আমার অনেক বদ অভ্যাসের মধ্যে একটি হল- দুধ ছাড়া চা, একদম
খেতে পারি না । মাঝে মধ্যে উপায়ন্তর
না থাকলে, লাল চা খাই বটে, তবে মনে হয় – কি যেন একটা খেলাম না ।
বাড়ীতে সবার আবার উল্টো অভ্যেস । তাই, মাসের বাজারে গুঁড়ো দুধের প্যাকেট আসে না,
এলেও বড় জোর দশ টাকা দামের দুটো প্যাকেট ।
ফুরিয়ে যায় তাড়াতাড়ি । ইদানীং, সকালের জল খাবারে চিঁড়ে খাই,
ওই গুঁড়ো দুধ আর চিনি দিয়ে । অপূর্ব লাগে আমার ।
বিকেলে যথারীতি দুধ ফুরিয়েছে । টিপটিপ, ছিটে ফোঁটা বৃষ্টির
মধ্যেই বেরুলাম – গোপালের মুদীর দোকানে ।
রোব্বার বিকেলে হরির চায়ের দোকান বন্ধ থাকে । তা হলেও
ছাউনির নিচে কিছু আমার মত অবসর প্রাপ্ত বৃদ্ধ ভদ্রলোক বসে থাকেন ।
সারা দুনিয়াটাই এঁদের কাছে খারাপ । সকালে, হকার যদি কাগজ
দেওয়ার ফাঁকে এসে হরির দোকানে চা খায়, তবে কেরিয়ার বা হ্যাণ্ডেলের সামনে থেকে কাগজ
চেয়ে নিয়ে পড়েন ।
জীবনে কিনে পড়েন না । ষ্টাণ্ডে আটকানো কাগজ দাঁড়িয়ে পড়েন
খুঁটিয়ে । তা, সেটা যে দলেরই মুখপাত্র হোক
না কেন !!!!!
আমাকে দেখে, দয়া করে ডাকলেন ওনাদের আসরে ।
কারও ছেলে/মেয়ে বা নাতি/নাতনীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে হয়তো
। শুনেছেন- আমি হরির দোকানের আড্ডা নিয়ে লিখি ।
এখন একটা গুরু
গম্ভীর বিষয় আছে, এর মধ্যে । কোনো একজন
হয়তো এঁদের বুঝিয়েছে- ফেসবুক একটা মোটা বই ।
বুঝলাম, ওনাদের অনন্ত কৌতুহলের হাত থেকে বাঁচার জন্য – এই
সহজ পদ্ধতিটা কেউ না কেউ নিয়েছে হয়তো ।
========
সেখানে একজন বললেন :- আপনের বই তো বাড়ীতে রাখনের জন্য জায়গা থাকবো না, যা শুনতাসি । কিলো দরে বেইচ্যা দেওনের আগে, আমাগো কইয়েন !!!
সেখানে একজন বললেন :- আপনের বই তো বাড়ীতে রাখনের জন্য জায়গা থাকবো না, যা শুনতাসি । কিলো দরে বেইচ্যা দেওনের আগে, আমাগো কইয়েন !!!
আমার জিজ্ঞাসা- কেন, বলুন তো ?
আরে !!!! ওরা তো কিন্যাই আর বেচবো না । ওগো দোকানে যাইয়া দেখন লাগবো- কি লেখসেন আফনে ।
====
No comments:
Post a Comment