সময় বয়ে চলে যায় । নিয়ে যায় জীবনের কর্মক্ষমতা, অনেক সময়ে
বোধবুদ্ধি । চলচ্ছক্তিহীন বা হীনা হয়ে
কাটাতে হয় বিছানায় ।
“আঠারো বছর বয়স কি দুঃসহ স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি” –
কবিতা আছে, কিন্তু আশী বা নব্বই বছর নিয়ে নেই ।
এই বয়সে স্পর্ধা থাকে না । অজস্র ভয়, পুরোনো স্মৃতি, আজন্ম
পালিত সংস্কার নিয়ে অক্ষম ভাবে বেঁচে থাকতে হয় ।
পদে পদে আশঙ্কা- এই বুঝি পড়ে গিয়ে হাত বা পা ভাঙল ।
বিনিদ্র রজনী কাটে- কখন ভোর হবে । কেউ খেয়ে ভুলে যায় আর
আবার খেতে চায়, কেউ বা খায়ই না ।
এক বুক ভর্তি অম্বল আর অসহায় সন্দেহ নিয়ে বলে
ও মনু ! আমার নস্যির ডিবাটারে তোর পোলা চাডা দিছে । দ্যাখ
কত্তখানি কইম্যা গেছে ।
ছুটছে সবাই- জীবন আর জীবিকার প্রয়োজনে । সময় নেই- এই সব
বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার জন্য ।
সে কথা কি এঁদের বোঝানো যায় ?
বাড়ী বাগিয়ে নিয়ে- ঠেলে সরিয়ে দেওয়া হয়, বৃদ্ধাশ্রমে ।
না হলে, মাটিতে পড়ে থাকা এক কণা ভাত তুলে, মুখে দিয়ে বৃদ্ধ
বা বৃদ্ধা অতিথির সামনেই বলে বসবে :- ভাতের যে কি কষ্ট, হেয়া তুমি কি বুঝবা ?
সমাজে যে প্রেস্টিজ থাকবে না ।
-
ধ্যুর ! যৌথ পরিবার? হা হা হা!
খালি আমরা কিছু পাগল লোক, লবেঞ্জুসের মত তারিয়ে তারিয়ে স্মৃতি টাকে চুষে চুষে খাচ্ছি।
খালি আমরা কিছু পাগল লোক, লবেঞ্জুসের মত তারিয়ে তারিয়ে স্মৃতি টাকে চুষে চুষে খাচ্ছি।
আর কাজ নেই হে? “যত্ত সব ফালতু সেন্টু”!!
No comments:
Post a Comment