“টাকা –কড়ি” এই সমাসটা খুবই চালু। আবার – “ফ্যালো কড়ি মাখো তেল”! বা “১ ফুটো কড়িও” নেই, “টাকা কড়ির যা অবস্থা!”টাকা তো বুঝি, কিন্তু কড়ি টা কি? কীভাবে ‘কড়ি’ শব্দটা টাকার সঙ্গে জুড়ে গেল? আসুন, দেখা যাক, এর রহস্যটা কি?
ইংরাজীতে বলে cowry যদিও মূলত শব্দটা আফ্রিকান । বোধহয়, এখান থেকেই বাংলা ‘কড়ি’ শব্দটা এসেছে। তা যাক, কড়ি তখনকার দিনে স্বল্প মূল্যের বিনিময় দ্রব্য ছিল, বা নিম্নতম দ্রব্যমূল্যমান। প্রধানত ভারত মহাসাগরে এই কড়ি পাওয়া যেত। এর ওপরের ভাগ চকচকে হওয়াতে এর চাহিদা ছিল প্রচুর।
আফ্রিকা, চীন, ইয়েমেন, সুদান; প্রায় সব দেশেই কড়ির ব্যবহার ছিল।খ্রীষ্টীয় ৪র্থ শতকে পর্যটক ফা-হিয়েনের বিবরণ অনুযায়ী, লোকে তখন কেনাবেচায় কড়িই ব্যবহার করত!
১৯ শতক অব্দি কড়ির ব্যবহার ছিল। রাজারা যখন দান করতেন তখন কড়ি দিয়েই করতেন। রাজা লক্ষণ সেনের নিম্নতম দান ছিল ১ লাখ কড়ি।
কড়ির হিসেবটা ছিল এরকম:-
১০০ কড়ি= শিহায়
৭০০ কড়ি = ফাল
১২০০ কড়ি =কুট্ট
১ লাখ কড়ি = বুস্ত
১০ লাখ কড়ি = ১ স্বর্ণমুদ্রা
সূত্র :- ১৪১৬ সালের শারদীয় বর্তমানে শ্রী বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ ‘ ইবনের সঙ্গে ৭০০ বছর আগে’
No comments:
Post a Comment