জুলাই মাস এলেই যে দুজনের কথা মনে পড়ে- তাঁরা হলেন, উত্তমকুমার আর মহম্মদ রফি ।
দুজনেই পঞ্চান্নর কোঠায় চলে যান । হৃদরোগে মারা যান দুজনেই ।
দুজনের মধ্যে আরও একটা মিল হলো :- মৃত্যুর ৩৪ বছর পরেও এঁরা জনমানস আচ্ছন্ন করে রেখেছেন – এখনও ।
তানসেনের গান শোনার সৌভাগ্য হয় নি, হওয়ার কথাও নয়, তবে - সঙ্গীত পরিচালক নওসাদ আলি তাঁকে ভারতের আধুনিক তানসেন আখ্যা দিয়েছিলেন।
মহম্মদ রফির বয়স তখন পঞ্চান্ন। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান রফিসাব।
মান্না দে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন :- বাংলা গানে আমি যত শক্ত গানই করি, সেটা জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু হিন্দিতে ব্যপারটা এমন না। সেখানে আমি ছিলাম বহিরাগত।
হিন্দি ভাষায় বাঙালি হয়ে গান গাইতাম। যাদের ভাষা ছিল হিন্দি তারা অনেকটাই এগিয়ে ছিল। যেমন রফি ছিল পাঞ্জাবী, হিন্দি উর্দু ওর স্বাভাবিকভাবেই আসত। আমি সেটা মেনে নিয়েছিলাম। কারণ, রফির মতো গায়ক ভারতবর্ষ পায়নি।
একজন বড় গায়ক আরেকজনের প্রতি এরকম খোলামেলা ভাবে স্বীকার করছেন, এটা ভাবা বর্তমানে কেন যেন বিশ্বাস হয় না ।
রফি সাহেবের গান কিন্তু কোনো দিনই রফির গান বলে পরিচিতি পেয়েছে বলে আমার জানা নেই !
যখন যে নায়কের কণ্ঠে গেয়েছেন, তখনই সেটা সেই নায়কের গান বলেই পরিচিতি পেয়েছে ।
গীতা দত্ত-মহম্মদ রফি’র গাওয়া ডুয়েট ‘আাঁখো হি আঁখো মে’ গানটি জনপ্রিয়তা পেলেও
সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়েছিল ‘সি আই ডি’-র অন্য আরেকটি ডুয়েট: ‘অ্যায় দিল মুশকিল…ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান’।
বিনাকা গীতমালা’য় জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম হয়েছিল এই ডুয়েট ।
তদানীন্তন বোম্বেতে যে ডবল ডেকার ট্রাম চলত, তার সাক্ষী হয়েছিল এই গানের চলচ্চিত্রায়ন ।
দুর্মর রোমান্টিসিজমে আচ্ছন্ন করে শ্রোতাদের৷ হিন্দি সিনেমার গানে টানার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল রফি সাহেবের ।
বম্বেতে একটা সময় ছিল- মাতালের মুখের গান মানেই মহম্মদ রফি। সলিল চৌধুরী নিজেও ‘দো বিঘা জমিন’-এ জনি ওয়াকারের মুখে রফিকেই গাইয়েছিলেন।
আর প্রেমের গান ?
কত বলি ?
পাঠকরা সেই সব গান আজও শোনেন , কোনো একটা গানকে শ্রেষ্ঠ বলা যাবে না । সবই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ ।
অনায়াসে উঁচু সপ্তকে সুর খেলাতে পারতেন‚ রফি সাব। ও দুনিয়াকে রখওয়ালে - গানটা শুনে দেখবেন ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি অন্য একটা গানের কথাই বলবো :-
কলাবতী রাগে স্বর লাগছে স গ প ধ ণ ।
এই রাগে অনেকেই গান গেয়েছেন । মহম্মদ রফি গেয়েছিলেন-----দিল দিয়া দর্দ লিয়া ছায়াছবিতে গেয়েছেন কলাবতী রাগের গান 'কোই সাগর দিল যো বহলাতা নহি!!
দীর্ঘ ৩৫ বছরের কেরিয়ারে শচীন দেব বর্মন,সলিল চৌধুরী, শঙ্কর-জয়কিষেণ, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল, ও পি নাইয়ার প্রায় সব বড় বড় সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গেই কাজ করেছেন রফি।
সাদা হাফ সার্ট আর ঢোলা প্যান্ট ছিল রফি সাহেবের প্রিয় ।
সখ বলতে ভোর বেলা ব্যাডমিন্টন খেলা ।
রয়্যালটি নিয়ে একটা গণ্ডগোল হওয়াতে লতাজী, রফি সাহেবের সঙ্গে তিন বছর গান গান নি ।
তখন রফি সাহেবের সাথে গাইতেন- সুমন কল্যাণপুর !
