++++++
অর্পণ ভালো ছেলে,
কিন্তু বেশ ইন্ট্রোভার্ট । মা- বাবার
একমাত্র সন্তান । ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে আপাতত বাড়ীতেই বসে । বড্ড ঘরকুনো । কোলকাতার বাইরে যাবে না চাকরি
করতে ।
নিজের ঘরের মধ্যেই বসে সময় কাটায় বই টই পড়ে । মাঝে মধ্যে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলে বটে,
তবে মিনিট দশের মধ্যেই বন্ধ করে দেয় । তবে নেটে, বিভিন্ন লেখা পড়ে, দেশ বিদেশের
সংবাদপত্রতে চোখ বুলোয় ।
পাড়ার ক্লাবে বা চায়ের দোকানে যায় না । মা- বাবা একটু হলেও
চিন্তিত । একমাত্র বন্ধু সমীর । চাকরি করছে আর ভীষণ আড্ডাবাজ ।
সমীরই একদিন জোর করে ধরে নিয়ে গেল পাড়ার বিবেক সংঘে ।
ক্যারাম, তাস পেটা চলছে । কিছু লোকে আড্ডাতে মগ্ন । অর্পণকে নিয়ে সমীর আড্ডার মধ্যেই বসল ।
যা হয় আর কি ! একটা
ছেলে, অর্পণকে মুখে কিছু না বলে জামার পেছনে পোড়া সিগারেটের টুকরো, ছোট চিরকুটে “
গাধা” লিখে জামার পেছনে সুতো দিয়ে বেঁধে
দিলো ।
অর্পণ লক্ষ্য করলেও
কিছু বলল না । শুধু ছেলেটিকে চিনে রাখল ।
পরপর চারদিন একই ঘটনা ।
পঞ্চম দিনে, অর্পণ সমীরকে বলল :- তুই আজ ক্লাবে গিয়ে আমাকে
হাত দেখিয়ে বলবি- গুরু, একটু হাতটা দেখে দাও না । সময় ভালো যাচ্ছে না । আর, তোর
কিছু ঘটনা আমাকে বলে রাখ, যদিও বেশীর ভাগটাই জানি ।
সব কথাতেই বলবি :- কি করে বলছিস গুরু ?
যথারীতি সেই কাজটাই করল সমীর ।
হৈ হৈ পড়ে গেল ক্লাবে । সবাই দেখানোর জন্য অর্পণের কাছে হাত মেলে ধরল ।
অর্পণ শুধু সেই ছেলেটিরই হাতটা টেনে নিল- যে বদমাইয়েসী গুলো
করছিল ।
বেশ সময় নিয়ে দেখে- হঠাৎ সজোরে থাপ্পড় মারল ছেলেটির কানের
গোড়ায় ।
ছিটকে পড়ল ছেলেটি ।
একি !!! আমায় মারলেন কেন এভাবে ?
একটা ফাঁড়া ছিল- কাটিয়ে দিলাম, অর্পণের গম্ভীর জবাব ।
আজ চলি- বলে বেরিয়ে গেল অর্পণ , হতভম্ব সকলের সামনে দিয়ে ।
=======
অর্পণ আজকাল চাকরি নিয়ে গুরগাঁওতে , হয়তো বিদেশেও যেতে পারে ।
অর্পণ আজকাল চাকরি নিয়ে গুরগাঁওতে , হয়তো বিদেশেও যেতে পারে ।
No comments:
Post a Comment