথায় আছে- নিয়তি কেন ব্যাধ্যতে।
নিয়তিকে, কে রোধ করবে?
মাত্র বারো বছর বয়সেই গান গাইলেন, অহমিয়া
ছবি- “ইন্দ্রমালতী” তে।
ব্যাস! পড়াশোনার সাথে শুরু হলো গানের চর্চা। এদিকে পরিবারের রীতি মেনে পড়াশোনা
চালিয়ে গেলেন। প্রথমে, গুয়াহাটি এবং পরে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
সাংবাদিকতার কোর্স করে, চলে গেলেন কলম্বিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি গানের সাধনা। সরস্বতী যুক্ত হলো মেধার সাথে। সঙ্গীত হয়ে
দাঁড়াল- তাঁর সারা জীবনের পরিচয়। বোম্বেতে এলেন। যুক্ত হয়ে পড়লেন I.P.T.A এর সাথে। পরিচিত হলেন, সলিল চৌধুরী, বলরাজ সাহানী, ঋত্বিক ঘটক, ক্যাইফি আজমীদের সঙ্গে। অহমিয়া
গানের হিল্লোলে মেতে উঠল- বোম্বে। বিশেষ করে ভাওয়াইয়া গানের সুরে কেঁপে গেল
বোম্বের সুরলোক। উত্তরবঙ্গ আর আসামের গোয়ালপাড়ার লোকগানে যে আত্মার সুর!!!!!!!!
বিশ্বমানবতা যখন আক্রান্ত- তখন গেয়ে উঠলেন, মানুষ- মানুষের জন্য।
সেই মানুষ- ভূপেন হাজারিকা চলে গেলেন ৮৫ বছর বয়সে। শনিবার(০৫/১১/২০১১)
সন্ধ্যায় তিনি মুম্বাইয়ের আন্ধেরির কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে জীবনের
শেষ নিঃশ্বাস ফেলে চলে গেলেন।
রয়ে গেল- তাঁর গান। আমাদের আত্মার আত্মীয় হয়ে থেকে গেল-
দোলা, হে দোলা!
No comments:
Post a Comment