আশা ভোঁসলের সাথে রফি সাহেবের অনেক গানই আছে অমর হয়ে ।
লিখে শেষ করা যাবে না---- এই কিংবদন্তী গায়কের কথা ।
===
তথ্যসূত্র :- ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট
দুজনেই পঞ্চান্নর কোঠায় চলে যান । হৃদরোগে মারা যান দুজনেই ।
দুজনের মধ্যে আরও একটা মিল হলো :- মৃত্যুর ৩৪ বছর পরেও এঁরা জনমানস আচ্ছন্ন করে রেখেছেন – এখনও ।
তানসেনের গান শোনার সৌভাগ্য হয় নি, হওয়ার কথাও নয়, তবে - সঙ্গীত পরিচালক নওসাদ আলি তাঁকে ভারতের আধুনিক তানসেন আখ্যা দিয়েছিলেন।
মহম্মদ রফির বয়স তখন পঞ্চান্ন। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান রফিসাব।
মান্না দে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন :- বাংলা গানে আমি যত শক্ত গানই করি, সেটা জনপ্রিয় হয়েছে। কিন্তু হিন্দিতে ব্যপারটা এমন না। সেখানে আমি ছিলাম বহিরাগত।
হিন্দি ভাষায় বাঙালি হয়ে গান গাইতাম। যাদের ভাষা ছিল হিন্দি তারা অনেকটাই এগিয়ে ছিল। যেমন রফি ছিল পাঞ্জাবী, হিন্দি উর্দু ওর স্বাভাবিকভাবেই আসত। আমি সেটা মেনে নিয়েছিলাম। কারণ, রফির মতো গায়ক ভারতবর্ষ পায়নি।
একজন বড় গায়ক আরেকজনের প্রতি এরকম খোলামেলা ভাবে স্বীকার করছেন, এটা ভাবা বর্তমানে কেন যেন বিশ্বাস হয় না ।
রফি সাহেবের গান কিন্তু কোনো দিনই রফির গান বলে পরিচিতি পেয়েছে বলে আমার জানা নেই !
যখন যে নায়কের কণ্ঠে গেয়েছেন, তখনই সেটা সেই নায়কের গান বলেই পরিচিতি পেয়েছে ।
গীতা দত্ত-মহম্মদ রফি’র গাওয়া ডুয়েট ‘আাঁখো হি আঁখো মে’ গানটি জনপ্রিয়তা পেলেও
সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় হয়েছিল ‘সি আই ডি’-র অন্য আরেকটি ডুয়েট: ‘অ্যায় দিল মুশকিল…ইয়ে হ্যায় বম্বে মেরি জান’।
বিনাকা গীতমালা’য় জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম হয়েছিল এই ডুয়েট ।
তদানীন্তন বোম্বেতে যে ডবল ডেকার ট্রাম চলত, তার সাক্ষী হয়েছিল এই গানের চলচ্চিত্রায়ন ।
দুর্মর রোমান্টিসিজমে আচ্ছন্ন করে শ্রোতাদের৷ হিন্দি সিনেমার গানে টানার এক আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল রফি সাহেবের ।
বম্বেতে একটা সময় ছিল- মাতালের মুখের গান মানেই মহম্মদ রফি। সলিল চৌধুরী নিজেও ‘দো বিঘা জমিন’-এ জনি ওয়াকারের মুখে রফিকেই গাইয়েছিলেন।
আর প্রেমের গান ?
কত বলি ?
পাঠকরা সেই সব গান আজও শোনেন , কোনো একটা গানকে শ্রেষ্ঠ বলা যাবে না । সবই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ ।
অনায়াসে উঁচু সপ্তকে সুর খেলাতে পারতেন‚ রফি সাব। ও দুনিয়াকে রখওয়ালে - গানটা শুনে দেখবেন ।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি অন্য একটা গানের কথাই বলবো :-
কলাবতী রাগে স্বর লাগছে স গ প ধ ণ ।
এই রাগে অনেকেই গান গেয়েছেন । মহম্মদ রফি গেয়েছিলেন-----দিল দিয়া দর্দ লিয়া ছায়াছবিতে গেয়েছেন কলাবতী রাগের গান 'কোই সাগর দিল যো বহলাতা নহি!!
দীর্ঘ ৩৫ বছরের কেরিয়ারে শচীন দেব বর্মন,সলিল চৌধুরী, শঙ্কর-জয়কিষেণ, লক্ষ্মীকান্ত-পেয়ারেলাল, ও পি নাইয়ার প্রায় সব বড় বড় সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গেই কাজ করেছেন রফি।
সাদা হাফ সার্ট আর ঢোলা প্যান্ট ছিল রফি সাহেবের প্রিয় ।
সখ বলতে ভোর বেলা ব্যাডমিন্টন খেলা ।
রয়্যালটি নিয়ে একটা গণ্ডগোল হওয়াতে লতাজী, রফি সাহেবের সঙ্গে তিন বছর গান গান নি ।
তখন রফি সাহেবের সাথে গাইতেন- সুমন কল্যাণপুর !
আশা ভোঁসলের সাথে রফি সাহেবের অনেক গানই আছে অমর হয়ে ।
লিখে শেষ করা যাবে না---- এই কিংবদন্তী গায়কের কথা ।
===
তথ্যসূত্র :- ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট
No comments:
Post a Comment