যারা যারা জানতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি:-
=
১. দুর্গার গমনাগমন কি করে ঠিক হয়?
২. ঠিক কখন গমন এবং আগমন ঘটে?
৩. গমনাগমনের ফলাফল কোন সময় থেকে ঘটতে শুরু করে এবং কতদিন স্থায়ী হয়?
=
উত্তর :-
=
১. গমনাগমন - রবি এবং সোম - গজ, মঙ্গল এবং শনি - ঘোটক, বৃহস্পতি এবং শুক্র - দোলা, বুধ - নৌকা,
২. আগমন - মহা সপ্তমী, গমন - বিজয়া দশমী
৩. গমনাগমনের ফল - দুটোই একই সঙ্গে চলতে থাকে
=
ঋণ :- শ্রী হিমাংশুকুমার স্মৃতিতীর্থ
=
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার ব্যবস্থাপক
=
১. দুর্গার গমনাগমন কি করে ঠিক হয়?
২. ঠিক কখন গমন এবং আগমন ঘটে?
৩. গমনাগমনের ফলাফল কোন সময় থেকে ঘটতে শুরু করে এবং কতদিন স্থায়ী হয়?
=
উত্তর :-
=
১. গমনাগমন - রবি এবং সোম - গজ, মঙ্গল এবং শনি - ঘোটক, বৃহস্পতি এবং শুক্র - দোলা, বুধ - নৌকা,
২. আগমন - মহা সপ্তমী, গমন - বিজয়া দশমী
৩. গমনাগমনের ফল - দুটোই একই সঙ্গে চলতে থাকে
=
ঋণ :- শ্রী হিমাংশুকুমার স্মৃতিতীর্থ
=
বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার ব্যবস্থাপক
কোন দিনে আগমন
ও গমনে কি যানবাহন ব্যবহার করা
হবে সেই ব্যাপারে বলা হয়েছে-“রবৌ চন্দ্রে গজারূঢ়া,
ঘোটকে শনি ভৌময়োঃ, গুরৌ শুক্রে চ
দোলায়াং নৌকায়াং বুধবাসরে।” সপ্তমীর দিনে যদি রবিবার
এবং সোমবার হয়, তাহলে দুর্গার আগমন ও গমন হবে গজে। ফল-“গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা”। ঠিক এই
রকমই শনিবার ও মঙ্গলবারে দুর্গার আগমন ও গমন হলে, ঘোটকের
প্রভাব থাকবে। অর্থাৎ ফল-“ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে”। যদি বুধবারে দেবী দুর্গার আগমন ও গমন হয়, তাহলে
তিনি আসবেন এবং যাবেন নৌকায়। ফল-“শস্যবৃদ্ধিস্তুথাজলম”। আবার দুর্গার আগমন ও গমন যদি বৃহস্পতি ও শুক্রবারে হয় তাহলে তিনি
দোলায় আসবেন এবং যাবেন। ফল-“দোলায়াং মরকং ভবেৎ”।
পৌরাণিক যুগ
থেকে আজ পর্যন্ত দেখা গেছে যে, গজ গোড়া থেকেই বিশেষ
সম্মানীয় জায়গায় নিজের স্থান করে নিয়েছে। দেব-দেবী ছাড়াও রাজা, মহারাজা, জমিদারদের কাছেও “গজ” রাজকীয় মর্যাদা পেয়েছে। হয়তো তাই দেবী
দুর্গার গজে আগমন ও গমনকে কেন্দ্র করে বলা হয়েছে-“গজে চ
জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা।” অর্থাৎ এই আগমন ও গমনে
বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে মানুষকে সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যে
ভরিয়ে তুলবে। অন্যদিকে ঘোটক দেব-দেবী ও মানুষের কাজে ব্যবহৃত হলেও গজের মতো
মর্যাদা না দিয়ে ঘোটকে মায়ের আগমন ও গমন নিয়ে বলা হয়েছে-“ছত্রভঙ্গস্তুরঙ্গমে”। অর্থাৎ ঘোটকে আগমন ও
গমনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রেও অস্থিরতা
প্রকাশ পাবে। যেমন, রাজনৈতিক উত্থান, পতন, সামাজিক স্তরে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, গৃহযুদ্ধ, দুর্ঘটনা,
অপমৃত্যু ইত্যাদির প্রভাব বাড়বে। আবার নৌকায় আগমন ও গমনে বলা
হয়েছে শস্যবৃদ্ধিস্তুথাজলম। এ ক্ষেত্রে প্রবল বন্যা, ঝড়,
অতিবৃষ্টি ইত্যাদির জন্যে একদিকে প্লাবন ও ক্ষয়ক্ষতি এবং
অন্যদিকে দ্বিগুণ শস্যবৃদ্ধি। এর মধ্যে ‘দোলায়’ আগমন ও গমন সবচেয়ে অশুভ। তাই দোলা সম্বন্ধে বলা হয়েছে যে, দোলায়াং মরকং ভবেৎ। মহামারি, ভূমিকম্প,
যুদ্ধ, মন্বন্তর, খরা ইত্যাদির প্রভাবে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তো ঘটাবেই, আবার সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতিও হবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, একমাত্র গজ ছাড়া দেবী দুর্গার অন্য তিন যানবাহনের মাধ্যমে ধ্বংস বা
লয়কে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধুমাত্র গজই প্রয়োজনমতো বৃষ্টিধারায় বসুন্ধরাকে
ধন-ধান্যে সমৃদ্ধ করে তোলে ।