আমরা সবাই ঘুমোলে স্বপ্ন দেখি- এটা কোনো নতুন কথা নয় । বিজ্ঞানীরা বলেন- গাঢ় ঘুমে স্বপ্ন দেখা যায় না, পাতলা ঘুমেই ঢুঁ মারে স্বপ্ন ।
আমি অত শত বুঝি না !
ঘুম কি দুধ নাকি, যে জল মেশালেই গাঢ় থেকে পাতলা হবে?
ঘুমকে তো আর বলা যায় না- এই দুটো বাটি দিলাম, একটা তে জল দাও
আর একটাতে ঘুম । আমি নিজে মিশিয়ে ঠিক করে নেবো ঘুমের মেকদার ।
সে জন্যই বোধহয়, স্বপ্নের আনাগোনা । নানা রকম বিষয়, আমার
স্বপ্নে আসে ! খুব কমন হল- চারিদিকে, আমি টয়লেট খুঁজে বেড়াচ্ছি, জলীয় পদার্থ ত্যাগ
করবো বলে, একটাও পাচ্ছি না, শেষে ঘুম ভাঙে আর আমি তড়িঘড়ি উঠে যাই নিজের টয়লেটের
দিকে । হাল্কা হয়ে, স্বস্তির নিঃশ্বাস
ফেলি ।
গতকাল, যে স্বপ্নটা দেখলাম, সেটা এই প্রথম । জানি, অনেকেই
বলবেন- দিনরাত ফেসবুক করার ফল- কিন্তু বিশ্বাস করুন, সেই ২০১০ সাল থেকে আমার
ফেসবুকে পদার্পণ- সময় কাটাতে, তবু এই রকম স্বপ্ন জীবনে ঘুমের মধ্যে আসে নি ।
নগর কোতয়াল আমায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে- ফেসবুকে কবিতা লেখার অপরাধে
। আমি প্রাণপণে বোঝানর চেষ্টা করছি- জীবনে আমি কবিতা লিখি নি, তাও ভবী ভোলে না ।
শেষে বোধহয় দয়া হলো- একজনের । বলল – আপনি লেখেন না জানি,
তবে পড়েন তো ?
সব পড়ি না, শুধু ভালো লাগা কবিতা গুলো পড়ি ।
কত দাম হতে পারে, ওই কবিতা গুলোর ?
কবিতার কি দাম হয় নাকি, ওগুলো তো অমূল্য ।
তাই তো আপনাকে ধরে নিয়ে যাওয়া !
মানে ?
যে কবিতা গুলো অমূল্য, তার দাম দেবার ক্ষমতা আপনার কোত্থেকে
হলো- এটাই বিচার্য বিষয় !
ও বাবা ! তা হলে, রবি দাদুর কবিতা যে আরও অমূল্য !
আরে, তাঁকেওতো আমরা খুঁজছি !
কেন ?
ধরবো বলে ।
সে কি ?
হ্যাঁ ! আমাদের ধারণা যেটা, সেটা হলো ওনার নোবেলটা চুরি হলো
কেন , মাত্র তো ভরি দুয়েক সোনা মেরে কেটে । আমার বৌয়েরই তো কুড়ি ভরি সোনা আছে আর
সেটা কবিতা লিখে পায় নি ।
আমার বিড়বিড় শুনে পাশ থেকে এক রাম ঠ্যালা ।
শুনলাম- উনি জোর গলায় বলছেন, কি বকর বকর রে বাবা, রাতে একটু
শান্তিতে ঘুমোবো তারও উপায় নেই ।
গলা শুকিয়ে গেছিল । জল খেয়ে আবার বিছানায় চলে গেলাম ।
আবার স্বপ্ন :- প্রসন্ন গোয়ালিনি হেসে হিন্দিতে বলছে
আবার স্বপ্ন :- প্রসন্ন গোয়ালিনি হেসে হিন্দিতে বলছে
ল্লে ! দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হো গয়া না ?
No comments:
Post a Comment