তখন সকাল পৌনে সাতটা হবে । উনি এসে বললেন:- একজন ডাকছেন
তোমাকে ।
কে ?
চিনি না
লুঙ্গি সামলে গিয়ে দেখি একজন চেনা অথচ অচেনা মানুষ ।
এক গাল হেসে বলল ;- আজ যান নি হরির দোকানে?
না- ঘুম থেকে উঠতে দেরি হল আজ । এই যাবো ! ভেতরে এসে বসুন
আমার নাম নীলিম গঙ্গোপাধ্যায় । আমি তো হরির দোকানে খানিক
বসে আপনার বাড়ী এলাম, হরির দোকানে আড্ডা মারতে ।
কোনো রকমে হাত মুখ ধুয়ে, একটা হাফ হাতা পাঞ্জাবী গায়ে চড়িয়ে
রওনা দিলাম, দোকানে ।
মাত্র বছর খানেক হলো অবসর নিয়েছে ব্যাংকের চাকরি থেকে ।
বাগুইআটি, কেষ্টপুরে থাকে ।
গান বাজনা, লেখালেখিও করে ।
ছুটির দিন বলে রিক্সা ষ্টাণ্ড ফাঁকা তখনও ।
প্রথমেই এলো রতন ।
কি রে ! আজ দেরি কেন ?
আর কি করবো? আজ ছুটির দিনে প্রাণে লাইফ নাই ।
বেঁটে নীলু- পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান । গামছার ওপর একটা গেঞ্জি
পরে এসেছে চা খেতে । অনেক দিন ধরে বলছি, আমার বেড সুইচটা পাল্টাতে ।
দেখেই রেগে বললাম – তোর বড় বাড় বেড়েছে, এত ডাকছি, তাও আসছিস
না ।
আমার বার আর কোথায় ?
মানে ?
সব বারই তো আপনার । রবি থেকে শুরু করে শনি পর্যন্ত ।
সবার মাঝে গালি দিচ্ছেন- আমার পিষ্টিজ নেই ?
ইয়ার মাছওয়ালা এসে বসল, গামছায় মুখ মুছে । খড়িবাড়ী থেকে
সাইকেল চালিয়ে আসে । এক ঘন্টা চল্লিশ মিনিট লাগে আসতে ।
আমরা বলি নিউ টাউন- ওরা বলে ঘুনের ভেড়ী । ওখানকার ভেড়ী থেকেই মাছ আনে।
কেষ্টপুর খালের মাছ নোংরা জলের মাছ, খেতে “টেস” নেই ।
জোয়ারের মাছ নয় ।
নীলিমের ওঠার সময় হয়ে গেল ।
মঞ্চে এক আখওয়ালার প্রবেশ তখন ।
দাঁত পরি গেসে, এখন
আর পয়সা দিয়ে ঠোঁট ছিড়ি, আখ খাবো কেনে ?
রস করি দেলে খাবো নে ।
------
এই ভাবেই শুরু হলো আজকের দিনটা ।
এই ভাবেই শুরু হলো আজকের দিনটা ।
No comments:
Post a Comment