কবিতা
লিখতে গেলে অনুভব দরকার । কয়েকটা লাইনে, যিনি বা যাঁরা অনুভবকে সর্বজন
গ্রাহ্য করে তুলতে পারেন—তিনিই কবি বলে আমার ধারণা ।
আমি নিজে কবিতা
লিখি না, কারণ সেই এলেম আমার নেই । আসলে লেখালেখিটাই আমার
সেরকম ভাবে আসে না ।
অবসরের পর
সময় কাটাতে, ফেসবুকেই আমার যা আঁকিবুকি ।
যাক্, যে কথা বলছিলাম !
বাঙালি
যেখানেই যাক না কেন, এই বিশ্বায়নের যুগে- মাতৃভাষাকে ভোলে না । হতে পারে, সেই ভাষা অন্য ভাষা থেকে প্রভাবিত, তবে চেষ্টা করে বাংলা এবং দেশকে
মনে রাখতে ।
খেয়াল করে
দেখবেন – মন্দির, মজসিদ ,গির্জা, বৌদ্ধ মন্দির যাই থাক না কেন, বা যে ধর্মেই বিশ্বাস করুক না কেন, অজান্তেই একটা হাত উঠে যায় শ্রদ্ধা জানাতে ।
বাংলা বা
বাঙালির কোনো দেশ নেই । তবু, যদি আমি কোলকাতায় বসে এই মাটিকে
প্রণাম করি, তবে অখণ্ড বাংলার সব মাটিকেই প্রণাম করা হয় ।
মালদার বা
বরিশালের লোক কোলকাতা বা ঢাকাতে নাই এসে থাকতে পারে, তবু
সেখানকার মাটিকে স্পর্শ করলে- সেটা যেখানেই হোক না কেন, বাংলারই
তো মাটি !
লণ্ডনের
বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা, টাওয়ার হ্যামলেটস বা অ্যামেরিকার
নিউ জার্সি, ছোট্ট দেশ সিঙাপুর, নতুন
দিল্লির বাঙালি-অধ্যুষিত এলাকা চিত্তরঞ্জন, ওডিশার
বিভিন্ন শহর- সব জায়গার বাঙালিদের টান দেশের মাটি ।
অনবরত
প্রণাম চলছে তো চলছেই- গল্প, আড্ডা, নাটক, সাহিত্য সব মিলিয়ে ।
চার
প্রজন্ম ধরে দিল্লি প্রবাসীর ছেলে - কোলকাতায় ছুটে আসে ডাক্তারি পড়তে , এক অমোঘ টানে ।
পুজো-ঈদ-
বুদ্ধ পূর্ণিমা- বড়দিন- সবেতেই বাঙালি থাকে জবরদস্ত ভাবে ।
মার প্রতি
অভিমান হলে- তুমি বেরিয়ে আসে সম্বোধনে আর আদর করে ডাকে- তুই বলে ।
==========
নজরুল মারা
যাবার পর একটি যুবক যখন বলে- নজরুল এতদিন বেঁচে ছিলেন ?
ইস্-
জানতাম না ।
তার বেদনা, কবিকে ভাবায় ।
কবির
ভাবনা, অনুভবে পরিণত হয় ।
বেরিয়ে
আসে –
মা /
পার্থ বসু
++++++++
তোমার
কাছে যাওয়ার বড় সাধ।
তোমায়
কাছে পাওয়ার বড় সাধ।
মা বলে
তোকে ডাকতে চাই মা
আমি তো
তোর সতীন ছেলে নই।
আমিও তোর
বুকের টুকরোই
চেয়েছি
তোর স্নেহের পরসাদ।
তোমার
কাছে যাওয়ার বড় সাধ।
তোমায়
কাছে পাওয়ার বড় সাধ।
এপারে
অবশিষ্ট জননীর
জঠরগত
ক্যাঙ্গারু সন্তান ।
উধাও মাঠ
স্মৃতির শালি ধান
বর্গী নেই
কে তবু লুঠে খায়
সোনার ধান
স্বপ্ন খুঁটে খায়
ভয়ে সে
মাথা তুলতে পারে কই?
ওপারে সবই
সুখের ছবি নয়
ওপারে আছে
দুঃখ বারোমাস
ওপারে তবু
বাঙালী করে বাস
এপারে
যারা কি তার পরিচয় ?
মাড়িয়ে এই
সকল পরমাদ
তোমার
কাছে যাওয়ার বড় সাধ
তোমায়
কাছে পাওয়ার বড় সাধ।।
========
নজরুল /
পার্থ বসু
++++++
ভাবতে খুব
ইচ্ছে হয়
একলা
নজরুল যদি
বাকরহিত
নাই হতেন
থাকত
সম্বিৎ অটুট
বাংলা ভাগ
আটকাত।
আটকাতই
বাংলা ভাগ
তাঁর কলম
সাত্যকীর
গাণ্ডীবের
মতন ক্রোধ
করত যেই
উদগীরণ
ভয় পেতই
দাঙ্গা বাজ
লুঠতরাজ
ধান্দা যার।
তাঁর কলম
তাৎক্ষণিক ?
তাঁর কলম
কালজয়ী ?
ব্রাত্য
কি? কালনিরিখ
বিশ্লেষণ
নিস্পৃহ
তাঁর চারণ
উচ্চারণ
মৃত্যুতক
তিন দশক
মূক ছিল
এই ক্ষতির
টানছে জের
টুকরো দেশ।
ভাবতে খুব
ইচ্ছে হয়
একলা
নজরুল যদি
বাকরহিত
নাই হতেন
থাকত
সম্বিৎ অটুট
ভারত ভাগ
আটকাত।
Parthasarathi Basu সেলাম !
No comments:
Post a Comment