০৮/০২/২০০৮ য়ে আমি প্রথম নেট কানেক্সান নেই বাড়িতে । কেবলের
লোকই জোরাজুরি করে নিতে ।
তার আগে টুকটাক দরকার হলে কাছের একটা সাইবার কাফেতে যেতাম –এখন সেটা অবশ্য উঠে গেছে ।
তখন মাসে - ২১০ টাকায় আনলিমিটেড ব্রাউজিং এবং ডাউনলোড !
হিসেব করে দেখেছিলাম- মাসে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হতো
সাইবারে ।
তা ছাড়া- রাতে নেট সার্ফ করাই যেতো না, কারণ রাত ১০টার পর সাইবার বন্ধ হতো।
এই সময় আমার ভাগ্নি ময়ূরিকা সন্ধান দেয়- অরকুটের । প্রোফাইল
খুলি, কিন্তু অনভিজ্ঞতার কারণে বারবার প্রোফাইল হ্যাক হতো ।
ধীরে ধীরে শিখলাম- মোটামুটি কিভাবে প্রোফাইলকে সুরক্ষিত
রাখা যায় ।
তখন, বাংলা টাইপ জানতাম না ঠিক ভাবে, তাই হয় ইংরেজি বা বাংরেজিতে স্ক্রাপ করার অভ্যাস ছিল ।
এপ্রিলের ২২ তারিখ এলো । ইংরেজিতেই ১৯৭৬ সালে জন্ম হওয়া বড়
ছেলের অকাল প্রয়াণ সম্বন্ধে লিখেছিলাম ।
দিন ছয় / সাত পরে একটা বন্ধু অনুরোধ এসেছিল । প্রোফাইলে
লেখা আছে :- সেন্ট্রাল গভঃ এম্প্লয়ী ।
নাম দেখে বুঝলাম – কেরালীয়ান ।
বন্ধু হয়ে গেলাম । ছোট্ট একটা প্রাইভেট মেসেজ এসেছিল-
থ্যাংকস্ ।
আমিও একটা মেসেজ করেছিলাম । কিন্তু উত্তর এসেছিল- প্রায়
১০/১২ দিন পরে , লেখা:-
সরি- আমি খুব ব্যস্ত থাকি কাজে তাই বেশী নেট সার্ফ করতে
পারি না । ভালো থেকো। একবার কেরালা এসো ।
এরপর আর কোনো স্ক্র্যাপ বা মেসেজ চালাচালি হয় নি । বন্ধু
বাড়ছে প্রোফাইলে, তাই ভুলেই গিয়েছিলাম, ওর কথা ।
অবশেষে সেই ২৬/১১ ।
মাস চারেক পরে বুজলাম ছেলেটি এনএসজি কমাণ্ডোর মেজর ছিল ।
নাম – সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণণ্
নাম বিভ্রাট হতে পারে ভেবে একটা মেসেজও করি । কিন্তু সেই
মেসেজের উত্তর আসে নি কোনোদিন ।
তারপর ওর প্রোফাইলের লিংক আমি শেয়ারও করি অরকুট এবং ফেসবুকে
। অনেক পুরোনো অরকুট বন্ধু জানেন সেটা ।
সেপ্টেম্বর ৩০ তারিখ ২০১৪ তে অরকুট উঠে যাবে জেনে
ভেবেছিলাম- ওর অ্যাকাউন্টের কিছু স্ক্র্যাপের স্ক্রিন শট/ ফোটো ডাউনলোড করে রাখবো
( কিন্তু একটাও উর্দ্দি পরিহিত ছবি ছিল না, শুধুই মা
বাবা আর কেরালার ছবি) ।
কিন্তু ভাবাটা আর বাস্তবায়িত হয় নি, কারণ আমি
নিজেই নিজেরটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
২৬ /১১ এলে মনে পড়ে ।
আমি পুত্রশোক ভুলেছি , খালি ওর
জন্ম আর প্রয়াত হবার দিনটা কোনোরকমে মনে রাখি, আর সন্দীপ
তো....................
No comments:
Post a Comment