আমার ইংরেজি জ্ঞান ছিল – প্রশ্নাতীত । স্কুল থেকেই এই প্রতিভার বিস্ফোরণে স্কুলের সবাই থরথর করে কাঁপতো !
অনুবাদ করতে দিয়েছিলেন হেড স্যার ( প্রয়াত প্রবোধ মিত্র) – অর্জুনের টিপ খুব সুন্দর ছিল ।
উত্তরে লিখেছিলাম :- অর্জুন হ্যাজ গুড ফিঙ্গারটিপ
এটা দেখে হেড স্যার দিন তিনেক ইস্কুলে আসেন নি ।
দপ্তরী যজ্ঞেশ্বর দা বলেছিল - হেড স্যার, মনে লয় হার্ট ফেল করসে । কি যে তোরা সব লেখস ।
শান্তি বলেছিল :-
অর্জুন হ্যাভ ওয়েন্ট টু ফরেষ্টের মত ব্যাপারটা । শান্তি খুব গল্প টল্প পড়তো
। তাক মত লাগিয়ে দিয়ে কেটে পড়েছিল ।
আরও দিন
চারেক পর হেড স্যার এলেন ইস্কুলে, তবে আমাদের ক্লাসে ইংরেজী পড়ানো বন্ধ করে
দিয়েছিলেন ।
অজুহাত ছিল :- ওনার পিতৃদত্ত প্রাণ একটাই ।
অজুহাত ছিল :- ওনার পিতৃদত্ত প্রাণ একটাই ।
পারলাখেমুণ্ডির রাজবাড়ীর কাছেই ছিল আমাদের ভাড়া বাড়ী
। প্রতি ঘন্টায় সেখানে ঢং ঢং করে ঘন্টি
বাজিয়ে জানান দেওয়া হতো সময়টা সারা শহরে ।
একবার রাত বারটার সময়, ঘন্টিওয়ালা তেরবার ঘন্টা বাজিয়ে ছিল ।
পরের দিন তলব রাজার – ঘন্টিওয়ালকে
নির্ভয়ে জবাব দিয়েছিল সে :- হঁ ! মু তেরটা বজইথিলি , সিনা গোটিয়ে ছেপ দেইকি পোছি দেইথিলি ।
( হ্যাঁ ! আমি তেরবারই বাজিয়ে ছিলাম, কিন্তু একটা থুথু দিয়ে মুছে দিয়েছি )
================
জলিল ভাইয়ের আম্মীজান , ভুল ইংরেজী শুনে হার্টফেল করেন নি- তবে ঘনঘন রাজাকারদের মেরে ফেলা মৃতদেহ দেখে হার্টফেল করে মারা গিয়েছিলেন । সহ্য করতে পারেন নি, এই অত্যাচার ।
একবার রাত বারটার সময়, ঘন্টিওয়ালা তেরবার ঘন্টা বাজিয়ে ছিল ।
পরের দিন তলব রাজার – ঘন্টিওয়ালকে
নির্ভয়ে জবাব দিয়েছিল সে :- হঁ ! মু তেরটা বজইথিলি , সিনা গোটিয়ে ছেপ দেইকি পোছি দেইথিলি ।
( হ্যাঁ ! আমি তেরবারই বাজিয়ে ছিলাম, কিন্তু একটা থুথু দিয়ে মুছে দিয়েছি )
================
জলিল ভাইয়ের আম্মীজান , ভুল ইংরেজী শুনে হার্টফেল করেন নি- তবে ঘনঘন রাজাকারদের মেরে ফেলা মৃতদেহ দেখে হার্টফেল করে মারা গিয়েছিলেন । সহ্য করতে পারেন নি, এই অত্যাচার ।
মাগরীবের
নামাজের পর হাসান সাহেব বলেছিলেন – বাংলাদেশ হওয়াতে তিনি খুশী ঠিকই, কিন্তু ভাঙা
দেশ আর জোড়া লাগবে না ।
অখণ্ড ভারতের জন্য স্বাধীনতা সৈনিকদের আশা আকাঙ্খা নিমেষে ধূলিস্যাৎ করেছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ ই অগাষ্ট ।
অখণ্ড ভারতের জন্য স্বাধীনতা সৈনিকদের আশা আকাঙ্খা নিমেষে ধূলিস্যাৎ করেছিল ১৯৪৭ সালের ১৪ ই অগাষ্ট ।
আরও অজানা বিপদ কোথায় যে লুকিয়ে আছে, কে জানে !
চলো ! রাত হয়ে গেছে ! খেয়ে নেওয়া যাক
চলো ! রাত হয়ে গেছে ! খেয়ে নেওয়া যাক
আমার মনে পড়ছিল সেই তেরটা বাজানোর অজুহাত ।
থুথু দিয়ে কি সব মোছা যায় ?
থুথু দিয়ে কি সব মোছা যায় ?
(চলবে)
No comments:
Post a Comment