Friday, September 5, 2014

বুদ্ধিমান


++++++

অর্পণ  ভালো ছেলে, কিন্তু বেশ ইন্ট্রোভার্ট ।  মা- বাবার একমাত্র সন্তান । ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আপাতত বাড়ীতেই বসে ।  বড্ড ঘরকুনো । কোলকাতার বাইরে যাবে না চাকরি করতে ।
নিজের ঘরের মধ্যেই বসে সময় কাটায় বই টই পড়ে ।  মাঝে মধ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে বটে, তবে মিনিট দশের মধ্যেই বন্ধ করে দেয় । তবে নেটে, বিভিন্ন লেখা পড়ে, দেশ বিদেশের সংবাদপত্রতে চোখ বুলোয় ।
পাড়ার ক্লাবে বা চায়ের দোকানে যায় না । মা- বাবা একটু হলেও চিন্তিত । একমাত্র বন্ধু সমীর । চাকরি করছে আর ভীষণ আড্ডাবাজ ।
সমীরই একদিন জোর করে ধরে নিয়ে গেল পাড়ার বিবেক সংঘে ।
ক্যারাম, তাস পেটা চলছে । কিছু লোকে আড্ডাতে মগ্ন ।  অর্পণকে নিয়ে সমীর আড্ডার মধ্যেই বসল ।
যা হয় আর কি !  একটা ছেলে, অর্পণকে মুখে কিছু না বলে জামার পেছনে পোড়া সিগারেটের টুকরো, ছোট চিরকুটে “ গাধা” লিখে  জামার পেছনে সুতো দিয়ে বেঁধে দিলো ।
অর্পণ লক্ষ্য করলেও  কিছু বলল না । শুধু ছেলেটিকে চিনে রাখল ।
পরপর চারদিন একই ঘটনা ।
পঞ্চম দিনে, অর্পণ সমীরকে বলল :- তুই আজ ক্লাবে গিয়ে আমাকে হাত দেখিয়ে বলবি- গুরু, একটু হাতটা দেখে দাও না । সময় ভালো যাচ্ছে না । আর, তোর কিছু ঘটনা আমাকে বলে রাখ, যদিও বেশীর ভাগটাই জানি ।
সব কথাতেই বলবি :- কি করে বলছিস গুরু ?
যথারীতি সেই কাজটাই করল সমীর ।
হৈ হৈ পড়ে গেল ক্লাবে । সবাই  দেখানোর জন্য অর্পণের কাছে হাত মেলে ধরল ।
অর্পণ শুধু সেই ছেলেটিরই হাতটা টেনে নিল- যে বদমাইয়েসী গুলো করছিল ।
বেশ সময় নিয়ে দেখে- হঠাৎ সজোরে থাপ্পড় মারল ছেলেটির কানের গোড়ায় ।
ছিটকে পড়ল ছেলেটি ।
একি !!! আমায় মারলেন কেন এভাবে ?
একটা ফাঁড়া ছিল- কাটিয়ে দিলাম, অর্পণের গম্ভীর জবাব ।
আজ চলি- বলে বেরিয়ে গেল অর্পণ , হতভম্ব সকলের সামনে দিয়ে ।
=======

অর্পণ আজকাল চাকরি নিয়ে গুরগাঁওতে , হয়তো বিদেশেও যেতে পারে ।




No comments: