আমার জীবনটা বড়ই অদ্ভূত, জানেন ? কোনোদিন কোথাও থিতু হতে পারি নি । এমন কি, মা- বাবার সাথেও না !
এই জীবন সায়াহ্নে এসে হিসেব করে দেখছি, মা- বাবার সঙ্গে থেকেছি কুল্লে ষোলো বছর । এটাও কিস্তিতে ।
প্রথম বারো বছর টানা, রাজশাহী ( কিছুই মনে নেই ঠিক ভাবে বলতে গেলে) বেনারস, মহিষাদল, পারলাখেমুণ্ডি । তারপর কলেজ জীবন ( পারলাখেমুণ্ডি আর বালেশ্বর মিলিয়ে) চার বছর ।
কটকের র্যাভেনশ্যতে পড়েছি- ওয়াই এম সি এ তে থেকে ।
প্রাথমিক শিক্ষা বেনারসে । সেটার কথা ঠিক মনে নেই । তারপর স্কুলের শিক্ষা মামার বাড়ী, বাঘাযতীন কলোনি ( এখন “জাতে” উঠে – পল্লী) থেকে ।
পাতি বাংলা স্কুল – বিজয়গড় শিক্ষানিকেতন ।
তারপর, খালি দৌড় দৌড় ! মাঝে মধ্যে মা- বাবার সঙ্গে টানা থেকেছি কখনও ৪-৫ দিন, কখনও বা এক দিন ।
যদি না হতো, তবে দেখে লিতাম !
প্রাথমিক শিক্ষা বেনারসে । সেটার কথা ঠিক মনে নেই । তারপর স্কুলের শিক্ষা মামার বাড়ী, বাঘাযতীন কলোনি ( এখন “জাতে” উঠে – পল্লী) থেকে ।
পাতি বাংলা স্কুল – বিজয়গড় শিক্ষানিকেতন ।
তারপর, খালি দৌড় দৌড় ! মাঝে মধ্যে মা- বাবার সঙ্গে টানা থেকেছি কখনও ৪-৫ দিন, কখনও বা এক দিন ।
যদি না হতো, তবে দেখে লিতাম !
ও ! ওই ঘটনাটা বলি নি না ?
মালদায়, তখন ইংরেজবাজার পৌরসভায় ড্রাইভার নেওয়া হবে । পুরপিতা, চেনা শোনা এবং বাংলার অধ্যাপক ।
মালদায়, তখন ইংরেজবাজার পৌরসভায় ড্রাইভার নেওয়া হবে । পুরপিতা, চেনা শোনা এবং বাংলার অধ্যাপক ।
কথায় কথায় বলতেন – অপদার্থ ।
পরে বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন । নাম বললে, হয়তো মালদার ( মানে- মালদহ বা ইংরেজবাজার, টাকাওয়ালা বড়লোক নয়) পুরোনোরা চিনতে পারবেন। প্রয়াত প্রভাত আচার্য্য । বড় ভালো মানুষ ছিলেন- মনের দিক থেকে ।
পরে বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন । নাম বললে, হয়তো মালদার ( মানে- মালদহ বা ইংরেজবাজার, টাকাওয়ালা বড়লোক নয়) পুরোনোরা চিনতে পারবেন। প্রয়াত প্রভাত আচার্য্য । বড় ভালো মানুষ ছিলেন- মনের দিক থেকে ।
যখন কোলকাতায়,
সেবার ট্রাম উঠিয়ে দেবার কথা হয়েছিল, তখন তিনি ইংরেজবাজার শহরে বাতিল ট্রামগুলো
এনে চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিধানসভায়।
প্রায় ১০ মিনিট ধরে জ্বালময়ী বক্তৃতা দিয়ে বিধানসভা সরগরম
করে রেখেছিলেন ।
কু লোকে বলে ঐ ১০
মিনিটে নাকি ১০০ বার অপদার্থ বলায়, বিধান সভার রেকর্ড থেকে ঐ শব্দগুলো বাদ গেছিল ।
মাণিকের বাবা এসে ধরল – ওর ছেলেকে পৌরসভায় ড্রাইভার হিসেবে ঢুকিয়ে দিতে হবে ।
অনুরোধে লোকে ঢেঁকি গেলে । তা, এটা তো চাকরীর ব্যাপার ।
গেলাম প্রভাতদার কাছে ।
অপদার্থ ! আমার কি করার আছে ?
না, মানে আপনি বললে চাকরীটা হয়ে যাবে !
অপদার্থ ! চেয়ারম্যান বললে সব সময় হয় না !
না না- এসব চালাকি করবেন না ! আপনি আমাদের শহরে ট্রাম চালাবেন বলছেন, আর এতো সামান্য চাকরি ! কি যে বলেন !
অপদার্থ ! আমার কি করার আছে ?
না, মানে আপনি বললে চাকরীটা হয়ে যাবে !
অপদার্থ ! চেয়ারম্যান বললে সব সময় হয় না !
না না- এসব চালাকি করবেন না ! আপনি আমাদের শহরে ট্রাম চালাবেন বলছেন, আর এতো সামান্য চাকরি ! কি যে বলেন !
অপদার্থ ( এবারে গ্যাস খেয়ে আকাশে), আচ্ছা ওকে ইন্টার ভিউতে
পাঠিয়ে দেবে অমুক দিন, অমুকটার সময় ।
মাণিক তো গেল যথা সময়ে ।
বেরিয়ে এলো কাঁচুমাচু মুখ করে ।
কি রে ! কি প্রশ্ন করল ?
মাণিক তো গেল যথা সময়ে ।
বেরিয়ে এলো কাঁচুমাচু মুখ করে ।
কি রে ! কি প্রশ্ন করল ?
একটাই তো পুছ করল !
কি ?ফুয়েল মানে কহ ।
তুই কি বললি ?
সানকিয়ে ( ভয় পেয়ে) চুপ করে ছিলাম । আচ্ছা, রামকিসনোদা – ফুয়েল মানে কি ?
তেল ! এটা বলতে পারলি না ?
ওওওওওওওওওওওও ত্যাল ? শা........... জানলে দেখে লিতাম্ !
কি যে দেখতো, কে জানে ! তবে চাকরিটা হয়েছিল । ওর ছেলেমেয়েরা এখন ভালো লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত । মাঝে মাঝেই ফোন করে খবরাখবর নেয় । অনুরোধও করে মালদা যেতে । খরচ –খরচা সব ওর ।
যা বলছিলাম্ ( বুড়ো হওয়াতে খেই হারিয়ে ফেলি ) !
এই রাজনৈতিক নেতারা দেশটাকে – দেখেই লিয়েছিলেন ।
( চলবে)
No comments:
Post a Comment