এমনিতে আমি ভোজন রসিক, যদিও আমার বাবার ধারে কাছে আজও
পৌঁছতে পারি নি । তাঁর পাণ্ডিত্যের হাজার
আলোকবর্ষ থেকে দূরে থাকি ।
যাই হোক, এবারে আসল কথাটায় আসি ।
এক বাড়ীতে সত্যনারায়ণ পুজোর নেমন্তন্ন পেয়েছি । ওরা ভালো
খাওয়ায় , প্রসাদে , আর ওটাই আমার আসল আকর্ষণ ।
যথারীতি পুজোর আগেই গিয়ে পৌঁছনো গেল ।
বামুন ঠাকুর বয়সে আমার থেকে বড় । বেশ অভিজাত চেহারা ।
দেখলেই সম্ভ্রম জাগে।
ফর্সা চেহারায় উপবীত জ্বল জ্বল করছে তাঁর খালি গায়ে ।
শুনলাম তিনি ওপার বাংলার লোক ।
পুজো- আচ্চা করেই তাঁর মূল উপার্জন ।
পুজো আরম্ভ হলো ।
হঠাৎ কানে গেল – তিনি বলছেন – বিষ্ণুলোম্- তারপর যা যা বলতে
হয় !
কয়েকবার হবার পর তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম বিনীত ভাবে :-
ঠাকুর মশাই আপনি
বিষ্ণুরোম্ না বলে প্রতি মন্ত্রের আগে বিষ্ণুলোম্ বলছেন । আপনার উচ্চারণ শুনে তো মনে হয় না, আপনি
এত ভুল বলবেন ?
ফেটে পড়লেন তিনি ।
হালায়, এগো বাড়ীত্ যারা কড়াইয়ের হোগা মাজে, তাগো বেতন ৫০
ট্যাহা ডেইলি, আর আমার পূজার দক্ষিণা – ২১ ট্যাহা ! তইলে, এইহানে “লোম” না কইয়া “রোম”
কমু ক্যা ? হালায় লোমের পূজা !
No comments:
Post a Comment